ইয়েমেনে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি!
শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইয়েমেনের ক্ষমতাসীনদের চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যেই দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ করছে সৌদি আরব।
মার্কিন সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, এই রণপ্রস্তুতি ইয়েমেনে সৌদি আরবের হামলা অথবা সেখান থেকে আসা সম্ভাব্য হামলা ঠেকানো- উভয় উদ্দেশ্যেই হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর কাছে সৈন্য ও জমা করা অস্ত্রের পরিমাণকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তাদের ধারণা, ইয়েমেনের অ্যাডেনে অবস্থান করা দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুর হাদির ওপর হুতিদের হামলা প্রতিরোধ করতে সৌদি বিমান বাহিনী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদিসহ অন্যান্য আরব সুন্নী দেশ সমর্থিত প্রেসিডেন্ট হাদিকে হঠিয়ে দিতে দেশটির রাজধানী সানা দখল করে নেয়। তখন থেকে হাদি অ্যাডেন শহরে নিজের বাসভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন।
সর্বশেষ বুধবার প্রেসিডেন্ট হাদি হামলার মুখে অ্যাডেন থেকে পালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপন করেন এবং তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিদ্রোহীদের হাতে আটক হন। হাদি তার দেশে আল-কায়েদার একটি শাখার আস্তানায় মার্কিন ড্রোন হামলায় সমর্থন দিয়েছিলেন।
সীমান্তবর্তী দেশে ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতিদের অব্যাহত শক্তি প্রদর্শন মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান অন্যতম শক্তি সৌদি আরবের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইয়েমেনে সাথে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটারের সীমান্ত থাকা সৌদি আরবের উদ্বেগ হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশটির সংকটের প্রভাব নিজ দেশেও পড়তে পারে। বিশেষ করে, ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের সীমান্তের সাথেই সৌদির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইয়েমেন সীমান্তে সৌদির সমরসজ্জার ব্যাপারে ওয়াশিংটন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে। তবে তিনি সেটির প্রকৃত আকার এবং অবস্থান সম্পর্কে কিছু বলেননি।
গত সোমবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাউদ আল-ফায়সাল বলেছিলেন, কোন শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে আরব দেশগুলো হুতিদের আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
এরপর মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট হাদি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা এক চিঠিতে হুতিদের দমনে আগ্রহী দেশগুলোকে সামরিক হস্তক্ষেপে সমর্থন দেয়ার আহবান জানান।
তবে সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, বাইরে থেকে ইয়েমেনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। হাদির অবস্থান ক্রমাগতভাবে দুর্বল হচ্ছে এবং বলা যায় তিনি এখন পতিত হয়ে গেছেন।
মার্কিন সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, এই রণপ্রস্তুতি ইয়েমেনে সৌদি আরবের হামলা অথবা সেখান থেকে আসা সম্ভাব্য হামলা ঠেকানো- উভয় উদ্দেশ্যেই হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর কাছে সৈন্য ও জমা করা অস্ত্রের পরিমাণকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তাদের ধারণা, ইয়েমেনের অ্যাডেনে অবস্থান করা দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুর হাদির ওপর হুতিদের হামলা প্রতিরোধ করতে সৌদি বিমান বাহিনী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদিসহ অন্যান্য আরব সুন্নী দেশ সমর্থিত প্রেসিডেন্ট হাদিকে হঠিয়ে দিতে দেশটির রাজধানী সানা দখল করে নেয়। তখন থেকে হাদি অ্যাডেন শহরে নিজের বাসভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন।
সর্বশেষ বুধবার প্রেসিডেন্ট হাদি হামলার মুখে অ্যাডেন থেকে পালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপন করেন এবং তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিদ্রোহীদের হাতে আটক হন। হাদি তার দেশে আল-কায়েদার একটি শাখার আস্তানায় মার্কিন ড্রোন হামলায় সমর্থন দিয়েছিলেন।
সীমান্তবর্তী দেশে ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতিদের অব্যাহত শক্তি প্রদর্শন মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান অন্যতম শক্তি সৌদি আরবের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইয়েমেনে সাথে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটারের সীমান্ত থাকা সৌদি আরবের উদ্বেগ হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশটির সংকটের প্রভাব নিজ দেশেও পড়তে পারে। বিশেষ করে, ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের সীমান্তের সাথেই সৌদির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইয়েমেন সীমান্তে সৌদির সমরসজ্জার ব্যাপারে ওয়াশিংটন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে। তবে তিনি সেটির প্রকৃত আকার এবং অবস্থান সম্পর্কে কিছু বলেননি।
গত সোমবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাউদ আল-ফায়সাল বলেছিলেন, কোন শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে আরব দেশগুলো হুতিদের আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
এরপর মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট হাদি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা এক চিঠিতে হুতিদের দমনে আগ্রহী দেশগুলোকে সামরিক হস্তক্ষেপে সমর্থন দেয়ার আহবান জানান।
তবে সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, বাইরে থেকে ইয়েমেনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। হাদির অবস্থান ক্রমাগতভাবে দুর্বল হচ্ছে এবং বলা যায় তিনি এখন পতিত হয়ে গেছেন।
No comments