আলোচনার মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী
প্রথম আলো: বাংলাদেশে উবার সেবা চালুর পর কেমন সাড়া পাওয়া গেছে?
অমিত জৈন: উবারের সেবা চালু করার পর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, যা আমাদের মুগ্ধ করেছে। গত সপ্তাহে আমরা এ সেবা চালু করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, এ শহরে কীভাবে সেবাগ্রহীতা ও চালকদের কাছে একটি বিশ্বস্ত, সুবিধাজনক ও নিরাপদ সেবা উপহার দিতে পারি। এটি চালুর পরপরই ঢাকা শহরের সেবাগ্রহীতা ও চালকদের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। উবার বিশ্বের বিভিন্ন শহরের জীবনযাত্রাকে সহজ ও গতিশীল করেছে। আমরা জানি, ঢাকা বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর একটি, তাই এ শহরের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ ও গতিশীল করে তোলাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে উবারের ৮০ লাখ ভ্রমণ হয়।
প্রথম আলো: কতজন ট্যাক্সিচালক উবারে নিবন্ধন করেছেন?
অমিত জৈন: উবার স্মার্টফোনের অ্যাপ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে এই অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সিসেবা গ্রহীতা ও চালকের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করা হয়। গ্রাহকদের মধ্যে সেবা নেওয়ার যে চাহিদা তৈরি হয়, তার ভিত্তিতে চালকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়।
প্রথম আলো: যেকোনো দেশে যেকোনো সেবা চালুর ক্ষেত্রে আইনগত কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। বাংলাদেশে উবার সেবা চালুর ক্ষেত্রে সেসব আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ করা হয়েছে কি?
অমিত জৈন: আগেই বলেছি, উবার শুধু একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে শহরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ ও গতিশীল করতে সহায়তা করা হয়। বিশ্বের ৭৪টি দেশের ৪৫০টি শহরে উবারের সেবা চালু আছে। এ ধরনের সেবা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। নতুন কিছু উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা সরকার ও নীতিনির্ধারকদের রূপকল্প পূরণে সহায়তা করতে চাই। সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রথম আলো: উবারে সেবা গ্রহণকারীর ক্ষেত্রে ভাড়া কীভাবে নির্ধারিত হয়?
অমিত জৈন: সব সময় আমাদের চেষ্টা থাকে সেবাটিকে গ্রাহকদের কাছে সাশ্রয়ী ও সহজ করার। সেবাগ্রহীতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বস্ত ও সুবিধাজনক একটি যাত্রা উপহার দিতে চাই আমরা। উবারের সেবায় ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি ভিত্তিমূল্য থাকে। তার সঙ্গে যাত্রার সময় ও দূরত্ব মিলিয়ে পরবর্তী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
প্রথম আলো: বর্তমানে শুধু ঢাকায় এ সেবা চালু করা হয়েছে। অন্যান্য শহরে এ সেবা চালুর পরিকল্পনা আছে কি?
অমিত জৈন: আমাদের প্রথম চেষ্টা ঢাকা শহরে এ সেবাকে যতটা সম্ভব বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য করে তোলা। তাই ঢাকার বাইরে অন্য শহরগুলোতে এ সেবা চালুর বিষয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।
প্রথম আলো: উবারে নিবন্ধিত কোনো চালক যদি যাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তবে তার প্রতিকারের উপায় কী?
অমিত জৈন: প্রযুক্তিনির্ভর এ সেবা চালুর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা ব্যবহারকারীদের একটি নিরাপদ সেবা উপহার দেওয়া। গাড়ি খুঁজে পাওয়া থেকে গাড়িতে অবস্থানকালীন এবং গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত যাত্রীর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। এ জন্য উবার সেবাগ্রহীতার প্রতি আমাদের সব সময় আহ্বান থাকে গাড়িতে ওঠার আগে চালকের নাম, ছবি, লাইসেন্স, গাড়ির নম্বর ইত্যাদি ভালোভাবে দেখে ও মিলিয়ে নিতে। এর বাইরে উবারের আওতায় যেসব গাড়ি চলে, সেগুলোকে যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে গতিবিধি নজরে রাখি। চালক ও সেবাগ্রহীতার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অ্যাপ ব্যবস্থাটির মধ্যেই দুটি ধাপ সংযুক্ত করা আছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি ভ্রমণ শেষে চালক ও সেবাগ্রহীতা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশকে ঘিরে উবারের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি?
