দমনের যুগ শুরু হয়েছে by পার্থ চেট্টাপাধ্যায়
ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এস এ আর গিলানিকে গ্রেপ্তার |
ভারতের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এবারই প্রথম
আঘাত করা হলো, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু এবার যেভাবে আঘাতটা করা হলো, তার
মধ্যে একটা নতুন ধরন আছে, যেটা বেশ মারাত্মক।
আমরা জানি, যারা উপনিবেশবিরোধী স্লোগান দিত বা জাতীয়তাবাদী মতামত প্রকাশ করত, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা তাদের বিরুদ্ধে গয়রহভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনত। রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে হাজার লেখক, শিল্পী, কবি ও শিক্ষককেও গ্রেপ্তার করেছিল তারা। কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তারা তো নিজেরাও ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেরা ছাত্র ছিলেন, যাঁরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনের সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য তুমুল প্রতিযোগিতা করে এসেছিলেন। ফলে তাঁরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিটিশ নীতিকে শ্রদ্ধা করতেন।
স্বাধীন ভারতের শুরুর দিকে, যখন আমি কলেজে পড়তাম, তখন পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না, সরকার এই নিয়মটি মেনে চলত। ছাত্ররা রাস্তায় প্রতিবাদ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ত, আর পুলিশও ব্যত্যয়হীনভাবে কলেজের ফটকে এসে দাঁড়িয়ে যেত, ভেতরে ঢুকত না। ১৯৭০-এর দশক থেকে এই নিয়ম ভাঙা শুরু হয়। যে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত লেগেই থাকে, সেখানে সরকার ও বিরোধীদের দ্বন্দ্বের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কেও টেনে আনা হলো। সহিংস প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য ছাত্র ও শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করা হলো। আর এটা বলাই বাহুল্য যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চলছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাড় দেওয়া হয়নি।
কিন্তু ১৯৭৫-৭৭ সালের জরুরি অবস্থার সময়টা বাদ দিলে আর কখনোই এমন হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না, যখন বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কি এটা মেনে নিতে হবে যে জাতির প্রতি অনুগত হলে এসব বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না: আমাদের জাতির উদ্ভব ও বর্তমান মর্যাদা, সংবিধান ও আইনের প্রকৃতি, বিভিন্ন অঞ্চল ও সংস্কৃতির মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি। অন্য কথায়, জাতীয় আনুগত্য থাকার অর্থ কি এ রকম যে ছাত্র ও শিক্ষকেরা নিপীড়িত ও সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার নিয়ে আলোচনাই করতে পারবে না? কেউ ভাবতে পারেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণ হচ্ছে এসব বিতর্ক।
আমরা জানি, যারা উপনিবেশবিরোধী স্লোগান দিত বা জাতীয়তাবাদী মতামত প্রকাশ করত, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা তাদের বিরুদ্ধে গয়রহভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনত। রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে হাজার লেখক, শিল্পী, কবি ও শিক্ষককেও গ্রেপ্তার করেছিল তারা। কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তারা তো নিজেরাও ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেরা ছাত্র ছিলেন, যাঁরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনের সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য তুমুল প্রতিযোগিতা করে এসেছিলেন। ফলে তাঁরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিটিশ নীতিকে শ্রদ্ধা করতেন।
