এক রসগোল্লা দুই কেজি
মেহেরপুর জেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরের গ্রাম শ্যামপুর। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষিনির্ভর এই গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে গেছে পিচঢালা পথ। গ্রামের এই পথ জেলা শহর ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। গ্রামে গড়ে উঠেছে বাজার। বাজারে সেমিপাকা একটি ঘরে ‘মহিবুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। সেখানে কাচে ঘেরা আলমিরার মাঝে বড় বড় পাত্রে রসে টইটুম্বুর করছে রসগোল্লা। যার একেকটির ওজন ২ কেজি করে। এক কেজি, আধাকেজি, একশ’ গ্রামের রসগোল্লাও সেখানে আছে। আছে রসমালায়, চমচমসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। যারা এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে এসেছেন তারা একবারের জন্য হলেও মিষ্টির আকার দেখে কিনে নিচ্ছেন অন্তত একটি এক বা দুই কেজি ওজনের রসগোল্লা। মিষ্টির কারিগর মহিবুল ইসলাম এই গ্রামেরই ছেলে। তিনি চার বছর আগেও ছিলেন সবজি বিক্রেতা। বড় রসগোল্লা তৈরির কারণে মহিবুলের নাম ছড়িয়ে পড়ছে। শনিবার সরেজমিনে মহিবুলের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই বাইরে অপেক্ষা করছে সেখানে বসে মিষ্টির সাধ নিতে। দোকানে একটি কাচে ঘেরা আলমিরার মধ্যে রসে ডোবানো বড় বড় মিষ্টি। ভোক্তা আবদুল বারি জানালেন প্রতি সপ্তাহেই তারা বন্ধুরা মিলে একটি মিষ্টি নিয়ে ভাগ করে খান। গ্রামের অনেকেই জানালেন মিষ্টির চাহিদা দেখে গ্রামের অনেক মিষ্টির কারিগর মিষ্টির দোকান দিয়ে বসে। কিন্তু মহিবুলের মতো স্বাদের মিষ্টি বানাতে না পারায় একমাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিয়েছে। মিষ্টির কারিগর মহিবুল জানান শহরের অনেক মিষ্টির দোকানের কারিগর তার কাছ থেকে এমন বড় মিষ্টি তৈরির কলাকৌশল শিখতে আসে। তিনি জানান এই মিষ্টি তৈরির সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। ছানা হতে হবে নির্ভেজাল, জেলার বাইরেও এই মিষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে জানান। আগে প্রতিদিন একমণ মিষ্টি বিক্রি হলেও এখন আরও চাহিদা বেড়েছে।
No comments