ট্রাম্পের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা খর্ব হচ্ছে: পেন্টাগন
বিতর্ক উঠলেও অনেক সমর্থকই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি বুকে লাগিয়েছেন l এএফপি |
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রিপাবলিকান পার্টির
মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য দেশটির
মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; এটি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাকে খর্ব করেছে।
পেন্টাগন বলেছে, এই মন্তব্য ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রচারণাকে উসকে দেবে।
গতকাল বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি পিটার কুক ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আইএসের প্রচারণাকে উসকানি দেয় অথবা মুসলমানদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে দাঁড় করিয়ে দেশটিকে ঝামেলায় ফেলে দেয়; এমন যেকোনো কিছু নিশ্চিতভাবেই শুধু আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গেই নয় বরং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।’
পেন্টাগন বলেছে, মুসলমানদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করা হলে তা উগ্রবাদী আদর্শ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গত সোমবার এক নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। এর আগে নির্বাচনী দপ্তর থেকে প্রচারিত এক তথ্য বিবরণীতে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার প্রতি মুসলিমদের বিদ্বেষ এত তীব্র যে তা ‘ধারণারও বাইরে’। এই ঘৃণার উৎস কী এবং আমেরিকার জন্য তা কী হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা পুরোপুরি বুঝে না ওঠা পর্যন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চালু রাখতে হবে।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের জন্য তাঁকে ‘বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁর দলের আরেক মনোনয়নপ্রার্থী ও ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ। হোয়াইট হাউস এবং মুসলিম নেতাদের পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের আস্ফালন অব্যাহত: যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সব মহল থেকে নিন্দিত হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি। মঙ্গলবার এমএসএনবিসি টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট হাজার হাজার জাপানি ও ইতালীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে বিশেষ ক্যাম্পে অন্তরীণ থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা এক যুদ্ধের মধ্যে বাস করছি।’ তিনি মুসলমানদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে হিটলার ইহুদিদের সঙ্গে একই ধরনের ব্যবহার করেছিলেন—এ কথা মনে করিয়ে দিলে ট্রাম্প বলেন, ‘কে কী বলল, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’
বস্তুত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামা থেকে শুরু করে রিপাবলিকান পার্টির অধিকাংশ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করলেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় কোনো ভাটা পড়েছে, এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। একাধিক রক্ষণশীল টিভি ও রেডিও ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের বক্তব্য সমর্থন করেছেন। বিখ্যাত টিভি ব্যক্তিত্ব লরাইংগ্রাম টুইটারে লেখেন, ‘ট্রাম্প আমেরিকার জনগণের মানসিকতা খুব ভালো করেই জানেন।’
সিনেটর টেড ক্রুজ, যিনি রক্ষণশীল ইভানজেলিকাল ধর্মাবলম্বীদের ভোট নিজের পক্ষে টানার ব্যাপারে ট্রাম্পের সঙ্গে সমানে লড়ছেন, তিনি কার্যত তাঁর বক্তব্যের পক্ষে মত দিয়েছেন। আগের দিন ট্রাম্পের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করলেও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল হিলে ক্রুজ সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকার সীমান্তপথগুলো নিরাপদ করার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়ার সাহসিকতার জন্য তিনি ট্রাম্পকে সাধুবাদ জানান।
এ দেশের উদারনৈতিক ভাষ্যকারেরা মনে করছেন, ট্রাম্প খুব ভেবেচিন্তেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে এই বিদ্বেষমূলক অবস্থান নিয়েছেন। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের একাংশ, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনের প্রাইমারি বা প্রাথমিক পর্যায়ে যারা ঠিক করবে কে তাদের দলের মনোনয়ন পাবেন, তাদের অধিকাংশই প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তাঁর অনুসৃত নীতি সর্বান্তঃকরণে অপছন্দ করেন। এদের কাছে ট্রাম্প ওয়াশিংটনের ক্ষমতাচক্রের বাইরের একজন মানুষ, তাঁর কঠোর ও যুদ্ধংদেহী মনোভাব, তা যতই অবাস্তব বা আগ্রাসী মনে হোক না কেন, তাদের আকৃষ্ট করেছে।
মুসলিমদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে একশ্রেণির মানুষ আগে থেকেই ক্ষিপ্ত, প্যারিস ও স্যান বার্নার্দিনোর ঘটনার পর তাঁদের ক্রোধ আরও বেড়েছে। ট্রাম্প ঠিক এই ভোটারদের সমর্থন আশা করছেন। অনেকের ধারণা, প্রাথমিক ভোটের হিসাব মাথায় রেখেই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ইসলামবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প।
গতকাল বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি পিটার কুক ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আইএসের প্রচারণাকে উসকানি দেয় অথবা মুসলমানদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে দাঁড় করিয়ে দেশটিকে ঝামেলায় ফেলে দেয়; এমন যেকোনো কিছু নিশ্চিতভাবেই শুধু আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গেই নয় বরং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।’
পেন্টাগন বলেছে, মুসলমানদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করা হলে তা উগ্রবাদী আদর্শ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গত সোমবার এক নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। এর আগে নির্বাচনী দপ্তর থেকে প্রচারিত এক তথ্য বিবরণীতে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার প্রতি মুসলিমদের বিদ্বেষ এত তীব্র যে তা ‘ধারণারও বাইরে’। এই ঘৃণার উৎস কী এবং আমেরিকার জন্য তা কী হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা পুরোপুরি বুঝে না ওঠা পর্যন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চালু রাখতে হবে।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের জন্য তাঁকে ‘বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁর দলের আরেক মনোনয়নপ্রার্থী ও ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ। হোয়াইট হাউস এবং মুসলিম নেতাদের পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের আস্ফালন অব্যাহত: যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সব মহল থেকে নিন্দিত হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি। মঙ্গলবার এমএসএনবিসি টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট হাজার হাজার জাপানি ও ইতালীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে বিশেষ ক্যাম্পে অন্তরীণ থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা এক যুদ্ধের মধ্যে বাস করছি।’ তিনি মুসলমানদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে হিটলার ইহুদিদের সঙ্গে একই ধরনের ব্যবহার করেছিলেন—এ কথা মনে করিয়ে দিলে ট্রাম্প বলেন, ‘কে কী বলল, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’
বস্তুত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামা থেকে শুরু করে রিপাবলিকান পার্টির অধিকাংশ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করলেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় কোনো ভাটা পড়েছে, এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। একাধিক রক্ষণশীল টিভি ও রেডিও ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের বক্তব্য সমর্থন করেছেন। বিখ্যাত টিভি ব্যক্তিত্ব লরাইংগ্রাম টুইটারে লেখেন, ‘ট্রাম্প আমেরিকার জনগণের মানসিকতা খুব ভালো করেই জানেন।’
সিনেটর টেড ক্রুজ, যিনি রক্ষণশীল ইভানজেলিকাল ধর্মাবলম্বীদের ভোট নিজের পক্ষে টানার ব্যাপারে ট্রাম্পের সঙ্গে সমানে লড়ছেন, তিনি কার্যত তাঁর বক্তব্যের পক্ষে মত দিয়েছেন। আগের দিন ট্রাম্পের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করলেও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল হিলে ক্রুজ সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকার সীমান্তপথগুলো নিরাপদ করার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়ার সাহসিকতার জন্য তিনি ট্রাম্পকে সাধুবাদ জানান।
এ দেশের উদারনৈতিক ভাষ্যকারেরা মনে করছেন, ট্রাম্প খুব ভেবেচিন্তেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে এই বিদ্বেষমূলক অবস্থান নিয়েছেন। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের একাংশ, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনের প্রাইমারি বা প্রাথমিক পর্যায়ে যারা ঠিক করবে কে তাদের দলের মনোনয়ন পাবেন, তাদের অধিকাংশই প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তাঁর অনুসৃত নীতি সর্বান্তঃকরণে অপছন্দ করেন। এদের কাছে ট্রাম্প ওয়াশিংটনের ক্ষমতাচক্রের বাইরের একজন মানুষ, তাঁর কঠোর ও যুদ্ধংদেহী মনোভাব, তা যতই অবাস্তব বা আগ্রাসী মনে হোক না কেন, তাদের আকৃষ্ট করেছে।
মুসলিমদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে একশ্রেণির মানুষ আগে থেকেই ক্ষিপ্ত, প্যারিস ও স্যান বার্নার্দিনোর ঘটনার পর তাঁদের ক্রোধ আরও বেড়েছে। ট্রাম্প ঠিক এই ভোটারদের সমর্থন আশা করছেন। অনেকের ধারণা, প্রাথমিক ভোটের হিসাব মাথায় রেখেই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ইসলামবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প।
No comments