ক্ষমা করা ও চাওয়ার রাজনীতি by মাসুদ মজুমদার

ক. যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে আমরা কি পাকিস্তানিদের বগল বাজানোর সুযোগ করে দিলাম! এই মুহূর্তে বাংলাদেশ-ভারত অন্তত সরকারিভাবে এক মেরুতে দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্তান ভিন্ন মেরুতে। বিপরীত মেরুর এই আকর্ষণ-বিকর্ষণ ও পাক-ভারত উত্তেজনায় আমরা কোনো পক্ষ না হলেই ভালো ছিল। দুই দেশ যখন ক্রিকেট ডিপলোম্যাসি করে কিংবা গোপন আঁতাতে যায়, তখন আমাদের সাক্ষী রাখে না। আমাদের সব ব্যাপারে তাদের সাক্ষী মানার যুক্তি নেই। বাস্তবতা ভিন্ন। আমরাও পক্ষ। কেউ কেউ ঠাণ্ডামাথায় পক্ষ হতে চান। জনগণ হয়তো তা চায় না। এটা বিজয়ের মাস। এত দিন পর আমরা আর পাকিস্তানি বর্বরতার নিকুচি না-ই বা করলাম। তবে বিজয় দিবসে, স্বাধীনতার মাসে একাত্তর আমাদের নাড়া দেবেই। ন’মাসের একটা ইতিহাস ও চিত্র সামনে এসে দাঁড়াবে। ৪৪ বছর ধরে এর ব্যতিক্রম হয়নি। কখনো বেশি, কখনো কম। এই দেশ, মানচিত্র ও পতাকা থাকলে এই ধারার ব্যত্যয় খুব একটা হওয়ার কথা নয়। তারপরও যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে পাকিস্তান এতটা আবেগ দেখানোর সুযোগ নিলো কেন! ১৯৫ জন চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী ছেড়ে দেয়ার দায়টাই কি আমাদের দিকে ঠেলে দিলো। ১৯৫ জনকে ছেড়ে দেয়ার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিরা ক্ষমা করতে জানে। এটাই কি তার প্রতিদান? ধর্ষণ, লুণ্ঠন, হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করার পর অভিযুক্ত হয়েও তারা ছাড়া পেল। তাদের দেশীয় সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড পেল। ইনসাফ কি বলে না, পাকিস্তানি চিহ্নিত অপরাধীদের ছেড়ে না দিয়ে কয়েকবার মৃত্যুদণ্ড দেয়া সঙ্গত ছিল। আমরা পাকিস্তানি অভিযুক্তদের ছেড়ে দিয়ে নিজের দেশের নাগরিকদের বিচার করছি বলেই কি তাদের আঁতে ঘা লাগল। মানলাম, যুক্তির বিচারে এমনটি হয়নি, আমরা যুক্তি দিয়ে পথ চলছিও না। আমাদের আবেগ, রাজনীতি এবং অন্যদের প্রেসক্রিপশন বিবেচনা হয়তো বেশি গুরুত্ব পেয়ে যাচ্ছে। তারপরও পাকিস্তান সরকারের বাড়তি প্রতিক্রিয়া গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ, পাকিস্তান আমাদের মুক্তিযুদ্ধে স্বীকৃত প্রতিপক্ষ। ইতিহাস থেকে এই সত্যটি মুছে ফেলা যাবে না।
২০০৯ সালে একটি মিডিয়া টিমের সদস্য হিসেবে পাকিস্তান সফরের সুযোগ হয়েছিল। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শওকত আজিজ; ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। আমরা ছিলাম একটি ছদ্মবেশী সামরিক সরকারের আওতায়। প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ। কাকতালীয়ভাবে উপমহাদেশের এই তিন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকে চাকরি করেছেন একসাথে। মনমোহন সিং ছিলেন সিনিয়র, দ্বিতীয় সিনিয়র শওকত আজিজ, তারপর ফখরুদ্দীন আহমদ।
৯ সদস্যের মিডিয়া টিমে দু’জন ছিলেন দু’টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এর একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এবং নারী; অন্যজন ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর। অবশিষ্ট সাতজন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার সিনিয়র সাংবাদিক। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের সাক্ষাৎ ছিল ঘণ্টাব্যাপী।
