পানামা পেপারসে নাম আছে সাইফ-কারিনার
পানামার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নথিতে নাম আছে বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর ও কারিনার বোন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের। নথিতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা সবাই অফশোর কোম্পানিতে অর্থ লগ্নি করেছিলেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে জি নিউজের খবরে বলা হয়, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পুনে ফ্রাঞ্চাইজি কেনার জন্য পি-ভিশন স্পোর্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিলেন ১০ জন। দল কেনার জন্য গড়া তহবিলের ১৫ শতাংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছিল অফশোর কোম্পানি অবডুরেট লিমিটেডের জন্য। কিন্তু আইপিএলের নিলামে হেরে দল কিনতে না পারায় শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যায়। পি-ভিশন স্পোর্টস গড়তে সাইফ, কারিনা ও কারিশমার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় শিল্পপতি ভেনুগোপাল ও পুনের চোরদিয়া পরিবারের নাম। নথিতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা সবাই অফশোর কোম্পানিতে অর্থ লগ্নি করেছিলেন।
স্পোর্টস কনসোর্টিয়ামের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশীদার ছিল চোরদিয়া পরিবার। তাদের ছিল ৩৩ শতাংশ, কারিনা ও কারিশমা দুজনেরই ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করে। সাইফ আর মুম্বাইয়ের বাসিন্দা মানোজের ছিল ৯ শতাংশ করে, ২৫ শতাংশ ছিল ভেনুগোপালের। আর ১৫ শতাংশ তাঁদের কোম্পানি অবডুরেটের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভেনুগোপাল বলেছেন, তিনি শুধু পি-ভিশন স্পোর্টসের ২৫ শতাংশের ব্যাপারে জানেন, অবডুরেটের ব্যাপারে কিছু জানেন না। আর অতুল চোরদিয়া বলেছেন, তিনি ওই স্পোর্টস কোম্পানির মালিক ছিলেন, কোনো অফশোর কোম্পানির শেয়ার তাঁর ছিল না। এসব ব্যাপারে কারিনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, কারিনা শহরে নেই। সাইফের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। মুম্বাইয়ের বাসিন্দা মনোজেরও কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার মোসাক ফনসেকার ১ কোটি ১৫ লাখ নথি ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া এসব নথিতে বিশ্বের শতাধিক ক্ষমতাধর মানুষ বা তাঁদের নিকটাত্মীয়দের বিদেশে টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তালিকায় দেখা গেছে যে চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবের মতো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বা তাঁদের আত্মীয়স্বজনও এসব অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। নাম পাওয়া গেছে ভারতের অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের।
No comments