হাওরে অকাল বন্যায় ছয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
গত কয়েকদিনে অকলা বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট,মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ,নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ি জেলায় গড়ে ৭৫ ভাগ হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুনামগঞ্জে। এজেলার নব্বই ভাগ ফসলই পানিতে তলিয়ে গেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-এর গোলটেবিল লাউঞ্জে (নিচতলা) “আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরের ফসল ও জনজীবন: সরকার ও জনগণের করণীয়” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা, সিলেট’র সভাপতি কাসমির রেজা হাওরের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির উপরে একটি প্রবন্ধ উপস্থ্পান করেন। কাসমির রেজা বলেন, হাওরাঞ্চলে গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হাওর অঞ্চলের মানুষের ফসলের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা আজ দিশেহারা।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫টাকা মুল্যে চাল ও ১৮ টাকা মুল্যে আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এর পরিমানে কম হওয়ায় তা বাজারে প্রভাব ফেলতে পারছে না বলে কাসমির রেজা জানান। তিনি হাওর এলাকা বিশেষ করে সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার বলেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে পানি বিশেষজ্ঞ ও পানি গবেষক অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত; বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-র প্রধান নির্বাহী অ্যাড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; পানি সম্পদ পরিকল্পনা সং¯’া (ওয়ারপো)-র সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক এবং এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। এছাড়া হাওর এলাকার ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
No comments