শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক, এও কি সম্ভব? by শশী থারুর
বড়দিনে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আকস্মিকভাবে পাকিস্তান সফর করার মধ্য
দিয়ে তাঁর গতিশীল বৈশ্বিক কূটনীতির বছরটি শেষ করলেন। আর শেষ ঘটনাটি দিয়ে
সংবাদপত্রের শিরোনামও হলেন। ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর
ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের পারদ শিশুদের ইয়ো-ইয়ো নামের খেলনাটির চেয়েও
বেশি লাফালাফি করেছে। তাঁর মতো একজন কট্টর হিন্দুত্ববাদী মানুষ নির্বাচিত
হওয়ার পর লোকে ধারণা করেছিল, সেই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের বরফ আরও জমাট
বাঁধবে। কারণ তিনি পূর্বসূরিদের শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছেন,
আর নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি পাকিস্তানকে দানব হিসেবে চিহ্নিত
করেছেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, তিনি এসব না করে নিজের শপথ গ্রহণ
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বসলেন।
আবার মোদির শপথ গ্রহণের দুই মাস পেরোতে না পেরোতে তিনি সীমান্তে পাকিস্তানের উসকানির জবাবে সেনাবাহিনীকে একটু বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানোর নির্দেশনা দেন। তারপর নয়াদিল্লিতে দেশ দুটির পররাষ্ট্রসচিবদের মধ্যে বৈঠক হওয়া কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা অতীতের মতো সেবারও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে ওই বৈঠক ভেস্তে যায়।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে কাঠমান্ডুতে সার্কের সম্মেলনে মোদি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কথা না বলার লক্ষ্যে তাঁর পাশ দিয়ে পরিচিতিমূলক পুস্তিকা পড়তে পড়তে হেঁটে যান, লোকে আবার তা দেখেছেও। (পরবর্তীকালে এটা জানা যায় যে এই দুই নেতা এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর হোটেল কক্ষে বৈঠক করেছেন, যে ব্যবসায়ীর সঙ্গে শরিফের ভালো সম্পর্ক আছে।)
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোদি আবারও বরফ গলানোর উদ্যোগ নেন। তিনি শরিফকে ফোন করে ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাফল্য কামনা করেন, এমনকি ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে ইসলামাবাদেও পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তারপর আবারও আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তারপর গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়ার উফায় দুই প্রধানমন্ত্রীর আবারও সাক্ষাৎ হয়, আগে যেসব বিষয়ে আলোচনা ও ঐকমত্য হয়েছিল, সেখানে দুই পক্ষই তা অস্বীকার করে। তার কিছুদিন পর আবারও দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়। তার কারণ আর কিছু নয়, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বৈঠক।
কিন্তু প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলন চলাকালে ৩০ নভেম্বর মোদি ও শরিফের বৈঠক হলে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের বাতাবরণ আবারও বদলে যায়। পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদ্বয় ডিসেম্বর মাসে ব্যাংককে বৈঠক করেন। তার কয়েক দিন পরেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামাবাদে আফগানিস্তান-বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হার্ট অব এশিয়া চলাকালে শরিফসহ পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই মোদি বড়দিনে আকস্মিক পাকিস্তান সফর করেন। কিন্তু বড়দিনের উৎসব শেষ হতে না হতেই পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় সাতজন ভারতীয় প্রাণ হারান।
তবে এ ধরনের হামলার আশঙ্কা যেহেতু সব সময়ই থাকে, সেহেতু এর ফলে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একদম ব্যাহত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটা তো সত্য যে প্রাণহানি হয়েছে, ফলে তা উপেক্ষাও করা যায় না। এ মাসে দুটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা, একটি হবে দুটি দেশের পররাষ্ট্রসচিবদ্বয়ের মধ্যে, আরেকটি হবে মোদি ও শরিফের মধ্যে। ফলে এই হামলার রাজনৈতিক ক্ষতি কতটা, তা বুঝতে আমাদের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
