পথশিশুরা রাতে পথে থাকবে না by মানসুরা হোসাইন
পথশিশুরা
দিনে পথে থাকলেও রাতে থাকতে পারবে না। তাদের কোনো না কোনো
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ধরনের উদ্দেশ্য
সামনে রেখে ২০ কোটি টাকার একটি দিশারি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
দিশারি প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কাজের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক জরিপ শেষ হয়েছে। এই দুটি ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরে সারা দেশে কর্মসূচি হাতে নেবে মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিনে কাজের পাশাপাশি পথশিশুরা সরকার পরিচালিত উন্মুক্ত স্কুলে যাবে। স্কুলে গেলেই পাবে দুপুরের খাবার। তারা রাতে থাকবে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানেও তাদের খাবার দেবে সরকার। কোনো শিশু যদি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে চায়, তার থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া এই শিশুদের আনুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা আছে।
২০১১ সালের জাতীয় শিশুনীতিতে পথশিশুদের নিজেদের পরিবারে পুনর্বাসনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে মন্ত্রণালয় পথশিশুদের নিয়ে সেভাবে কোনো কাজ হাতে নেয়নি। গত ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটি শিশুও মানবেতর জীবন যাপন করবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ কথার পর মন্ত্রণালয় পথশিশুদের নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে।
গত ১৩ ডিসেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বলেন, ‘দেশের একটি শিশুকেও রাস্তায় ঘুমাতে দেব না। তারা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবে। সকালে স্কুলে যেতেই হবে।’
দুটি ওয়ার্ডে করা জরিপ অনুযায়ী, পথশিশুদের অধিকাংশই ছেলেশিশু। ৭০ শতাংশ শিশু রাস্তায় ঘুমায়। ভিক্ষা করে তারা খাদ্য সংগ্রহ করে। মা-বাবার বিচ্ছেদ, দারিদ্র্য, নদীভাঙন, চাকরির প্রলোভন, অভিবাসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শহুরে জীবনের আকর্ষণ, পাচার প্রভৃতি কারণে তারা রাস্তায় বসবাস করছে। রাস্তায় তারা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এসব শিশু, বিশেষ করে মেয়েশিশুরা বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পথশিশুদের স্বাস্থ্যসমস্যাও প্রকট। টয়লেট অথবা গোসল করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
এই দুই ওয়ার্ডে পথশিশুদের পুনর্বাসন বিষয়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তায় কম্বল বিতরণ করে কোনো লাভ হবে না। এতে করে এ ধরনের শিশুর সংখ্যাই শুধু বাড়বে। দুটি ওয়ার্ডে রাতে পথে ঘুমায়—এমন শিশু আছে প্রায় দুই হাজার। এদের জন্য আটজন কাউন্সেলর নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরা শিশুদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা জানার চেষ্টা করবেন।
দিশারি প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কাজের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক জরিপ শেষ হয়েছে। এই দুটি ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরে সারা দেশে কর্মসূচি হাতে নেবে মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিনে কাজের পাশাপাশি পথশিশুরা সরকার পরিচালিত উন্মুক্ত স্কুলে যাবে। স্কুলে গেলেই পাবে দুপুরের খাবার। তারা রাতে থাকবে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানেও তাদের খাবার দেবে সরকার। কোনো শিশু যদি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে চায়, তার থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া এই শিশুদের আনুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা আছে।
২০১১ সালের জাতীয় শিশুনীতিতে পথশিশুদের নিজেদের পরিবারে পুনর্বাসনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে মন্ত্রণালয় পথশিশুদের নিয়ে সেভাবে কোনো কাজ হাতে নেয়নি। গত ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটি শিশুও মানবেতর জীবন যাপন করবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ কথার পর মন্ত্রণালয় পথশিশুদের নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে।
গত ১৩ ডিসেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বলেন, ‘দেশের একটি শিশুকেও রাস্তায় ঘুমাতে দেব না। তারা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবে। সকালে স্কুলে যেতেই হবে।’
দুটি ওয়ার্ডে করা জরিপ অনুযায়ী, পথশিশুদের অধিকাংশই ছেলেশিশু। ৭০ শতাংশ শিশু রাস্তায় ঘুমায়। ভিক্ষা করে তারা খাদ্য সংগ্রহ করে। মা-বাবার বিচ্ছেদ, দারিদ্র্য, নদীভাঙন, চাকরির প্রলোভন, অভিবাসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শহুরে জীবনের আকর্ষণ, পাচার প্রভৃতি কারণে তারা রাস্তায় বসবাস করছে। রাস্তায় তারা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এসব শিশু, বিশেষ করে মেয়েশিশুরা বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পথশিশুদের স্বাস্থ্যসমস্যাও প্রকট। টয়লেট অথবা গোসল করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
এই দুই ওয়ার্ডে পথশিশুদের পুনর্বাসন বিষয়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তায় কম্বল বিতরণ করে কোনো লাভ হবে না। এতে করে এ ধরনের শিশুর সংখ্যাই শুধু বাড়বে। দুটি ওয়ার্ডে রাতে পথে ঘুমায়—এমন শিশু আছে প্রায় দুই হাজার। এদের জন্য আটজন কাউন্সেলর নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরা শিশুদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা জানার চেষ্টা করবেন।
No comments