বই পড়ে বরিশালে ১৩১৬ ছাত্রছাত্রী পুরস্কৃত
বছরজুড়ে বইপড়া কর্মসূচিতে নিজের উৎকর্ষের পরিচয় দেওয়ার জন্য গতকাল শুক্রবার বরিশালে ১ হাজার ৩১৬ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। সকাল সাড়ে আটটায় নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৬ সালে বরিশাল নগরের ৩১টি স্কুলের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মূল্যায়নপর্বে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এই পুরস্কার বিতরণী উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস,
জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরি সূয্র্যানী সমাদ্দার, গ্রামীণফোনের বরিশাল অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মো. আহসান হাবিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মো. মাসুদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। উৎসবে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, একটি জাতি বড় হতে গেলে প্রথমে প্রয়োজন শিক্ষা। তারপর বুদ্ধি, দেশপ্রেম, শক্তি ও সাহস। কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষা। বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখকদের বইগুলো থেকে তোমরা সেই শিক্ষা পেতে পারো। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তোমাদের সেই বইগুলোই পড়িয়ে থাকে। তিনি বলেন, আলো দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু সেই আলো উৎপত্তি হয় ভয়ংকর আগুন থেকে। বইয়ের ভেতর সেই ভয়ংকর আগুন লুকিয়ে থাকে। সবাইকে আরও বেশি বেশি বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইপড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই লাখ ছাত্রছাত্রী বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি
No comments