তেরো বছর পর খালাস পেয়ে কাঁদলেন সালমান খান

রায় ঘোষণার পর মুম্বাইয়ের উচ্চ আদালত থেকে
বেরিয়ে আসছেন সালমান খান l এএফপি
গাড়ি চাপা দিয়ে পথচারী হত্যার ঘটনা-সংশ্লিষ্ট ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলা থেকে অবশেষে খালাস পেলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। ওই মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের যে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন, তা গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট বাতিল করে তাঁকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
রায় শুনে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সালমান খান। দীর্ঘ ১৩ বছর তাঁকে এই মামলা লড়তে হয়েছে। রায়ের পর সালমান-ভক্তরা আদালতের বাইরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। খবর এনডিটিভি ও এএফপির।
হাইকোর্ট রায়ে বলেন, যে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয় না সালমান দোষী ছিলেন। আদালত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, কাউকে হত্যা করেননি সালমান। নিম্ন আদালতের তদন্তেই ত্রুটি ছিল। সঠিক আইনি পথে মামলা এগোয়নি। তাই মামলা সালমানের পক্ষে যাবে। একই সঙ্গে আদালত বলেন, সালমানের সামাজিক অবস্থান বা জনপ্রিয়তা এই মামলাকে প্রভাবিত করেনি।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে সালমান খানের গাড়ি মুম্বাইয়ের ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা কয়েকজন লোকের ওপর উঠে গেলে এক ব্যক্তি মারা যান এবং চারজন গুরুতর আহত হন। পরের মাসে সালমানের বিরুদ্ধে অসাবধানতাবশত তবে দণ্ডযোগ্য হত্যাকাণ্ডের (এটি সজ্ঞানে খুন করার মতো অপরাধ নয়) মামলায় অভিযোগ গঠন হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০০৩ সালের জুন মাসে হাইকোর্ট এই অভিযোগ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দিলে তাঁর বিরুদ্ধে বাকি থাকে শুধু বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ।
২০০৭ সালের অক্টোবরে মামলার প্রধান সাক্ষী মারা যান। ২০১৫ সালের মার্চে সালমান আদালতে বলেন, তিনি দুর্ঘটনার সময় মাতাল ছিলেন না এবং গাড়িও চালাচ্ছিলেন না। তবে ওই বছরের মে মাসে নিম্ন আদালত তাঁকে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা দেন। এরপরই সালমান হাইকোর্টে আপিল করেন এবং সবশেষে গতকাল খালাস পান।

No comments

Powered by Blogger.