নেপালে ভারতীয় সরবরাহ বন্ধ, অঘোষিত অবরোধ আরোপ?
ভারত
থেকে নেপালগামী জ্বালানিসহ সব ধরনের সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ অব্যাহত রয়েছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এজন্য নেপালে বিক্ষোভকে দায়ী করছে। কিন্তু অনেকে মনে
করছে, বিক্ষোভকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে নেপালে অঘোষিত অবরোধ আরোপ করে
কাঠমান্ডুকে শায়েস্তা করতে চাচ্ছে। অনেকের কাছে এটাকে ১৯৮৯ সালের অবরোধ বলে
মনে হচ্ছে। স্থলপরিবেষ্টিত নেপাল তাদের সরবরাহের জন্য ভারতের ওপর
ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
নতুন সংবিধানকে
কেন্দ্র করে ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিতি মদেশি জনগোষ্ঠী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেছে, নতুন সংবিধানে তাদের অধিকার খর্ব করা
হয়েছে। ভারত আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, নেপালের তরাই অঞ্চলে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা নেপালগামী পণ্যবাহী যান, এলপিজি বুলেট এবং তেল ট্যাংকারগুলো চলাচলে বাধা দিচ্ছে। বিরাটনগর, কাকাদহিটা, বিরগঞ্জ, ভাইরাহাওয়া ও নেপালগঞ্জ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মালবাহী ট্রাক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, নেপালের তরাই অঞ্চলে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা নেপালগামী পণ্যবাহী যান, এলপিজি বুলেট এবং তেল ট্যাংকারগুলো চলাচলে বাধা দিচ্ছে। বিরাটনগর, কাকাদহিটা, বিরগঞ্জ, ভাইরাহাওয়া ও নেপালগঞ্জ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মালবাহী ট্রাক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছে।
নেপাল
টাইমসের খবরে প্রশ্ন করা হয়েছে, এটা কি ১৯৮৯ সালে নেপালের বিরুদ্ধে ভারতের
আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধের পুনরাবৃত্তি? কাঠমান্ডু এখন নয়া দিল্লির কাছে এই
প্রশ্নের জবাব চাচ্ছে।
নেপালের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাগ রাজ অধিকারি শুক্রবার এ বিষয়ে নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। ভারত অবশ্য অবরোধ আরোপের কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, বিরাজমান পরিস্থিতিতে তাদের পণ্য যেতে পারছে না।
ভারত অস্বীকার করলেও অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে নেপাল ওয়েল করপোরেশন (এনওসি) বৃহস্পতিবার থেকে তেল আমদানি করতে পারছে না। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নেপালি ট্যাংকারচালকদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলেও নেপাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে। পূর্ব নেপালে যেখানে কোনো বিক্ষোভ নেই, সেখান দিয়েও ভারত কোনো পণ্য নেপালে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, নেপালের নতুন সংবিধানবিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নিত্যপণ্য, রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস, পেট্রোলিয়াম পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক আটকা পড়ে আছে। পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যাপারে নেপাল ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের কাছে পুরোপুরি নির্ভরশীল। প্রায় এক মাস ধরে চলমান সঙ্ঘাতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, নেপালের বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয় চীনের সাথে দুটি বাণিজ্য পয়েন্ট খোলার জন্য কূটনৈতিক প্রয়াস শুরু করেছে।
নেপালের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাগ রাজ অধিকারি শুক্রবার এ বিষয়ে নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। ভারত অবশ্য অবরোধ আরোপের কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, বিরাজমান পরিস্থিতিতে তাদের পণ্য যেতে পারছে না।
ভারত অস্বীকার করলেও অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে নেপাল ওয়েল করপোরেশন (এনওসি) বৃহস্পতিবার থেকে তেল আমদানি করতে পারছে না। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নেপালি ট্যাংকারচালকদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলেও নেপাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে। পূর্ব নেপালে যেখানে কোনো বিক্ষোভ নেই, সেখান দিয়েও ভারত কোনো পণ্য নেপালে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, নেপালের নতুন সংবিধানবিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নিত্যপণ্য, রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস, পেট্রোলিয়াম পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক আটকা পড়ে আছে। পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যাপারে নেপাল ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের কাছে পুরোপুরি নির্ভরশীল। প্রায় এক মাস ধরে চলমান সঙ্ঘাতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, নেপালের বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয় চীনের সাথে দুটি বাণিজ্য পয়েন্ট খোলার জন্য কূটনৈতিক প্রয়াস শুরু করেছে।
No comments