যেভাবে অর্থ পাচারের কেন্দ্রে পরিণত পানামা
পানামাভিত্তিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার বিপুল পরিমাণ নথি ফাঁস হওয়ার পর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দেশটি। বিশ্বের অন্যান্য কর রেয়াতকারী অঞ্চল থেকে পানামার ভিন্নতা ঠিক কোথায় আর কীভাবেই বা পানামা এমন একটি অঞ্চলে পরিণত হলো, পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:
শুরু যেভাবে নরওয়ের প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ট্যাক্সেশনের একটি গবেষণা প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। ওই গবেষণা অনুযায়ী, কর রেয়াতের সুবিধাজনক স্থান হিসেবে পানামার যাত্রা শুরু সেই ১৯১৯ সাল থেকে। এ সময় পানামা খাল দিয়ে চলাচলকারী মার্কিন তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের জাহাজগুলোকে নিবন্ধনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর ও ও অন্যান্য আইন ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার রীতি চালু হয়। এভাবে জাহাজের জন্য মাশুল ফাঁকি দেওয়ার ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পর তাদের কর্মকাণ্ড আরও বাড়াতে উদ্যোগী হয় পানামা। সেন্টার ফর ট্যাক্সেশনের ওই গবেষণায় বলা হয়, ‘মার্কিন পুঁজিবাজার ওয়াল স্ট্রিটের আগ্রহেই পানামা শিথিল কর আইন তৈরি করে। এর ফলে দেশটিতে অজ্ঞাত-অখ্যাত প্রতিষ্ঠান তৈরি করে কর ফাঁকি দিয়ে অর্থ গচ্ছিত রাখার ক্ষেত্র তৈরি হয়। ১৯৭০ এর দশকে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেড়ে গেলে পানামার এই ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। এরপর কী হলো নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে দেশের বাইরে লোকের অর্থ নিরাপদে রাখায় অগ্রগামী পানামা এবারে কঠোর গোপনীয়তা আইন তৈরি করল। এ আইন ভাঙলে কঠোর দেওয়ানি বা ফৌজদারি অপরাধের বিধান করা হলো। পানামার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এসব অফশোর ব্যাংকের হিসাব বা হিসাবের নাম না দিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
শুরু যেভাবে নরওয়ের প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ট্যাক্সেশনের একটি গবেষণা প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। ওই গবেষণা অনুযায়ী, কর রেয়াতের সুবিধাজনক স্থান হিসেবে পানামার যাত্রা শুরু সেই ১৯১৯ সাল থেকে। এ সময় পানামা খাল দিয়ে চলাচলকারী মার্কিন তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের জাহাজগুলোকে নিবন্ধনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর ও ও অন্যান্য আইন ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার রীতি চালু হয়। এভাবে জাহাজের জন্য মাশুল ফাঁকি দেওয়ার ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পর তাদের কর্মকাণ্ড আরও বাড়াতে উদ্যোগী হয় পানামা। সেন্টার ফর ট্যাক্সেশনের ওই গবেষণায় বলা হয়, ‘মার্কিন পুঁজিবাজার ওয়াল স্ট্রিটের আগ্রহেই পানামা শিথিল কর আইন তৈরি করে। এর ফলে দেশটিতে অজ্ঞাত-অখ্যাত প্রতিষ্ঠান তৈরি করে কর ফাঁকি দিয়ে অর্থ গচ্ছিত রাখার ক্ষেত্র তৈরি হয়। ১৯৭০ এর দশকে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেড়ে গেলে পানামার এই ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। এরপর কী হলো নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে দেশের বাইরে লোকের অর্থ নিরাপদে রাখায় অগ্রগামী পানামা এবারে কঠোর গোপনীয়তা আইন তৈরি করল। এ আইন ভাঙলে কঠোর দেওয়ানি বা ফৌজদারি অপরাধের বিধান করা হলো। পানামার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এসব অফশোর ব্যাংকের হিসাব বা হিসাবের নাম না দিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
জার্মানির দুই আলোচিত সাংবাদিক ফ্রেডেরিক ওবারমায়ার(বাঁয়ে) ও বাস্টিয়ান ওবারমায়ার। তাঁরাই ‘পানামা পেপারস’ নামে নথিগুলো গ্রন্থনা করেছেন। মিউনিখ শহরে জিতডয়েচে সাইটুং পত্রিকার কার্যালয় থেকে গতকাল তোলা ছবি |
পানামা তথাকথিত প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে বিদেশিদের অর্থ গচ্ছিত রাখার নিরাপদ কেন্দ্র হয়ে ওঠার পেছনে বড় কারণ, দেশটির সঙ্গে কোনো দেশের কর চুক্তি নেই। এর ফল কী হলো খ্যাতনামা মার্কিন সাংবাদিক কেন সিলভারস্টাইন ২০১৪ সালে এক নিবন্ধে বলেন, ‘পানামার এমন শিথিল আইনের ফলে বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসকেরা তাঁদের লুটের অর্থ গচ্ছিত রাখার নিরাপদ জায়গা খুঁজে পান। এসব শাসকের মধ্যে ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্দিনান্দ মার্কোস, হাইতির ফ্রাঁসোয়া দুভালিয়র বা আগুস্তো পিনোশে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৯ সালে জেনারেল নরিয়েগাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় বসা গুয়েলারমো এন্দারা দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হলেও অর্থ পাচার, কর ফাঁকি রুখতে আইনের কোনো জুতসই পরিবর্তনই করেনি দেশটি।
No comments