ভাঙাচোরা সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী
কুমিল্লার মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নয় কিলোমিটার এই রাস্তায় চলাচলে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ছবিটি সম্প্রতি তেমুরিয়া এলাকা থেকে তোলা। প্রথম আলো |
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। সড়কটির বেশির ভাগ অংশের পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ শত শত যান। এতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। সরেজমিনে গত ২১ নভেম্বর দেখা গেছে, সড়কের উপজেলা সদরের হরিপুর গ্রামের অংশে পিচ উঠে গেছে। সদর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে করিমপুর বাজার বেইলি সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এই বাজার থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে নেয়ামতপুর হাজি সুপারমার্কেট। এর সামনে থেকে প্রায় পৌনে ১ কিলোমিটার অংশে পিচ নেই। লাল সুরকি বেরিয়ে আছে। ধুলা উড়ছে। এর পরের প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে কাশীপুর এলাকায় সড়কটি উঁচু-নিচু, ঢেউখেলানো। এরপর নোয়াগাঁও বাজার। সেখানে মায়ের দোয়া নামের একটি দোকানের সামনে বড় বড় গর্ত। তারপর নোয়াগাঁও চৌরাস্তা, যেখানে রামচন্দ্রপুর থেকে চট্টগ্রামগামী একটি বাস গর্তে পড়ে আছে।
নোয়াগাঁও বাজার থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে কামাল্লা দরবার শরিফসংলগ্ন সেতুর কাছে সড়কটিতে চারটি বড় গর্ত। সেতু পার হয়ে সিয়াম মার্কেট ও কামাল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে সড়কটি ভেঙেচুরে একাকার। এরপর রাজনগর ও তেমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের দুই পাশভেঙে গেছে। তেমুরিয়া ঈদগাহ ও কবরস্থানের পাশেও সড়ক ভাঙাচোরা। রামচন্দ্রপুর গ্রামে রয়েছে প্রায় ২৫০ বছরের পুরোনো একটি বাজার। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিতাসের শাখা নদ। উত্তর কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ প্রতিদিন এ বাজারে আসে। এখানে চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে শুঁটকি আনা হয়। এসব কারণে যাতায়াতের জন্য সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ৯ কিলোমিটার সড়কইভাঙাচোরা। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, আট বছর আগে এই সড়কে সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর আর কোনো ধরনের সংস্কারকাজ হয়নি। নেয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মুরাদনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুরের বাসিন্দারাও ব্যবহার করেন। কিন্তু যানবাহনে যাতায়াত করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটে চলাই মুশকিল। সড়কটি শিগগির সংস্কার করা দরকার। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফউদ্দিন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।
No comments