অমিত জৈন: আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে যেকোনো শহরে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও সহজ একটি যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা। যাতে করে ওই শহরের নাগরিকের জীবনযাত্রা নিশ্চিন্ত ও গতিশীল হয়। প্রতিটি শহরের সব অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলক আলাপ–আলোচনার মাধ্যমেই এ কাজ করতে চায়। বাংলাদেশেও আমরা এ লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাব।
অমিত জৈন: উবারের সেবা চালু করার পর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, যা আমাদের মুগ্ধ করেছে। গত সপ্তাহে আমরা এ সেবা চালু করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, এ শহরে কীভাবে সেবাগ্রহীতা ও চালকদের কাছে একটি বিশ্বস্ত, সুবিধাজনক ও নিরাপদ সেবা উপহার দিতে পারি। এটি চালুর পরপরই ঢাকা শহরের সেবাগ্রহীতা ও চালকদের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। উবার বিশ্বের বিভিন্ন শহরের জীবনযাত্রাকে সহজ ও গতিশীল করেছে। আমরা জানি, ঢাকা বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর একটি, তাই এ শহরের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ ও গতিশীল করে তোলাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে উবারের ৮০ লাখ ভ্রমণ হয়।
প্রথম আলো: কতজন ট্যাক্সিচালক উবারে নিবন্ধন করেছেন?
অমিত জৈন: উবার স্মার্টফোনের অ্যাপ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে এই অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সিসেবা গ্রহীতা ও চালকের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করা হয়। গ্রাহকদের মধ্যে সেবা নেওয়ার যে চাহিদা তৈরি হয়, তার ভিত্তিতে চালকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়।
প্রথম আলো: যেকোনো দেশে যেকোনো সেবা চালুর ক্ষেত্রে আইনগত কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। বাংলাদেশে উবার সেবা চালুর ক্ষেত্রে সেসব আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ করা হয়েছে কি?
অমিত জৈন: আগেই বলেছি, উবার শুধু একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে শহরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ ও গতিশীল করতে সহায়তা করা হয়। বিশ্বের ৭৪টি দেশের ৪৫০টি শহরে উবারের সেবা চালু আছে। এ ধরনের সেবা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। নতুন কিছু উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা সরকার ও নীতিনির্ধারকদের রূপকল্প পূরণে সহায়তা করতে চাই। সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রথম আলো: উবারে সেবা গ্রহণকারীর ক্ষেত্রে ভাড়া কীভাবে নির্ধারিত হয়?
অমিত জৈন: সব সময় আমাদের চেষ্টা থাকে সেবাটিকে গ্রাহকদের কাছে সাশ্রয়ী ও সহজ করার। সেবাগ্রহীতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বস্ত ও সুবিধাজনক একটি যাত্রা উপহার দিতে চাই আমরা। উবারের সেবায় ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি ভিত্তিমূল্য থাকে। তার সঙ্গে যাত্রার সময় ও দূরত্ব মিলিয়ে পরবর্তী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
প্রথম আলো: বর্তমানে শুধু ঢাকায় এ সেবা চালু করা হয়েছে। অন্যান্য শহরে এ সেবা চালুর পরিকল্পনা আছে কি?
অমিত জৈন: আমাদের প্রথম চেষ্টা ঢাকা শহরে এ সেবাকে যতটা সম্ভব বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য করে তোলা। তাই ঢাকার বাইরে অন্য শহরগুলোতে এ সেবা চালুর বিষয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।
প্রথম আলো: উবারে নিবন্ধিত কোনো চালক যদি যাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তবে তার প্রতিকারের উপায় কী?
অমিত জৈন: প্রযুক্তিনির্ভর এ সেবা চালুর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা ব্যবহারকারীদের একটি নিরাপদ সেবা উপহার দেওয়া। গাড়ি খুঁজে পাওয়া থেকে গাড়িতে অবস্থানকালীন এবং গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত যাত্রীর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। এ জন্য উবার সেবাগ্রহীতার প্রতি আমাদের সব সময় আহ্বান থাকে গাড়িতে ওঠার আগে চালকের নাম, ছবি, লাইসেন্স, গাড়ির নম্বর ইত্যাদি ভালোভাবে দেখে ও মিলিয়ে নিতে। এর বাইরে উবারের আওতায় যেসব গাড়ি চলে, সেগুলোকে যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে গতিবিধি নজরে রাখি। চালক ও সেবাগ্রহীতার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অ্যাপ ব্যবস্থাটির মধ্যেই দুটি ধাপ সংযুক্ত করা আছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি ভ্রমণ শেষে চালক ও সেবাগ্রহীতা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশকে ঘিরে উবারের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি?
অমিত জৈন: আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে যেকোনো শহরে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও সহজ একটি যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা। যাতে করে ওই শহরের নাগরিকের জীবনযাত্রা নিশ্চিন্ত ও গতিশীল হয়। প্রতিটি শহরের সব অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলক আলাপ–আলোচনার মাধ্যমেই এ কাজ করতে চায়। বাংলাদেশেও আমরা এ লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাব।
No comments