জোবায়দা রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন মামলার রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে মামলা পরিচালনার জন্য বিচারিক আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে জোবায়দা রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলছেন,জোবায়দা রহমান দেশের বাইরে আছেন তাই আদালত আট সপ্তাহের সময় দিয়েছে, যেন কোনো রকম বাঁধাবিঘ্ন ছাড়া বিচারিক আদালতে গিয়ে তিনি মামলা পরিচালনা করতে পারেন। তিনি বলেন, তিনি এখন বিদেশে আছেন এবং এ মামলায় তিনি জামিনে আছেন এবং হাইকোর্ট তার জামিন বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে জোবায়দার সঙ্গে আলাপ করে আপিলের সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও তিনি জানান। গত ১০ জানুয়ারি এ মামলার রুলের চুড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য (সিএভি) যেকোনো দিন ঘোষণার করা হবে মর্মে তারিখ ধার্য করা হয়। এর আাগে গত বছরের ০২ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন বিচারপতি এ মামলা শুনতে বিব্রতবোধ করে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। আইন অনুসারে পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি। আদালতে যোবায়দা রহমানের পক্ষে ছিলন এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন,
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির। ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৩৫ কোটি টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলেও আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। কিন্তু এ মামলায় আসামিপক্ষ দুদককে পক্ষভুক্ত করেননি। ২০১৫ সালের ০২ এপ্রিল দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদককে পক্ষভুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করেন।
No comments