অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন, চর্বিতচর্বণ গল্প দর্শককে টিভিবিমুখ করেছে
শুভ জন্মদিন। কেমন কাটল দিনটি?
ছোটবেলায় কোনো দিন বাবা-মা ঘটা করে আমার জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন বলে মনে পড়ছে না। স্কুলে যখন পড়তাম, তখন ডিসেম্বর মাসে ফাইনাল পরীক্ষার ব্যস্ততা থাকত, তাই জন্মদিন উদ্যাপনের সুযোগ ছিল না। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুরা বাসায় আসত, আব্বা-আম্মা রান্না করতেন। আমার বাবা-মা একটা কথাই বলতেন, তুমি তোমার পড়াশোনা, অভিনয়, রান্নাবান্না, সেলাই, খেলাধুলা—সব কাজ দিয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করো। যাতে অন্য মানুষ জন্মদিনে তোমাকে অভিনন্দন জানায়।
এখন টেলিভিশন নাটকের সঙ্গে জড়িত সবাই আন্দোলন করছেন। দর্শককে নাটক দেখাতে হলে আসলে কী করা দরকার?
ভালো নাটক বানাতে ভালো অভিনয়শিল্পী দরকার। একটি নাটকে একজন ভালো অভিনেতা, বাদবাকি সবাই অভিনেতা নন, সেই নাটক তো দর্শক হিসেবে আমি দেখতে চাই না। ভালো নাটক, ভালো গল্প, ভালো নির্মাতা এবং একদল ভালো অভিনেতা একসঙ্গে টেলিভিশন স্ক্রিনে দেখতে চাই। আর সেটার পূর্বশর্ত অবশ্যই চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে।
কী উপায়ে?
আগে চ্যানেল গল্প দেখেছে, নির্মাতার সঙ্গে কথা বলেছে। উঠতি মেধাবী নির্মাতাদেরও তারা সুযোগ দিয়েছে। এখন তো নাটকের সঙ্গে চ্যানেলের কোনো সম্পর্ক নেই। একেকটি এজেন্সি ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে ৭০-৮০টি করে নাটক বানাচ্ছে। তারা তাদের পছন্দমতো শিল্পী ঠিক করছে। অত্যন্ত কম বাজেট তরুণ নির্মাতাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিনিয়র নির্মাতাদের পক্ষে কম্প্রোমাইজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি টেলিভিশনে অভিনয় করতে পছন্দ করি। কিন্তু ইদানীং টেলিভিশনে নাটক দেখতে পছন্দ করি না। প্রথমত, মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন। দ্বিতীয়ত, নাটকের দু-একজন ভালো শিল্পী, বাকিদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা হয় না। একটি চরিত্র কীভাবে আয়ত্ত করতে হয়, তারা জানে না। এটা তাদের দোষ নয়। বিদেশি সিরিয়াল বন্ধের কথাও জোরেশোরে হচ্ছে। বিদেশি সিরিয়াল নিয়ে আমার কোনো ঝামেলা নেই। একই সময়ে অন্য কয়েকটি চ্যানেলে কোথাও কেউ নেই, বহুব্রীহি, সংশপ্তক, এই সব দিনরাত্রি, অয়োময় যদি দেখানো হয়, তখনই বোঝা যাবে দর্শক কোনটি দেখছেন। অবশ্যই আমাদের নাটকগুলো সবাই দেখবেন! এ জন্যই বলতে চাই, আমাদের প্রোডাকশনের মানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। একটা ধারার নাটক ক্লিক করল তো সবাই একই দিকে ছুটতে থাকল। দর্শককে টেলিভিশনবিমুখ করেছে মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন, চর্বিতচর্বণ গল্প।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের
ছোটবেলায় কোনো দিন বাবা-মা ঘটা করে আমার জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন বলে মনে পড়ছে না। স্কুলে যখন পড়তাম, তখন ডিসেম্বর মাসে ফাইনাল পরীক্ষার ব্যস্ততা থাকত, তাই জন্মদিন উদ্যাপনের সুযোগ ছিল না। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুরা বাসায় আসত, আব্বা-আম্মা রান্না করতেন। আমার বাবা-মা একটা কথাই বলতেন, তুমি তোমার পড়াশোনা, অভিনয়, রান্নাবান্না, সেলাই, খেলাধুলা—সব কাজ দিয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করো। যাতে অন্য মানুষ জন্মদিনে তোমাকে অভিনন্দন জানায়।
এখন টেলিভিশন নাটকের সঙ্গে জড়িত সবাই আন্দোলন করছেন। দর্শককে নাটক দেখাতে হলে আসলে কী করা দরকার?
ভালো নাটক বানাতে ভালো অভিনয়শিল্পী দরকার। একটি নাটকে একজন ভালো অভিনেতা, বাদবাকি সবাই অভিনেতা নন, সেই নাটক তো দর্শক হিসেবে আমি দেখতে চাই না। ভালো নাটক, ভালো গল্প, ভালো নির্মাতা এবং একদল ভালো অভিনেতা একসঙ্গে টেলিভিশন স্ক্রিনে দেখতে চাই। আর সেটার পূর্বশর্ত অবশ্যই চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে।
কী উপায়ে?
আগে চ্যানেল গল্প দেখেছে, নির্মাতার সঙ্গে কথা বলেছে। উঠতি মেধাবী নির্মাতাদেরও তারা সুযোগ দিয়েছে। এখন তো নাটকের সঙ্গে চ্যানেলের কোনো সম্পর্ক নেই। একেকটি এজেন্সি ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে ৭০-৮০টি করে নাটক বানাচ্ছে। তারা তাদের পছন্দমতো শিল্পী ঠিক করছে। অত্যন্ত কম বাজেট তরুণ নির্মাতাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিনিয়র নির্মাতাদের পক্ষে কম্প্রোমাইজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি টেলিভিশনে অভিনয় করতে পছন্দ করি। কিন্তু ইদানীং টেলিভিশনে নাটক দেখতে পছন্দ করি না। প্রথমত, মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন। দ্বিতীয়ত, নাটকের দু-একজন ভালো শিল্পী, বাকিদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা হয় না। একটি চরিত্র কীভাবে আয়ত্ত করতে হয়, তারা জানে না। এটা তাদের দোষ নয়। বিদেশি সিরিয়াল বন্ধের কথাও জোরেশোরে হচ্ছে। বিদেশি সিরিয়াল নিয়ে আমার কোনো ঝামেলা নেই। একই সময়ে অন্য কয়েকটি চ্যানেলে কোথাও কেউ নেই, বহুব্রীহি, সংশপ্তক, এই সব দিনরাত্রি, অয়োময় যদি দেখানো হয়, তখনই বোঝা যাবে দর্শক কোনটি দেখছেন। অবশ্যই আমাদের নাটকগুলো সবাই দেখবেন! এ জন্যই বলতে চাই, আমাদের প্রোডাকশনের মানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। একটা ধারার নাটক ক্লিক করল তো সবাই একই দিকে ছুটতে থাকল। দর্শককে টেলিভিশনবিমুখ করেছে মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন, চর্বিতচর্বণ গল্প।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের
No comments