ছেলে আমার অপুও আমার : শাকিব খান

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে অপু বিশ্বাসকে মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন শাকিব খান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে তিনি বলেন, ‘অপুকে মেনে না নেয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে আমি কখনই অস্বীকার করিনি। ছেলেও আমার, অপুও আমার।’ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অপু ইসলাম খানের (অপু বিশ্বাস) সঙ্গে সংসার-সন্তান নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মধ্যেই অপুর সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখার কথা বললেন ঢালিউড কিং শাকিব খান। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘শাকিব অপুর দায়িত্ব নেবেন না’, ‘অপুর কাছে ফিরছেন শাকিব’- এ ধরনের সংবাদে কিছুটা হতাশাও প্রকাশ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও বলিনি অপুকে ত্যাগ করেছি। তাহলে তার কাছে ফেরার প্রশ্ন আসে কেন? অপুকে মেনে না নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি তো তাকে কখনই অস্বীকার করিনি। এ সময় শাকিব তার বক্তব্য সঠিকভাবে গণমাধ্যমে আসছে না বলেও দাবি করেন। শাকিব বলেন, ‘স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়, তাহলে সংসারে সমস্যা সৃষ্টি হতেই পারে। গণমাধ্যমে অপু হুট করে আমাদের সংসার জীবন সম্পর্কে কথা বলার কারণে সেদিন (সোমবার) আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। তবে আমি সব সমস্যা সমাধান করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার জীবনে সুখী হওয়ার চেষ্টা করব।’

শাকিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে অপু বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘শাকিব যদি এমনটি বলে থাকে অবশ্যই ভালো বলেছে। আমিও চাই সন্তানকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বাকি জীবন কাটাতে।’ এর আগে দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সোমবার সন্তান নিয়ে সবার সামনে আসেন নায়িকা অপু বিশ্বাস। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেয়া লাইভ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শাকিবের সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। সন্তান নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে চান। এরপর যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে দীর্ঘ সংসার জীবনের নানা বঁাঁকের কথা জানান তিনি। অপু জানান, গুলশানে শাকিবের বাসায় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয় তাদের। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শাকিবের আনা কাজী বিয়ে রেজিস্ট্রি করান। তখন অপু বিশ্বাসের নাম হয় অপু ইসলাম খান। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি ক্লিনিকে সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের নাম রাখা হয় আব্রাহাম খান জয়। অপু আরও বলেন, ‘বিয়ের বিষয়টি শাকিব খান গোপন রাখতে বলেছিলেন। তাছাড়া শাকিব খানের পরিবারের সবাই বিষয়টি জানেন।’ এরপর গত বছরের প্রথমদিকে সন্তান গর্ভে ধারণ করার পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান তিনি।