আমরা সবাই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীকে একাত্তর ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইবার তাগিদ দেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলাম না। তিনি ভুট্টো-মুজিব বিশেষ সম্পর্ক, বঙ্গবন্ধুর করাচিতে ওআইসি সম্মেলনে যাওয়া, ত্রিদেশীয় সম্মতিতে ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী জেনেভা কনভেনশনের দোহাইতে ছেড়ে দেয়া, ক্ষমা করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ঔদার্য, পারস্পরিক স্বীকৃতি, কূটনৈতিক বোঝাপড়ার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। ক্ষমা চাইবার প্রসঙ্গটা সজ্ঞানে চেপে গেলেন। বরং আকারে-ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইলেন, ইস্যুটি ফরগেট, ফরগিভ ফর্মুলায় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আমাদের পুরো মিডিয়া টিম ও বাংলাদেশের ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ জনগণের জন্য তার শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতার অকৃপণ শব্দচয়ন আমাদের মুগ্ধ করল, কিন্তু ক্ষমা চাইবার দাবিটি আমরা কেউ ভুলে গেলাম না। মিটিং শেষে সমস্বরে বললাম, তিনি ক্ষমা চাইলেন না। ব্যথিত হলাম। সম্ভবত এটাই আমাদের জাতীয় অহম।
প্রসঙ্গটি বিনা কারণে এখানে টানিনি। সামনে বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস। তার এক দিন পর বিজয় দিবস। বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা জানানোর আগে আমরা বুদ্ধিজীবী হত্যার দগদগে ক্ষতটিতে টনটনে ব্যথা অনুভব করব। স্মৃতি তর্পণ করে একসময় সব কিছু ভুলেও যাবো। কিন্তু যে বিষয়টি ভুলে যাবো না- সেটি হচ্ছে পাকিস্তানিরা ক্ষমা চায়নি। বাংলাদেশের যেসব মানুষ একাত্তরের দায় বহন করেন, কিন্তু ভুল স্বীকার করেন না, তাদের ব্যাপারে তিন প্রজন্মের ক্ষোভ ফিবছরের মতো কি জেগে উঠবে না! যেকোনো দল ও গোষ্ঠী রাজনৈতিক ভুল করতেই পারে। রাজনৈতিক ভুলের খেসারত এড়ানো যায় না। মানুষের হক নষ্ট হলে মানুষের কাছেই ক্ষমা চাইতে হয়। বিধাতা তার হক নষ্টের জন্য ক্ষমা করেন, বান্দার হক নষ্টের জন্য ক্ষমা করেন না। তাওবা না করলে পাপেরও স্খলন হয় না। স্বাধীন দেশের মানচিত্রজুড়ে লাল-সবুজের পতাকা উড়বে। আর আমরা তার প্রতি সম্মান দেখাব না, তা কী করে হয়! স্বাধীন দেশে নিঃশ্বাস নেব, কিন্তু দেশটির জন্মের প্রসব বেদনায় বিশ্বাস করব না, সেই জন্মের ইতিহাসের সাথে কলঙ্কের দাগ থাকলে তা ধুয়ে মুছে সাফ করব না, তাও কি হয়! জাতি হিসেবে আমরা আবেগপ্রবণ- এটা অর্ধসত্য হতে পারে, পূর্ণ সত্য নয়। জাতিরাষ্ট্রের ধারণা আমরা সযত্নে লালন করি, কিন্তু দায়টা পালন করি না। এখান থেকেই ভ্রষ্টাচার ও গণতন্ত্রচর্চার অভাবের ভ্রুণ জন্ম নেয়, এবং বেড়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের দোহাই, আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা ফিরিয়ে দিন। বিজয় দিবসের দোহাই, রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করুন। শত্রুরা ভাগ-বিভাজনের সুযোগ নেবেই। আপনি আমি সেই সুযোগ দিলে ঘুঘু বারবার অর্জিত ফসল সাবাড় করবেই। একাত্তরে যার যতটুকু দায় আছে, তার ততটুকু শোধ করা উচিত। নয়তো বিবেকের দংশন এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণের টার্গেট এড়ানো যাবে না। মানুষ কৃতকর্মের স্বীকৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেই সব কিছুর উপসংহার হয়ে যায় না। কিন্তু উল্লেখযোগ্য মানুষ তাদের প্রতি সহমর্মী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের জন্য এই সহমর্মিতা খুবই জরুরি।