নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ
নড়াইলের
লোহাগড়ায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ
করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল অভিযুক্ত আল আমিন শেখকে (২৪) গ্রেপ্তার করে
আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে নড়াইল সদর
হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ
কার্যালয় চত্বর থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় অষ্টম শ্রেণির
ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়। এক সন্তানের জনক আল আমিন লোহাগড়া উপজেলার
কামঠানা গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত
২২শে ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া উপজেলার ঝিকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা
থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে আল আমিন। ওই ছাত্রী নড়াইল সদরের কামালপ্রতাপ
এসজে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এক বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার
সময় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। এরপর আল আমিন লোহাগড়ার চরআড়িয়ারা গ্রামে এক
আত্মীয়র বাড়িতে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করে। এদিকে,
স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান
পায়নি। একপর্যায়ে শনিবার বিকালে লক্ষ্মীপাশা বাসস্ট্যান্ডে স্কুলছাত্রীর
পরিচিতজন আল আমিনের সঙ্গে তাকে দেখতে পেয়ে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে
আল আমিন এবং ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়। বিষয়টি মীমাংসার
জন্য দুই পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসেন।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় আল আমিনকে পুলিশে
হস্তান্তর এবং স্কুলছাত্রীকে হেফাজতে রাখা হয়। স্বজনরা জানান, প্রায় দুই
বছর আগে কামালপ্রতাপ এসজে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠানে তাদের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের কথোপকথন চলতে থাকে।
স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় গোপন রেখে আল আমিন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন
দেখায়। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সুযোগ বুঝে তাকে অপহরণ করে। স্কুলছাত্রী
জানায়, অপহরণের পর ১০দিন আটকে রেখে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ
করে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান,
স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
No comments