স্বাধীন ভারতের শুরুর দিকে, যখন আমি কলেজে পড়তাম, তখন পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না, সরকার এই নিয়মটি মেনে চলত। ছাত্ররা রাস্তায় প্রতিবাদ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ত, আর পুলিশও ব্যত্যয়হীনভাবে কলেজের ফটকে এসে দাঁড়িয়ে যেত, ভেতরে ঢুকত না। ১৯৭০-এর দশক থেকে এই নিয়ম ভাঙা শুরু হয়। যে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত লেগেই থাকে, সেখানে সরকার ও বিরোধীদের দ্বন্দ্বের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কেও টেনে আনা হলো। সহিংস প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য ছাত্র ও শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করা হলো। আর এটা বলাই বাহুল্য যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চলছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাড় দেওয়া হয়নি।
কিন্তু ১৯৭৫-৭৭ সালের জরুরি অবস্থার সময়টা বাদ দিলে আর কখনোই এমন হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না, যখন বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কি এটা মেনে নিতে হবে যে জাতির প্রতি অনুগত হলে এসব বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না: আমাদের জাতির উদ্ভব ও বর্তমান মর্যাদা, সংবিধান ও আইনের প্রকৃতি, বিভিন্ন অঞ্চল ও সংস্কৃতির মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি। অন্য কথায়, জাতীয় আনুগত্য থাকার অর্থ কি এ রকম যে ছাত্র ও শিক্ষকেরা নিপীড়িত ও সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার নিয়ে আলোচনাই করতে পারবে না? কেউ ভাবতে পারেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণ হচ্ছে এসব বিতর্ক।
ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারে ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন |
যত
গণপরিসর আছে তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে মূল্যবান এ কারণে যে এটা
হচ্ছে জাতির প্রাণবন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের কেন্দ্র, যার ভিত্তি হচ্ছে
চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কথাও বলা যায়,
দুনিয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের কেন্দ্র হলেও এ দেশটির
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির নিশ্চয়তা আছে, সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে
বলা আছে, পড়ানো ও মত প্রকাশের কারণে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হবে না।
১৯৫০-এর দশকে কুখ্যাত ম্যাককার্থির হাতে কমিউনিস্টদের নির্যাতিত হওয়ার পর
যুক্তরাষ্ট্রে এই অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
আজ ভারতে যা হচ্ছে তা অনেকটা সেই ম্যাককার্থির যুগের মতোই। যাদের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউতে ‘জাতিবিরোধী’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তারা সত্যিই সেটা করেছিল কি না, তা এই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোহিত ভেমুলার ব্যাপারটা খুবই বিয়োগান্ত, তাঁকে তো আর জীবিত ফিরিয়ে আনা যাবে না। এটা কোন ঘরানার আইন, যেখানে আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও তার পরিপালন করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করা যাবে না, তা-ও আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণপরিসরে?
কোন সাংবিধানিক আইন বলেছে, জাতি-রাষ্ট্রের বিদ্যমান সীমানা ও ভারতীয় ইউনিয়নের দুটি রাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আবার যেখানে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় ইউনিয়নের রাজ্যের সংখ্যা ও তাদের মধ্যকার ফেডারেল সম্পর্কের ধরন প্রায় প্রায়ই বদলায়, সেখানে এমন কথা কীভাবে বলা যায়।
নাকি এমন দাবি করা হচ্ছে যে এসব স্পর্শকাতর বিষয় রাজনীতিকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া উচিত, কোমল মনের ছাত্রদের এমন বিপজ্জনক সন্দেহের দিকে ঠেলে দেওয়া যায় না? অথবা বিশ্ববিদ্যালয়কে যে জাতীয়তাবাদের আঁতুড়ঘর বানানোর পরিকল্পনা চলছে, যেখানে ছাত্রদের মগজ ধোলাই করে তাদের হাবাগোবা বানানো হবে? সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২০৭ ফুট লম্বা ইস্পাতের খুঁটিতে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হবে। এমন মূল্যবান সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসাহাসি করলেও আমরা রেহাই পেয়ে যেতে পারি, কিন্তু এর মাজেজা খুবই মারাত্মক, ব্যাপারটা প্রহসন।
দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ যে বন্দোবস্ত করেছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা বাম-দলিত-সংখ্যালঘু ঘরানার যেকোনো ছাত্রের ওপর হামলে পড়তে পারবে। রাজনৈতিক প্রত্যয়ের ভিত্তিতে তাদের ‘জাতিবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতেই পারে, কিন্তু আদালতে না টিকলে তা একেবারেই কাজে আসবে না। এর লক্ষ্য হচ্ছে বিরোধীদের গায়ে কালি লাগানো, ভয় দেখানো। গত বছর এম এম কালবুর্গির হত্যার মধ্য দিয়ে যার চূড়ান্ত নজির দেখা গেছে। আজ আমরা যা দেখছি তা হয়তো এক দীর্ঘ ও রক্তাক্ত যাত্রার শুরু মাত্র: পাতিয়ালা হাউস আদালতে কানাইয়া কুমারের ওপর হামলা বা গোয়ালিয়রে অধ্যাপক বিবেক কুমারের ওপর হামলা।
কথা হচ্ছে, আমাদের অনেক কিছুই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
স্ক্রল. ইন থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
পার্থ চেট্টাপাধ্যায়: ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও চিন্তক।
আজ ভারতে যা হচ্ছে তা অনেকটা সেই ম্যাককার্থির যুগের মতোই। যাদের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউতে ‘জাতিবিরোধী’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তারা সত্যিই সেটা করেছিল কি না, তা এই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোহিত ভেমুলার ব্যাপারটা খুবই বিয়োগান্ত, তাঁকে তো আর জীবিত ফিরিয়ে আনা যাবে না। এটা কোন ঘরানার আইন, যেখানে আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও তার পরিপালন করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করা যাবে না, তা-ও আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণপরিসরে?
কোন সাংবিধানিক আইন বলেছে, জাতি-রাষ্ট্রের বিদ্যমান সীমানা ও ভারতীয় ইউনিয়নের দুটি রাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আবার যেখানে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় ইউনিয়নের রাজ্যের সংখ্যা ও তাদের মধ্যকার ফেডারেল সম্পর্কের ধরন প্রায় প্রায়ই বদলায়, সেখানে এমন কথা কীভাবে বলা যায়।
নাকি এমন দাবি করা হচ্ছে যে এসব স্পর্শকাতর বিষয় রাজনীতিকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া উচিত, কোমল মনের ছাত্রদের এমন বিপজ্জনক সন্দেহের দিকে ঠেলে দেওয়া যায় না? অথবা বিশ্ববিদ্যালয়কে যে জাতীয়তাবাদের আঁতুড়ঘর বানানোর পরিকল্পনা চলছে, যেখানে ছাত্রদের মগজ ধোলাই করে তাদের হাবাগোবা বানানো হবে? সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২০৭ ফুট লম্বা ইস্পাতের খুঁটিতে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হবে। এমন মূল্যবান সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসাহাসি করলেও আমরা রেহাই পেয়ে যেতে পারি, কিন্তু এর মাজেজা খুবই মারাত্মক, ব্যাপারটা প্রহসন।
দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ যে বন্দোবস্ত করেছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা বাম-দলিত-সংখ্যালঘু ঘরানার যেকোনো ছাত্রের ওপর হামলে পড়তে পারবে। রাজনৈতিক প্রত্যয়ের ভিত্তিতে তাদের ‘জাতিবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতেই পারে, কিন্তু আদালতে না টিকলে তা একেবারেই কাজে আসবে না। এর লক্ষ্য হচ্ছে বিরোধীদের গায়ে কালি লাগানো, ভয় দেখানো। গত বছর এম এম কালবুর্গির হত্যার মধ্য দিয়ে যার চূড়ান্ত নজির দেখা গেছে। আজ আমরা যা দেখছি তা হয়তো এক দীর্ঘ ও রক্তাক্ত যাত্রার শুরু মাত্র: পাতিয়ালা হাউস আদালতে কানাইয়া কুমারের ওপর হামলা বা গোয়ালিয়রে অধ্যাপক বিবেক কুমারের ওপর হামলা।
কথা হচ্ছে, আমাদের অনেক কিছুই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
স্ক্রল. ইন থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
পার্থ চেট্টাপাধ্যায়: ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও চিন্তক।
No comments