কিন্তু অন্তত বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটা ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই যে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করাটা খুব যথোচিত হবে। কারণ, পাকিস্তান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের কূটনৈতিক প্রতিদান দেওয়ার মতো কিছু এখনো করেনি। বস্তুত, মোদি আলোচনার জন্য যেসব ন্যূনতম শর্তের কথা বলেছিলেন, সেসব তারা পূরণ করেনি। তারা ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করেনি। যে সন্ত্রাসীরা দেশটির সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, তারা তাদের রাশ টেনে ধরেনি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বড়দিনে মোদির পাকিস্তান সফর যতটা না রাষ্ট্রনায়কোচিত, তার চেয়ে বেশি আবেগতাড়িত বলে মনে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মোদি কেন এসব করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেননি, এমনকি বিজেপির সদস্যরাও এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোদি একবার বলেছিলেন, হিন্দু-মুসলমান পরস্পর যুদ্ধ করতে পারে, আবার তারা একত্রে দারিদ্র্য দূর করতে পারে। তিনি সম্ভবত বিশ্বাস করেন, ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাপারটা এ রকমই। লাহোরে যাওয়ার আগের দিন তিনি আফগানিস্তানের সংসদে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের সেতুবন্ধ করবে, এমনকি তার আওতা এর বাইরেও যেতে পারে।’
এটাই যদি মোদির লক্ষ্য হয়, তাহলে ভারতীয় জনগণের কাছে তাঁকে এটা স্পষ্ট করতে হবে, ধারাবাহিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু তারপরও গুরুতর ঝামেলা শুরু হতে পারে। কারণ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তো শেষমেশ নিজ দেশের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেননি। তারা তো মোদির সফরে চমকিত হয়নি। তারা কিন্তু ঠিকই ভারতবিরোধী মনোভাব চাঙা রেখে নিজেদের ক্ষমতা বজায় রাখছে। পাঠানকোটের ঘটনা তাদের এই মনোভাবের ইঙ্গিত হতে পারে যে তারা শান্তি চায় না। এটা আমাদের এও মনে করিয়ে দিতে পারে যে তাদের তূণে আরও তির আছে।
ভারতীয়রা এটা ভুলতে পারে না যে এই শরিফ সাহেবই ১৯৯৯ সালে লাহোরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর এর পরিণামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কারগিলের পাহাড়ে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়। শরিফ সাহেবও তার কয়েক মাস পরে ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১৬ সাল শুরু হলো, এ সময় শান্তির পূজারিরা শুধু আশা করতে পারেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না।
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
শশী থারুর: ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান।
আবার মোদির শপথ গ্রহণের দুই মাস পেরোতে না পেরোতে তিনি সীমান্তে পাকিস্তানের উসকানির জবাবে সেনাবাহিনীকে একটু বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানোর নির্দেশনা দেন। তারপর নয়াদিল্লিতে দেশ দুটির পররাষ্ট্রসচিবদের মধ্যে বৈঠক হওয়া কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা অতীতের মতো সেবারও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে ওই বৈঠক ভেস্তে যায়।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে কাঠমান্ডুতে সার্কের সম্মেলনে মোদি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কথা না বলার লক্ষ্যে তাঁর পাশ দিয়ে পরিচিতিমূলক পুস্তিকা পড়তে পড়তে হেঁটে যান, লোকে আবার তা দেখেছেও। (পরবর্তীকালে এটা জানা যায় যে এই দুই নেতা এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর হোটেল কক্ষে বৈঠক করেছেন, যে ব্যবসায়ীর সঙ্গে শরিফের ভালো সম্পর্ক আছে।)
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোদি আবারও বরফ গলানোর উদ্যোগ নেন। তিনি শরিফকে ফোন করে ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাফল্য কামনা করেন, এমনকি ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে ইসলামাবাদেও পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তারপর আবারও আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তারপর গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়ার উফায় দুই প্রধানমন্ত্রীর আবারও সাক্ষাৎ হয়, আগে যেসব বিষয়ে আলোচনা ও ঐকমত্য হয়েছিল, সেখানে দুই পক্ষই তা অস্বীকার করে। তার কিছুদিন পর আবারও দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়। তার কারণ আর কিছু নয়, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বৈঠক।
