আমাকে গ্রেপ্তার করাতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলো মিথ্যা লিখেছিল -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে গ্রেপ্তার করাতে মিথ্যা বলেছিল ডেইলি স্টার ও
প্রথম আলো। গতকাল সংসদে দেয়া সমাপনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সাম্প্রতিক
সময়ে শিশুহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি
আশা প্রকাশ করেন, এসব ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। তিনি
বলেন, শিশুহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। কেন এই জিঘাংসা? পরিবারের একটি ছোট
ঘটনার জন্য একটি শিশুকে কেন হত্যা করা হবে? এই শিশুহত্যার ঘটনায় আমি
ধিক্কার জানাই। যারা শিশুহত্যার সঙ্গে জড়িত, আমি আশা করি আদালত তাদের
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে। শিশুহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে
তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পালিয়ে গেছে তাদের ধরিয়ে
দিন।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এবং বাংলা দৈনিক প্রথম আলো পড়েন না বলে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, এ দুটি পত্রিকা ২০ বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে লিখে আসছে। আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পড়ি না। আমি জানি, এই দুটি পত্রিকা আমাকে খোঁচা দিয়ে কিছু লিখবে। আর সেই খোঁচা খেয়ে আমি হোঁচট খাবো। তাই আমি সরকারপ্রধান হওয়ার পর এই পত্রিকা দুটি পড়ি না। টক-শোর বিষয় অবতারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টক-মিষ্টি-ঝাল কথা, সেগুলো আসলে টকই হয়ে যায়। প্রতিনিয়তই আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে। আবার বলে, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করছি। আমরা তো স্বাধীন গণমাধ্যমকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করি না। তিনি বলেন, অতীতে রেডিও-টেলিভিশন বেসরকারি খাতে ছিল না। আমরা কিন্তু সেটা করিয়েছি। কেননা, সেখানে ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। মিডিয়ার জন্য যত বেশি সুযোগ দিয়েছি, আমি তত বেশি ভিকটিম হয়েছি। ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর নামের ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা হলো ডেইলি স্টার- প্রতিদিনের তারা, আর একটা হলো প্রথম আলো- তার মানে হলো আলো ফুটে বের হয়। কিন্তু তাদের কাজ হলো অন্ধকারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ‘মিথ্যা’ লিখে তাকে গ্রেপ্তারের পথ তৈরি করেছিল।
তিনি বলেন, এই দুটি পত্রিকার ওপরে লেখা থাকে নির্ভীক সাংবাদিকতা। তারা ডিজিএফআইর লেখা ছাপলো। সেই লেখায় কী তারা সূত্রের নাম লিখেছিল? আমি তো তখন বিরোধী দলে ছিলাম। আঘাতটা আমার ওপরই আগে এলো। আমাকে আগে গ্রেপ্তার করা হলো। আমাকে গ্রেপ্তারের জন্য মিথ্যা লেখা লিখে গেছে এই দুটি পত্রিকা। শেখ হাসিনা বলেন, এটি (কথিত দুর্নীতির খবর) সাপ্লাই করেছে ডিজিএফআইর ব্রিগেডিয়ার আমিন ও ব্রিগেডিয়ার বারী। যারা শিক্ষক-ছাত্র-রাজনীতিবিদদের এত অত্যাচার করে গেছে, তাদের সঙ্গে কী এত সখ্য? ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম এবং প্রথম আলোর মতিউর রহমান কী এর জবাব দিতে পারবেন? তারা হয় এটা করেছেন আমাকে রাজনীতি থেকে বিদায় দেয়ার জন্য, না হয় তারা তাদের পেরোলে ছিল। তাদের দূতিয়ালি করেছে, তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। যাদের দ্বারা সবাই নির্যাতিত, তারা তাদের চোখের তারা। আমিন ও বারীর চোখের তারা, তাদের স্টার, তাদের চোখের আলো হয়ে গেল।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এবং বাংলা দৈনিক প্রথম আলো পড়েন না বলে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, এ দুটি পত্রিকা ২০ বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে লিখে আসছে। আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পড়ি না। আমি জানি, এই দুটি পত্রিকা আমাকে খোঁচা দিয়ে কিছু লিখবে। আর সেই খোঁচা খেয়ে আমি হোঁচট খাবো। তাই আমি সরকারপ্রধান হওয়ার পর এই পত্রিকা দুটি পড়ি না। টক-শোর বিষয় অবতারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টক-মিষ্টি-ঝাল কথা, সেগুলো আসলে টকই হয়ে যায়। প্রতিনিয়তই আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে। আবার বলে, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করছি। আমরা তো স্বাধীন গণমাধ্যমকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করি না। তিনি বলেন, অতীতে রেডিও-টেলিভিশন বেসরকারি খাতে ছিল না। আমরা কিন্তু সেটা করিয়েছি। কেননা, সেখানে ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। মিডিয়ার জন্য যত বেশি সুযোগ দিয়েছি, আমি তত বেশি ভিকটিম হয়েছি। ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর নামের ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা হলো ডেইলি স্টার- প্রতিদিনের তারা, আর একটা হলো প্রথম আলো- তার মানে হলো আলো ফুটে বের হয়। কিন্তু তাদের কাজ হলো অন্ধকারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ‘মিথ্যা’ লিখে তাকে গ্রেপ্তারের পথ তৈরি করেছিল।
তিনি বলেন, এই দুটি পত্রিকার ওপরে লেখা থাকে নির্ভীক সাংবাদিকতা। তারা ডিজিএফআইর লেখা ছাপলো। সেই লেখায় কী তারা সূত্রের নাম লিখেছিল? আমি তো তখন বিরোধী দলে ছিলাম। আঘাতটা আমার ওপরই আগে এলো। আমাকে আগে গ্রেপ্তার করা হলো। আমাকে গ্রেপ্তারের জন্য মিথ্যা লেখা লিখে গেছে এই দুটি পত্রিকা। শেখ হাসিনা বলেন, এটি (কথিত দুর্নীতির খবর) সাপ্লাই করেছে ডিজিএফআইর ব্রিগেডিয়ার আমিন ও ব্রিগেডিয়ার বারী। যারা শিক্ষক-ছাত্র-রাজনীতিবিদদের এত অত্যাচার করে গেছে, তাদের সঙ্গে কী এত সখ্য? ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম এবং প্রথম আলোর মতিউর রহমান কী এর জবাব দিতে পারবেন? তারা হয় এটা করেছেন আমাকে রাজনীতি থেকে বিদায় দেয়ার জন্য, না হয় তারা তাদের পেরোলে ছিল। তাদের দূতিয়ালি করেছে, তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। যাদের দ্বারা সবাই নির্যাতিত, তারা তাদের চোখের তারা। আমিন ও বারীর চোখের তারা, তাদের স্টার, তাদের চোখের আলো হয়ে গেল।
No comments