দোকান মালিকদের ক্ষতি ২৭০০০ কোটি টাকা by হামিদ বিশ্বাস
টানা
অবরোধ ও হরতালে দেশের দোকান মালিকদের এ পর্যন্ত ২৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
হয়েছে। এখনও অনেক এলাকার ২০ থেকে ৩০ ভাগ দোকান খোলা যাচ্ছে না। কোথাও
বিক্রি নেই। হরতাল-অবরোধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনটি দাবি জানিয়েছেন
ব্যবসায়ীরা। অবরোধ চলার সময়ে ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের সুদ মওকুফ, এ সময়ে
লেনদেন করা ব্যবসায়ীদের ঋণখেলাপি করা যাবে না ও অস্থিতিশীল সময়ে ব্যবসায়ীরা
কোন ভ্যাট দেবে না। সম্প্রতি দোকান মালিকদের এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এসব দাবি
করা হয়। সারা দেশের সর্বশেষ অবস্থা জানতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এ
বৈঠকের আয়োজন করে। এতে দেশের দোকান মালিক সমিতির নেতারা ক্ষতির তথ্য নিয়ে
বৈঠকে যোগ দেন। যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ
কাদের কিরণ মানবজমিনকে জানান, হরতাল-অবরোধের প্রায় তিন মাসে ২৭ হাজার কোটি
টাকান ক্ষতির শিকার হয়েছি। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। অনেকে বলছেন, পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে এসেছে তা কি আপনি মনে করেন- এমন প্রশ্নে কিরণ বলেন, তারা
নিয়ন্ত্রণ বলতে কি বোঝান তা আমি জানি না। তবে হ্যাঁ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থাকতে পারে। কিন্তু লেনদেন ও বাজারের
স্থবিরতা, যা শুরু হয়েছিল ৫ই জানুয়ারি তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। কোন পরিবর্তন
হয়নি। ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক, ভয় এখনও কাজ করছে। সে কারণে তারা বের হচ্ছেন
না। তিনি বলেন, ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে অস্থিরতার সময়ে ভ্যাট ও সুদ
মওকুফ এবং ঋণখেলাপি থেকে রেহাই পেতে চাই।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, চলমান হরতাল-অবরোধে সারা দেশে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে দেশব্যাপী ছোট-মাঝারি ও বড় মানের ২৫ লাখ দোকানে প্রায় তিন মাসে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকায় ৪ লাখ দোকানের হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। আর ঢাকার বাইরে ২১ লাখ দোকানের হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ালো প্রায় ২২ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
কাওরান বাজার সুপার মার্কেট সমিতির সভাপতি শেখ শামসুল আলম বুলবুল বলেন, এভাবে যদি কিছুদিন চলে তাহলে ৬০ শতাংশ ভাড়া দোকানদার দোকান ছেড়ে চলে যাবে। ইতিমধ্যে চারজন দোকানদার প্রচুর ঋণ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আরও ২০ থেকে ২৫ জন তার কাছে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন চলে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, কঠিন সময় পার করছি। বিক্রি নেই। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
তবে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। ব্যবসায়ীরা ভয়কে জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। বলেছিলাম আইন করে হরতাল বন্ধ করতে, এখন আইন ছাড়াই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তার। তবুও বর্তমানে শুধু ঢাকা মহানগর দোকান মালিকদের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, দোকান খুলছে কিন্তু কেনাবেচা একটু কম। সে কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, স্ট্রাইক করার যেমন অধিকার আছে, তেমনি স্ট্রাইক ভঙ্গ করারও অধিকার আছে নাগরিকের। যাদের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের কাছ থেকে ক্ষতি পূরণ আদায়ের দাবি জানান তিনি। হরতাল-অবরোধের কারণে শুধু দোকান ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না। এর সঙ্গে নানাভাবে জড়িত উৎপাদক ও ভোক্তা শ্রেণীও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোন সমাধান আছে কিনা জানতে চাইলে দুদকের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি সবার জানা কিভাবে সমাধান হবে, নতুনভাবে বলার কিছু নেই। তবে এটুকু বলতে চাই, এটা থামা দরকার। সবকিছুর একটা শেষ আছে, আবার শুরুও আছে। মনে রাখতে হবে শেষ যেন বেশি শেষ না হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, চলমান হরতাল-অবরোধে সারা দেশে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে দেশব্যাপী ছোট-মাঝারি ও বড় মানের ২৫ লাখ দোকানে প্রায় তিন মাসে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকায় ৪ লাখ দোকানের হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। আর ঢাকার বাইরে ২১ লাখ দোকানের হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ালো প্রায় ২২ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
কাওরান বাজার সুপার মার্কেট সমিতির সভাপতি শেখ শামসুল আলম বুলবুল বলেন, এভাবে যদি কিছুদিন চলে তাহলে ৬০ শতাংশ ভাড়া দোকানদার দোকান ছেড়ে চলে যাবে। ইতিমধ্যে চারজন দোকানদার প্রচুর ঋণ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আরও ২০ থেকে ২৫ জন তার কাছে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন চলে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, কঠিন সময় পার করছি। বিক্রি নেই। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
তবে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। ব্যবসায়ীরা ভয়কে জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। বলেছিলাম আইন করে হরতাল বন্ধ করতে, এখন আইন ছাড়াই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তার। তবুও বর্তমানে শুধু ঢাকা মহানগর দোকান মালিকদের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, দোকান খুলছে কিন্তু কেনাবেচা একটু কম। সে কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, স্ট্রাইক করার যেমন অধিকার আছে, তেমনি স্ট্রাইক ভঙ্গ করারও অধিকার আছে নাগরিকের। যাদের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের কাছ থেকে ক্ষতি পূরণ আদায়ের দাবি জানান তিনি। হরতাল-অবরোধের কারণে শুধু দোকান ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না। এর সঙ্গে নানাভাবে জড়িত উৎপাদক ও ভোক্তা শ্রেণীও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোন সমাধান আছে কিনা জানতে চাইলে দুদকের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি সবার জানা কিভাবে সমাধান হবে, নতুনভাবে বলার কিছু নেই। তবে এটুকু বলতে চাই, এটা থামা দরকার। সবকিছুর একটা শেষ আছে, আবার শুরুও আছে। মনে রাখতে হবে শেষ যেন বেশি শেষ না হয়।
No comments