কিন্তু প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলন চলাকালে ৩০ নভেম্বর মোদি ও শরিফের বৈঠক হলে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের বাতাবরণ আবারও বদলে যায়। পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদ্বয় ডিসেম্বর মাসে ব্যাংককে বৈঠক করেন। তার কয়েক দিন পরেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামাবাদে আফগানিস্তান-বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হার্ট অব এশিয়া চলাকালে শরিফসহ পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই মোদি বড়দিনে আকস্মিক পাকিস্তান সফর করেন। কিন্তু বড়দিনের উৎসব শেষ হতে না হতেই পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় সাতজন ভারতীয় প্রাণ হারান।
তবে এ ধরনের হামলার আশঙ্কা যেহেতু সব সময়ই থাকে, সেহেতু এর ফলে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একদম ব্যাহত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটা তো সত্য যে প্রাণহানি হয়েছে, ফলে তা উপেক্ষাও করা যায় না। এ মাসে দুটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা, একটি হবে দুটি দেশের পররাষ্ট্রসচিবদ্বয়ের মধ্যে, আরেকটি হবে মোদি ও শরিফের মধ্যে। ফলে এই হামলার রাজনৈতিক ক্ষতি কতটা, তা বুঝতে আমাদের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
কিন্তু অন্তত বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটা ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই যে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করাটা খুব যথোচিত হবে। কারণ, পাকিস্তান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের কূটনৈতিক প্রতিদান দেওয়ার মতো কিছু এখনো করেনি। বস্তুত, মোদি আলোচনার জন্য যেসব ন্যূনতম শর্তের কথা বলেছিলেন, সেসব তারা পূরণ করেনি। তারা ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করেনি। যে সন্ত্রাসীরা দেশটির সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, তারা তাদের রাশ টেনে ধরেনি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বড়দিনে মোদির পাকিস্তান সফর যতটা না রাষ্ট্রনায়কোচিত, তার চেয়ে বেশি আবেগতাড়িত বলে মনে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মোদি কেন এসব করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেননি, এমনকি বিজেপির সদস্যরাও এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোদি একবার বলেছিলেন, হিন্দু-মুসলমান পরস্পর যুদ্ধ করতে পারে, আবার তারা একত্রে দারিদ্র্য দূর করতে পারে। তিনি সম্ভবত বিশ্বাস করেন, ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাপারটা এ রকমই। লাহোরে যাওয়ার আগের দিন তিনি আফগানিস্তানের সংসদে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের সেতুবন্ধ করবে, এমনকি তার আওতা এর বাইরেও যেতে পারে।’
এটাই যদি মোদির লক্ষ্য হয়, তাহলে ভারতীয় জনগণের কাছে তাঁকে এটা স্পষ্ট করতে হবে, ধারাবাহিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু তারপরও গুরুতর ঝামেলা শুরু হতে পারে। কারণ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তো শেষমেশ নিজ দেশের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেননি। তারা তো মোদির সফরে চমকিত হয়নি। তারা কিন্তু ঠিকই ভারতবিরোধী মনোভাব চাঙা রেখে নিজেদের ক্ষমতা বজায় রাখছে। পাঠানকোটের ঘটনা তাদের এই মনোভাবের ইঙ্গিত হতে পারে যে তারা শান্তি চায় না। এটা আমাদের এও মনে করিয়ে দিতে পারে যে তাদের তূণে আরও তির আছে।
ভারতীয়রা এটা ভুলতে পারে না যে এই শরিফ সাহেবই ১৯৯৯ সালে লাহোরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর এর পরিণামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কারগিলের পাহাড়ে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়। শরিফ সাহেবও তার কয়েক মাস পরে ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১৬ সাল শুরু হলো, এ সময় শান্তির পূজারিরা শুধু আশা করতে পারেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না।
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
শশী থারুর: ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান।
No comments