বখাটেদের ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত কলেজছাত্রী
প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটেদের ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় এক কলেজছাত্রী। ঈদের পরদিন রাতে কক্সবাজারের বড় মহেশখালী উপজেলার ফকিরাঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরীর কাপাসগোলা ওমেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী সাবেরা হোসনা শেলীর মুখ ও বাহুতে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে খাইরুলের নেতৃত্বে ৬-৭ জন লোক শেলীর বাড়িতে ঢুকে তার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। উত্ত্যক্তকারী খাইরুল আমিন মহেশখালী কলেজের এইচএসসির অনিয়মিত ছাত্র। সে একজন শিবিরকর্মী বলেও সূত্রে প্রকাশ। এ ঘটনায় পুলিশ খাইরুলের অন্যতম সহযোগী এবাদ উল্লাহকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে মহেশখালী কলেজে এক সমাবেশে কোনো শিক্ষার্থী সন্ত্রাস বা ছাত্রীদের হয়রানি করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে ঘোষণা দেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
এ সময় কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিকও উপস্থিত ছিলেন। শেলীর বাবা হোছন আলীর অভিযোগ, কক্সবাজার হাসপাতালে তার মেয়েকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার মুর্মূষু মেয়েকে ভর্তির পরদিন হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়। বাড়িতে নেয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে শেলী। পরে ৩০ জুলাই বিকালে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার বিষয়ে বেশ অসহযোগিতা করেন বলে বাবার অভিযোগ। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী পরিবারের সন্তান খাইরুল আমিন তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে এক বছর আগে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে অঙ্গীকার করে আসে খাইরুল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন। এরপর তার পরিবারের ওপর নানাভাবে হুমকি আসায় এলাকা থেকে দূরে নিয়ে শেলীকে চট্টগ্রাম নগরীর কাপাসগোলা ওমেন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি করা হয়। ঈদ উপলক্ষে শেলী মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে এলে ঈদের পরদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে খাইরুলের নেতৃত্বে ৬-৭ জন লোক ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে তার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় ব্যাপক মারধরের পাশাপাশি ছাত্রীর গালে ও হাতের বাহুতে ধারালো ক্ষুরের আঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক ইউনিট বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় খাইরুলের অন্যতম সহযোগী এবাদ উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় শেলীর বাবা হোছন আলী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে।
No comments