আরও চিকিৎসার দরকার ‘ঝোপে পাওয়া’ শিশুটির by কমল জোহা খান
কোনো
নাম নেই। ক্ষতচিহ্ন মুখজুড়ে। বয়স মাত্র ১১ দিন। তবুও ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে সবার মন জয় করে ফেলেছে মেয়েশিশুটি। নবজাতক
বিভাগের বিশেষ সেবাকেন্দ্রে শুয়ে কখনো ওর মুখে ফুটছে হাসি, কখনো কান্নার
সুরে আবদার করছে খাবার।
অথচ নির্মম ভাগ্য নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জন্ম নিয়েছিল এই শিশুটি। ওই দিন দুপুরে রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়ায় পুরোনো বিমানবন্দরের রানওয়ে মাঠের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাওয়া যায় ফুটফুটে ওই মেয়েকে। তখন মেয়েটিকে চার-পাঁচটি কুকুর খামচে ধরেছিল। কুকুরের আক্রমণে ওর মুখ ও নাকের বেশি ক্ষতি হয়। ঠোঁটের ওপরের অংশে মাংস প্রায় ছিল না। শিশুটি বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলসহ দুটি এবং ডান হাতের কড়ে আঙুলে বেশ আঘাত পায়।
জাহানারা বেগম নামে এক এলাকাবাসী উদ্ধার করে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে আঘাতের সঙ্গে সংগ্রাম করে সুস্থ হয়ে উঠেছে শিশুটি। ক্ষত শুকিয়েছে।
শিশুটির চিকিৎসায় নবজাতক বিভাগের প্রধান আবিদ হোসেন মোল্লাকে প্রধান করে নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। হাসপাতালে প্রথম দিকে ওকে খাবার দেওয়া যাচ্ছিল না। স্যালাইন দিয়ে শিশুটির প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানো হয়। জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টঙ্কারের মতো রোগ প্রতিরোধে শিশুটিকে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন।
আবিদ হোসেন মোল্লা আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটি শরীরের জটিল স্থানে আঘাত পেয়েছে। কিন্তু এখন অনেকটাই সুস্থ। ওর ঘা শুকিয়েছে। ফিডারে দুধ খাচ্ছে। পায়খানা-প্রস্রাব স্বাভাবিক। শিশুটির পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘ চিকিৎসার প্রয়োজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই চিকিৎসার খরচ বহন করছে।
তিনি আরও বলেন, মুখের ক্ষত সারাতে শিশুটির প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হবে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হলে অস্ত্রোপচার করানো হতে পারে।
এদিকে এখনো শিশুটির প্রকৃত মা-বাবার সন্ধান পাওয়া যায়নি। কাফরুল থানার উপপরিদর্শক কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমরা শিশুটিকে যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তার আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিচ্ছি। তবে ওর বাবা-মায়ের কোনো সন্ধান পাইনি।
সুস্থ হলে শিশুটির ভার কে নেবে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে নিজেদের কাছে নিতে চান উদ্ধারকারী জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েটারে বাঁচাইছি। আমার পাঁচ ছেলেমেয়ে। আরেকটা বাড়লে ক্ষতি নাই। রিজিকের মালিক আল্লাহ।’
অথচ নির্মম ভাগ্য নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জন্ম নিয়েছিল এই শিশুটি। ওই দিন দুপুরে রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়ায় পুরোনো বিমানবন্দরের রানওয়ে মাঠের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাওয়া যায় ফুটফুটে ওই মেয়েকে। তখন মেয়েটিকে চার-পাঁচটি কুকুর খামচে ধরেছিল। কুকুরের আক্রমণে ওর মুখ ও নাকের বেশি ক্ষতি হয়। ঠোঁটের ওপরের অংশে মাংস প্রায় ছিল না। শিশুটি বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলসহ দুটি এবং ডান হাতের কড়ে আঙুলে বেশ আঘাত পায়।
জাহানারা বেগম নামে এক এলাকাবাসী উদ্ধার করে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে আঘাতের সঙ্গে সংগ্রাম করে সুস্থ হয়ে উঠেছে শিশুটি। ক্ষত শুকিয়েছে।
শিশুটির চিকিৎসায় নবজাতক বিভাগের প্রধান আবিদ হোসেন মোল্লাকে প্রধান করে নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। হাসপাতালে প্রথম দিকে ওকে খাবার দেওয়া যাচ্ছিল না। স্যালাইন দিয়ে শিশুটির প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানো হয়। জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টঙ্কারের মতো রোগ প্রতিরোধে শিশুটিকে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন।
আবিদ হোসেন মোল্লা আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটি শরীরের জটিল স্থানে আঘাত পেয়েছে। কিন্তু এখন অনেকটাই সুস্থ। ওর ঘা শুকিয়েছে। ফিডারে দুধ খাচ্ছে। পায়খানা-প্রস্রাব স্বাভাবিক। শিশুটির পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘ চিকিৎসার প্রয়োজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই চিকিৎসার খরচ বহন করছে।
তিনি আরও বলেন, মুখের ক্ষত সারাতে শিশুটির প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হবে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হলে অস্ত্রোপচার করানো হতে পারে।
এদিকে এখনো শিশুটির প্রকৃত মা-বাবার সন্ধান পাওয়া যায়নি। কাফরুল থানার উপপরিদর্শক কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমরা শিশুটিকে যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তার আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিচ্ছি। তবে ওর বাবা-মায়ের কোনো সন্ধান পাইনি।
সুস্থ হলে শিশুটির ভার কে নেবে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে নিজেদের কাছে নিতে চান উদ্ধারকারী জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েটারে বাঁচাইছি। আমার পাঁচ ছেলেমেয়ে। আরেকটা বাড়লে ক্ষতি নাই। রিজিকের মালিক আল্লাহ।’
No comments