হার্টের
মধ্যে ছিদ্র দেখা দিয়েছে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত শফিকুল ইসলামের। প্রায় ৭
মাস আগে হার্টে ছিদ্র ধরা পড়লেও শফিকুলের দিনমজুর বাবা ছেলের এখনো চিকিৎসা
শুরু করতে পারেননি। ওই অবস্থায় শফিকুলের হার্টের ছিদ্রটি বড় হয়ে তা দিয়ে
রক্তক্ষরণ হতে থাকায় মৃত্যু মুখে পড়েছে শফিকুল। শফিকুলের বাড়ি ময়মনসিংহের
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া
ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামের আবদুর রহিমের ৩ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়
শফিকুল। আবদুর রহিম ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের একটি রড-সিমেন্টর দোকানে দিনমজুর
হিসেবে কাজ করেন। শফিকুল ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১৭ সালে নবম শ্রেণিতে
অধ্যয়ণরত অবস্থায় গত শফিকুলের বুকে ব্যথা অনুভব করায় এবং শরীর ক্রমশ খারাপ
হয়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর জানায়, শফিকুলের হার্টে একটি
ছিদ্র রয়েছে। দ্রুত সেটি অপারেশন করতে হবে। কিন্তু দিনমজুর বাবা ছেলের
হার্টের রোগ জেনে ভয় পেয়েছে। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা শুরু করতে পারেননি।
এরই মধ্যে গত ডিসেম্বর মাসে শফিকুলের শরীর শুকিয়ে, অবস্থা অবনতির দিকে
যায়। তখন তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানায়,
হার্টের ছিদ্রটি অনেক বড় হয়ে গেছে। দ্রুত অপারেশন না করানো হলে শফিকুলকে
বাঁচানো যাবে না। কিন্তু দরিদ্র দিনমজুর বাবা আবদুর রহিম ছেলের চিকিৎসার
খরচ জোগাতে পারছেন না। তার সহায়-সম্বল বলতে মাথা গুঁজার ঠাঁইটুকুই। ছেলের
চিকিৎসা শুরু করতে না পারায় বাড়িতে পরেই ধুঁকে ধুঁকে মরতে বসেছে স্কুলছাত্র
শফিকুল ইসলাম। অসুস্থতার কারণে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি
শফিকুলের। শফিকুলের বাবা আবদুর রহিম জানান, দ্রুত ছেলের অপারেশন না করতে
পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু অপারেশনের জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকা
প্রয়োজন। সব টাকার জোগান দেওয়ার তার পক্ষে সম্ভব নয়। ওই অবস্থায় তার ছেলের
জীবন বাঁচাতে সমাজের উচ্চবিত্ত ও হৃদয়বানদের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন
তিনি। শফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে সহযোগিতা করতে পারেন বিকাশের এই নম্বরে
০১৯৩১-৬৪৪২৬৮ (বাবা: আবদুর রহিম)।
No comments