ফোনে ডেকে নিয়ে ছুরি মেরে তরুণকে খুন
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র টাউন হল মাঠসংলগ্ন এলাকার একটি বিপণিবিতানের ভেতরে পাপ্পা ইসলাম (১৭) নামের এক তরুণকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ছুরি মেরে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবার বলছে, পাপ্পাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পাপ্পা যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল সড়কের প্রয়াত মো. মতলেবের ছেলে। টাউন হল এলাকায় একটি চায়ের দোকানে অনিয়মিতভাবে কাজ করত সে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাশের সঙ্গে ছিলেন পাপ্পার বোন রত্না বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাপ্পা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নিজ বাড়িতে শুয়ে টেলিভিশন দেখছিল। এ সময় তার মুঠোফোনে একটা কলা আসে। কথা বলার পরপরই সে তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, টাউন হল মাঠের আলমগীর সিদ্দিকী হলের পাশে গেলে পাপ্পাকে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করে একদল সন্ত্রাসী। প্রাণে বাঁচতে সে দৌড়ে টাউন হল মাঠ বিপণিবিতানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সন্ত্রাসীরাও তার পিছু পিছু সেখানে ঢোকে। একপর্যায়ে তাকে ধরে ফেলে। তারা লোকজনের সামনেই পাপ্পার বুকে ছুরি মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা পাপ্পাকে মৃত ঘোষণা করেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আজ সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে। এরপর মামলা করা হবে। তিনি বলেন, পাপ্পাকে যারা হত্যা করেছে, পুলিশ তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হবে না। পুলিশ বলছে, স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে পাপ্পার সখ্য ছিল। পাপ্পাকে যারা হত্যা করেছে, আগে তাদের সঙ্গেই ওঠাবসা করত সে। কিন্তু এখন তারা তার প্রতিপক্ষ। পাপ্পার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ছিনতাই, মারামারি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
দুই ছেলেকেই হারালেন মা
পাপ্পারা দুই ভাই ও দুই বোন। তার বড় ভাই আরিফ হোসেন পাঁচ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। বোন রত্না বেগম কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলোকে বলেন, একটা ভাই ছিল সে-ও খুন হলো। মা ফুলি বেগম ওমানপ্রবাসী। কিছুদিন আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। কাল (আজ সোমবার) তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। এমন সময়ে নিজের ছোট ছেলেকেও হারালেন তিনি। হাসপাতালে লাশের পাশে বুক চাপড়ে কাঁদছিলেন মা ফুলি বেগম।
দুই ছেলেকেই হারালেন মা
পাপ্পারা দুই ভাই ও দুই বোন। তার বড় ভাই আরিফ হোসেন পাঁচ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। বোন রত্না বেগম কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলোকে বলেন, একটা ভাই ছিল সে-ও খুন হলো। মা ফুলি বেগম ওমানপ্রবাসী। কিছুদিন আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। কাল (আজ সোমবার) তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। এমন সময়ে নিজের ছোট ছেলেকেও হারালেন তিনি। হাসপাতালে লাশের পাশে বুক চাপড়ে কাঁদছিলেন মা ফুলি বেগম।
No comments