তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে
উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। রোববার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ দশমিক ৪০ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে রোববার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিস্তা ব্যারেজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ প্রথম বিপদসীমা অতিক্রম করলো। তবে উজান হতে যে ঢল আসছে তা কাঁদামাটি মেশানো ঘোলা পানি। শনিবার থেকেই তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে তিস্তার বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা,
ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলার নদী বেস্টিষ্ট চর ও গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন বলেন, উজানের ঢলে রোববার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নিচু অঞ্চলের বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নিচু অঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ফরেস্টের চরের ১৫টি বাড়ি গত ২ দিনে তিস্তা নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে। পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ঝাড়সিংহেস্বর এলাকার তিস্তার চরাঞ্চলের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
No comments