ছয় জেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে ছয় জেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। শনিবার এসব এলাকায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে মার্জিনাল ডাইকে দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে দুর্গত এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন। এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেটের ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে গেছে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রংপুর ও গঙ্গাচড়া : শনিবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৪০ মিটার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এদিকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে মার্জিনাল ডাইকে (মূল বাঁধের বাইরের বাঁধ) ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘণ্টা ও মর্নেয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। এলাকাবাসী জানান, হঠাৎ করে ভারি বর্ষণ ও উজানী ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কোলকোন্দ ইউনিয়নের সাউদপাড়া এলাকায় মার্জিনাল ডাইকটির প্রায় ৩০ ফুট ভেঙে গেছে। তাছাড়া ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার বেশকিছু বাড়িঘর ও সাউদপাড়া ইসলামিয়া বহুমুখী আলিম মাদ্রাসা। কোলকোন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু জানান, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় গঙ্গাচড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে পাইকান এলাকায় কয়েক বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি জানান, এ বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানানোর প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাট : শনিবার সকালে হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে। এদিকে উজানে ঢালে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজে তিন কিলোমিটার ভাটিতে হাতীবান্ধার ধুবনি গ্রামের দুটি অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ শনিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি আছে বলে শুনেছি। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণের বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গাইবান্ধা : তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকা ও শ্রীপুর ইউনিয়নের ভাঙন পরিস্থিতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এসব এলাকায় আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই ৪ ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকার শত শত ঘর-বাড়ি ভাঙনের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নীলফামারী : শনিবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এখন পানি কমে আসছে। আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।
সিলেট, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ : বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭ ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশুও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সিলেটের সঙ্গে বিয়ানীবাজারের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা, তিলপাড়া, লাউতা, মুড়িয়া ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৮০ ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব ইউনিয়নের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করা মানুষজন আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশুগুলো উঁচু স্থানসহ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিয়ে রাখা হচ্ছে। গোলাপগঞ্জে গত কয়েকদিনের বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুই মাস আগের বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঈদের দু’দিন আগ থেকে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর ডাইকের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
লালমনিরহাট : শনিবার সকালে হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে। এদিকে উজানে ঢালে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজে তিন কিলোমিটার ভাটিতে হাতীবান্ধার ধুবনি গ্রামের দুটি অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ শনিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি আছে বলে শুনেছি। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণের বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গাইবান্ধা : তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকা ও শ্রীপুর ইউনিয়নের ভাঙন পরিস্থিতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এসব এলাকায় আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই ৪ ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকার শত শত ঘর-বাড়ি ভাঙনের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নীলফামারী : শনিবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এখন পানি কমে আসছে। আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।
সিলেট, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ : বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭ ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশুও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সিলেটের সঙ্গে বিয়ানীবাজারের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা, তিলপাড়া, লাউতা, মুড়িয়া ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৮০ ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব ইউনিয়নের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করা মানুষজন আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশুগুলো উঁচু স্থানসহ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিয়ে রাখা হচ্ছে। গোলাপগঞ্জে গত কয়েকদিনের বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুই মাস আগের বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঈদের দু’দিন আগ থেকে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর ডাইকের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও হাওর বিল পরিবেষ্টিত শরীফগঞ্জ, বুধবারীবাজার, শরিফগঞ্জ, উত্তর বাদেপাশা ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে ওসমানীনগর উপজেলায় কুশিয়ারা তীরবর্তী সাদীপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গা, উমরপুর ও উছমানপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা এবং গোয়ালাবাজার, তাজপুর ও দয়ামীর ইউনিয়নের কিছু এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং রাখতে ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার থেকে ইউএনওর কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দুর্গতদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও বিভিন্ন তথ্য প্রদানের জন্য একটি জরুরি মোবাইল নম্বর (০১৯২৯৩৩৬৬২৯) রাখা হয়েছে। এদিকে ওসমানীনগরে বন্যাকবলিত এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামে ডায়রিয়া, পানিবাহিত চর্মরোগ, সর্দি-কাশি ও ভাইরাস জাতীয় জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। প্লাবিত অঞ্চল ছাড়াও পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ। যাদের বসতঘরে পানি ঢুকেছে তাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। গরুর হাট বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব বাজারের রাস্তায় বুক সমান পানি। কাঁচাবাজার, মাছের বাজার বন্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকটের সঙ্গে পণ্যমূল্য বাড়ছে। বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণের পাশে দাঁড়াতে আজ বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে আসছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আগামী ৭ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচনী এলাকা বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে আসার কথা ছিল। দুই উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সংবাদে জরুরি ভিত্তিতে আজ তিনি নির্বাচনী এলাকায় আসছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল।
কুলাউড়া : বেলাগাঁও, কন্টিনালা, রাবার ড্যাম ও পূর্ব বেলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থামে নৌকা। এসব স্থানে বিভিন্ন বয়সী শতাধিক লোক জড়ো হয়ে আছে। এর মধ্যে আছে নারী, পুরুষ ও শিশু। যদি জানতে পারে কেউ ত্রাণ নিয়ে এসেছে তাহলে সবাই হুড়মুড়ি খেয়ে এগিয়ে আসে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে হাকালুকি হাওরে যাওয়ার পথে কন্টিনালা নদীর উভয় পারে। এখানে ত্রাণের জন্য দুর্গতদের মাঝে হাহাকার দেখা দিয়েছে। হাকালুকি হাওর পারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ও জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের লোকজন জানান, পানিবন্দি হাজার হাজার পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছেন। ভয়াবহ বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে হাওর পারে শুক্রবার মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শনিবার থেকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ঈদের ছুটির পর ক্লাস শুরু হলেও হাওর পারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যায়নি। রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪-৫ ফুট পানির নিচে।
কুলাউড়া : বেলাগাঁও, কন্টিনালা, রাবার ড্যাম ও পূর্ব বেলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থামে নৌকা। এসব স্থানে বিভিন্ন বয়সী শতাধিক লোক জড়ো হয়ে আছে। এর মধ্যে আছে নারী, পুরুষ ও শিশু। যদি জানতে পারে কেউ ত্রাণ নিয়ে এসেছে তাহলে সবাই হুড়মুড়ি খেয়ে এগিয়ে আসে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে হাকালুকি হাওরে যাওয়ার পথে কন্টিনালা নদীর উভয় পারে। এখানে ত্রাণের জন্য দুর্গতদের মাঝে হাহাকার দেখা দিয়েছে। হাকালুকি হাওর পারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ও জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের লোকজন জানান, পানিবন্দি হাজার হাজার পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছেন। ভয়াবহ বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে হাওর পারে শুক্রবার মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শনিবার থেকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ঈদের ছুটির পর ক্লাস শুরু হলেও হাওর পারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যায়নি। রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪-৫ ফুট পানির নিচে।
No comments