তা ছাড়া যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ভুল হতেই পারে। সেই ভুলের দায় না নিয়ে কোনো উপায় নেই। যুদ্ধে হারলে সত্য-মিথ্যা সব ইতিহাস বিজয়ীর গোলায় উঠবেই। ভোটে হেরে গেলেও পরাজয় মেনে নতুনভাবে যাত্রা করতে হয়। হারের কারণ চিহ্নিত করতে হয়। সেভাবেই ভবিষ্যৎ রচনা করতে হয়। এতে লজ্জা বা অসম্মান খুঁজলে তাদের রাজনীতি না করাই উত্তম। ইন্দিরা গান্ধী জোর করে ভেসেক্টমি-লাইগেশন করার কারণে এবং জরুরি অবস্থা জারির জন্য ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ক্ষমা চেয়ে আবার ক্ষমতায় এসেছিলেন। রাজনৈতিক ভুলের খেসারত দিয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত জোট কি রাজনৈতিক ভুলের খেসারত দিচ্ছে না! বর্তমান জোট সরকারকে কি বিচ্যুতিগুলোর দায় নিতে হবে না। অবশ্যই নিতে হবে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত অবশ্যম্ভাবী। অপরাধের দায় অনিবার্য। তবে অপরাধ বিচারের মানদণ্ড মানুষের আদালতে রাজনৈতিক জিঘাংসার ঊর্ধ্বে নয়। আদালতে আখেরাতের বিষয়টি প্রশ্নাতীত। তাই অপরাধের মাত্রা নিরূপণের বিষয়টি আপেক্ষিক হলেও রাজনৈতিক ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করা সব সময় প্রাসঙ্গিক। এর সাথে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন একেবারেই গৌণ। তাই ভুলের অকপট স্বীকৃতি সব সময় মর্যাদা বাড়ায়। জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা উদার আচরণ পাওয়ার পথ প্রশস্ত করে। ক্ষমাপ্রার্থীর পক্ষে আমজনতা দাঁড়িয়ে যায়। এই মাটি আমার আপনার, এখানে কী ফসল ফলাব তা আমরাই ঠিক করব। সাময়িক পরগাছা জন্মালে তাও উপড়ে ফেলা আমাদের দায়িত্ব। পরজীবী বাসা বাঁধলে সেটাও বিনাশ করার দাওয়াই এ দেশের জনগণের কাছে রয়েছে। তাই জনগণকে আস্থায় নিন।
খ. স্থানীয় নির্বাচনের বাতাবরণেও রাজনীতি কার্যত উন্মুক্ত হয়নি। গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের অভাবে অবারিত হয়নি গণতন্ত্রচর্চার রুদ্ধ দরজাগুলো। পৌর নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের এক ধরনের রাজনৈতিক কৌশল। দলীয় মেজাজে নির্বাচন রাজনৈতিক কোলাহল বাড়াবে, এক রত্তি গণতন্ত্রও ফিরিয়ে আনবে না। উপরি কাঠামোয় গণতন্ত্রের চাষবাস না করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক ধরনের আইয়ুবি চর্চা। এ ধারায় উপজেলা নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারপরও বিরোধী দল থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদেরকেও সরকার সহ্য করতে রাজি হয়নি। বিরোধী দল ও জোটের নাম নিয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদের সমূলে উপড়ে ফেলা হয়েছে। জেলা পরিষদে কোনো নির্বাচনের উদ্যোগই নেয়া হয়নি। স্থানীয়ভাবে পরিচিত সরকারদলীয় নেতা, যাদের সংসদে আনা যায়নি, তাদের জেলা পরিষদে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সংসদ থেকে গ্রামের কাউন্সিলর, প্রশাসনের উপরি কাঠামো থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলীয় লোকদের পুনর্বাসন করার এতটা সর্বপ্লাবী রূপ এ দেশের মানুষ এর আগে কখনো দেখেনি। আমরা যারা আইয়ুবের বুনিয়াদি গণতন্ত্র দেখেছি, তারা অবশ্যই সাক্ষ্য দিতে পারব- আইয়ুব বর্তমান সরকারপ্রধানের তুলনায় দুগ্ধপোষ্য শিশুই ছিলেন। প্রশাসনকে আইয়ুব ব্যবহার করেছেন, দলীয় ও আত্মীয়করণের মতো বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছিলেন।
