রূপপুর প্রকল্পে সায় আছে বিএনপির
রূপপুরে
রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিতব্য দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে
রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার
এ নিকোলায়েভ। এতে কেবল আওয়ামী সরকার নয়, বিএনপি নেতৃত্বেরও সমর্থন রয়েছে
উল্লেখ করে তিনি জানান, এ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও অন্য
নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। গতকাল কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি (ডিকাব)’র
নিয়মিত মতবিনিময় অনুষ্ঠান ডিকাব-টক এ রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। সেখানে
প্রকল্পের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত এ নিয়ে ভয় ও বিভ্রান্তি
নিরসনের চেষ্টা করেন। বলেন, রূপপুর প্রকল্পটি শতভাগ নিরাপদ হবে। এ নিয়ে যে
ভয় রয়েছে তা কাটাতে প্রযুক্তি সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সঙ্গে
সাংবাদিকদের কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। তার মতে, জ্ঞানী লোকজনের আলোচনা
বেশি হলে সেই ‘ভয়’ কেটে যাবে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ নয় ‘জ্বালানি নিরাপত্তা সহযোগিতাই’ প্রধান
বিবেচ্য উল্লেখ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, শক্তিশালী জ্বালানি খাত একটি
আধুনিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার প্রশংসা
করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবাদবিরোধী জোটে
বাংলাদেশের যোগদানে রাশিয়া প্রাথমিকভাবে বিস্মিত হয়েছিল বলে জানান
রাষ্ট্রদূত। তবে জোটের কর্মকাণ্ডে মস্কো এখন আর বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করে
তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালার বাইরে গিয়ে সৌদি জোটের
অধীনে কোথাও বাংলাদেশ সৈন্য পাঠাবে না বলে আমাকে ঢাকা বহুবার আশ্বস্ত
করেছে। তাছাড়া, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার
সামপ্রতিক যৌথ বিবৃতির পর সৌদি নেতৃত্বাধীন ওই জোট গুরুত্ব হারিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বর্তমানে ৩টি জোট
রয়েছে, সৌদি জোট তার একটি। সিরিয়ায় সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া
সমপ্রতি একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এরপর আরও গুরুত্ব হারিয়েছে ওই জোট। তার
ভাষায়- ‘সৌদি জোটে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে আমাদের প্রাথমিক চমক
সত্ত্বেও, আমরা এই মুহূর্তে এ জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। গত
বছর ডিসেম্বরে সৌদি অনুরোধে দেশটির নেতৃত্বাধীন ৩৪ মুসলিম রাষ্ট্রের সামরিক
জোটে যোগ দেয় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে
সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের একটি কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে। বাংলাদেশ এ
জোটের অধীনে কখনই কোনো সৈন্য মোতায়েনের কথা বলেনি।
নতুন বছরে কোনো বিদেশি দূতের সঙ্গে ডিকাবের এটিই ছিল প্রথম মতবিনিময় অনুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টির সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ের সূচনা বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত তার চার বছর মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের বিভিন্ন ঘটনা এবং বহুমুখী এ সম্পর্কের প্রেক্ষিত তুলে ধরেন। পরে উন্মুক্ত সেশনে এ নিয়ে বিভিন্ন জবাব দেন। আগামী ১০ই মার্চ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিক। এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় কাজ করে ‘সন্তুষ্ট’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত নিকোলায়েভ। এখানে তার উত্তরসূরির মিশন ‘বড় চ্যালেঞ্জের’ হতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি তার সফলতা কামনা করেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা নিশ্চিত যে, আগামী ২০, ৩০ বা ১০০ বছরে বাংলাদেশে যেসব কার্যকর সরকার আসবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে তো বটেই এটি দিনে দিনে আরও উন্নত হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোন দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়া কোন হস্তক্ষেপ করে না।
অনুষ্ঠানে অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া থেকে আরও অস্ত্র কেনার বিষয়ে বাংলাদেশের আর্মস ফোর্স বিভাগের আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হতে হয়। বাংলাদেশের কাছ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়া গেলে রাশিয়া বিবেচনা করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশ দুটির অবস্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্ব রাজনীতির বহুমেরু কাঠামো এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ন্যায্যতার পক্ষে সবসময়ই বাংলাদেশ রাশিয়ার আস্থাভাজন ও পরীক্ষিত অংশীদার। বিদেশি হত্যার পর পশ্চিমা দেশগুলোর জারি করা ভ্রমণ সতর্কতার সূত্র ধরে তিনি বলেন, বছরের শেষদিকে এসে বাংলাদেশও নিজেদের ‘কুটিল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতির’ মধ্যে আবিষ্কার করেছে। বাংলাদেশকে এমন আন্তর্জাতিক চাপ সামাল দিতে হয়েছে, যা উন্নয়নের চেষ্টাকে ব্যাহত করে।
নতুন বছরে কোনো বিদেশি দূতের সঙ্গে ডিকাবের এটিই ছিল প্রথম মতবিনিময় অনুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টির সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ের সূচনা বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত তার চার বছর মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের বিভিন্ন ঘটনা এবং বহুমুখী এ সম্পর্কের প্রেক্ষিত তুলে ধরেন। পরে উন্মুক্ত সেশনে এ নিয়ে বিভিন্ন জবাব দেন। আগামী ১০ই মার্চ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিক। এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় কাজ করে ‘সন্তুষ্ট’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত নিকোলায়েভ। এখানে তার উত্তরসূরির মিশন ‘বড় চ্যালেঞ্জের’ হতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি তার সফলতা কামনা করেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা নিশ্চিত যে, আগামী ২০, ৩০ বা ১০০ বছরে বাংলাদেশে যেসব কার্যকর সরকার আসবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে তো বটেই এটি দিনে দিনে আরও উন্নত হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোন দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়া কোন হস্তক্ষেপ করে না।
অনুষ্ঠানে অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া থেকে আরও অস্ত্র কেনার বিষয়ে বাংলাদেশের আর্মস ফোর্স বিভাগের আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হতে হয়। বাংলাদেশের কাছ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়া গেলে রাশিয়া বিবেচনা করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশ দুটির অবস্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্ব রাজনীতির বহুমেরু কাঠামো এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ন্যায্যতার পক্ষে সবসময়ই বাংলাদেশ রাশিয়ার আস্থাভাজন ও পরীক্ষিত অংশীদার। বিদেশি হত্যার পর পশ্চিমা দেশগুলোর জারি করা ভ্রমণ সতর্কতার সূত্র ধরে তিনি বলেন, বছরের শেষদিকে এসে বাংলাদেশও নিজেদের ‘কুটিল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতির’ মধ্যে আবিষ্কার করেছে। বাংলাদেশকে এমন আন্তর্জাতিক চাপ সামাল দিতে হয়েছে, যা উন্নয়নের চেষ্টাকে ব্যাহত করে।
No comments