আইয়ুবি দুঃশাসনের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর মন্তব্য, বক্তব্য ও ভূমিকা আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে বাধ্য। সেই প্রেক্ষাপটে তিনি বঙ্গবন্ধু হননি। একজন মুজিব হয়ে উঠেছিলেন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এক বজ্রকণ্ঠ। সেই পথ ধরেই তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন।
পৌর নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে বিরোধী দল সম্ভবত বুঝে নিয়েছে এর ফলাফল কী দাঁড়াবে। ফেনী ও কুমিল্লায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার খবর মিলেছে। ইসির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে নির্বিকার থাকার অভিযোগ গতানুগতিক। তারা বোধ করি নিশ্চিতভাবেই জানেন সমন্বয় হীন ও আজ্ঞাবহ ইসির পক্ষে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর মতো কোনো হিম্মত অবশিষ্ট নেই। তারা চাকরি করেন। সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগের ও শপথ পালন করার সামর্থ্য রাখেন না।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনী আদলের রূপান্তর ঘটে এখন কোথাও কোথাও ভোটের উৎসব থাকবে। কিন্তু এক তরফা নির্বাচনের ধারায় সামান্যও হেরফের হবে না। বিরোধী দল বাস্তবে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মতো এখানেও গণতন্ত্রচর্চার কোনো স্পেস পাবে না। স্থানীয় নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া ছাড়া কিছুই হবে না। ধরপাকড়, গুম, অপহরণ, গণগ্রেফতার ও জেলজুলুমের মধ্যে থেকে বিরোধী দলের সমর্থকেরা একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ নিতে চাইবেন, কতটা পারবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকার এসব নেতিবাচক বিষয়গুলোকে তাদের সাফল্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অপ্রতিহত প্রভাব হিসেবে দেখছে। জনগণ কিভাবে দেখছে তা ভেবে দেখার গরজ কিংবা দায় কোনোটি সরকারের নেই। সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনের ধারায় পৌর নির্বাচন আরো একটি ক্ষত বাড়াবে। সব ক্ষত এক সময় গ্যাংরিনের উপসর্গ নিশ্চিত করবে। তখন মানুষ বাঁচাতে অঙ্গহানি মেনে নেয়া ছাড়া আর কী-ই বা করার থাকবে!
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের প্রতি অনুরোধ, আপনারা যেসব মন্দ উপমা সৃষ্টি করছেন, তার খেসারত আপনারাই দেবেন। বিএনপি জোটের ভুলের খেসারত সুদে-আসলে তাদেরকেই দিতে হচ্ছে। রাষ্ট্র ও সরকারের সব ক’টি ভরকেন্দ্রকেই ভুলের দায় নিতে হয়, খেসারত দিতে হয়। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ব্যাপারে প্রত্যাশা বেশি। ক্ষোভও বেশি দানা বাঁধবে- এটাই স্বাভাবিক। জনগণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা করে ও ভাবে- প্রধানমন্ত্রী সক্ষম মানুষ, তিনি সিদ্ধান্ত নিতে জানেন। সিদ্ধান্ত আদায় করতেও পারেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং চমৎকার। প্রত্যাশার এ জায়গাটিতে তিনি যতটা সম্মান দেখাবেন ততটা পাবেন। ততটাই হারাবেন।
masud2151@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.