ঔষধ প্রশাসনে পদে পদে দুর্নীতি
রাজনীতিকে
কলুষিত না করার জন্য দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল দুপুরে
সংস্থাটির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের
জবাবে বলেন, আমরা সহিংসতার রাজনীতি চাই না। মানুষের জীবন ও গণতন্ত্র
বিপর্যস্ত হোক এমন কর্মসূচিও চাই না। দুই দলকে সহিসংতার রাজনীতি পরিহার
করার আহ্বান জানান তিনি। ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে সুশাসন: চ্যালেঞ্জ ও
উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ
সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে
অসাধু কর্মকর্তা ও উৎপাদকদের যোগসাজশে লাইসেন্স প্রদানে ৫ থেকে ১০ লাখ
টাকা এবং প্রকল্প হস্তান্তর ও স্থানান্তরে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ম
বহির্ভূত লেনদেন হয়। টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অধিদপ্তর বিষয়টি
স্বীকার করেছে। বড় বড় ওষুধ কোম্পানিও এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি
যুগোপযোগী নীতি কাঠামো তৈরি, সমন্বিত আইন প্রণয়ন, আইনের কার্যকর প্রয়োগ,
জনবল ও দক্ষতা বৃদ্ধি, দুর্নীতির অভিযোগে যথাযথ প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি নিশ্চিত করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১২ দফা
সুপারিশ করেছে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের মো. শাহ?নূর রহমান ও নাজমূল হুদা মিনা।
টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাহী পরিচালক ড.
ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেকগুলো বড় বড় ওষুধ কোম্পানি আছে, যারা বিদেশেও ওষুধ রপ্তানি করে। এটি আমাদের জন্য গবের্র বিষয়। কিন্তু রপ্তানির জন্য যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য সে মানের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় না। এর ফলে আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকতে বাধ্য হই। এমনকি ঝুঁকি নিরসনের কোন প্রকার মানদণ্ডও তারা অনুসরণ করেন না, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।’
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘সুশাসনের সবচেয়ে বড় শর্ত দায়িত্বশীলতা। কিন্তু ঔষধ প্রশাসনে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে। অতি মুনাফা লাভের আশায় ওষুধ কোম্পানিগুলো নীতি নৈতিকতার মানদণ্ডের তোয়াক্কা করছে না। নির্বাহী বিভাগগুলোও এর সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন খাবারের পাশাপাশি দৈনন্দিন ওষুধ নির্ভরশীলতা বেড়েছে। বিষাক্ত খাবার কিনতে আমরা যেমন বাধ্য হচ্ছি তেমনি ওষুধের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। ওষুধে যে পরিমাণ উপাদান থাকা উচিৎ তা থাকে না। এটিও সুশাসনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভেজাল ও নকল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সামপ্রতিককালে মাঠ পর্যায়ে জনবল বৃদ্ধি, ওষুধ পরীক্ষাগার পুনঃস্থাপন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান জোরদারকরণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণসহ বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তা সত্ত্ব্বেও এ খাতটিতে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদান, প্রকল্প হস্তান্তর/স্থানান্তর, রেসিপি অনুমোদন, ওষুধ নিবন্ধন, নমুনা পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ১৩ খাতে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি, অর্গানো গ্রাম অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন না করা, কর্মবণ্টনে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং কর্মকর্তাদের পরিবীক্ষণ ও জবাবদিহিতায় ঘাটতি ও ওষুধ প্রশাসনের সেবা কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে এ অধিদপ্তরে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আওতাধীন পাঁচ শ্রেণীর ওষুধ কোম্পানির মধ্যে (অ্যালোপ্যাথি, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি ও হারবাল) অ্যালোপ্যাথি ওষুধের বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সমস্যা, অনিয়ম ও দুর্নীতি গবেষণায় আওতাভুক্ত করা হয় এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সুশাসন আলোচনার ক্ষেত্রে সুশাসনের বিভিন্ন নির্দেশকের (আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণ, সংবেদনশীলতা, সেবার ঘাটতি ও দুর্নীতি) ওপর ভিত্তি করে তথ্য সংগৃহীত হয়।
প্রতিবেদনে উপস্থাপিত জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত এ অধিদপ্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় টিআইবি’র উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো- মেডিক্যাল ডিভাইস, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও কসমেটিকস সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করে ওষুধ সংক্রান্ত কমিটিগুলোর গঠন ও কর্মপ্রক্রিয়া আইনে অন্তর্ভুক্ত ও সুনির্দিষ্ট করে ওষুধের মূল্য নির্ধারণে গেজেট প্রকাশের সময়কাল সুনির্দিষ্ট করা। ওষুধ আইনে অপরাধের জরিমানা ও শাস্তির অসামঞ্জস্যতা দূর করে একটি সমন্বিত একক আইন প্রণয়ন এবং এর কার্যকর প্রয়োগে পদক্ষেপ নেয়া। এছাড়া কাজের পরিধি ও ভৌগোলিক আওতা বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি ওষুধ পরিদর্শকের পদ সৃষ্টি ও অতিসত্বর অর্গানো গ্রাম অনুযায়ী সব পর্যায়ে জনবল নিয়োগ করা। অর্গানো গ্রাম ও কর্ম-বিবরণ অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন করা এবং ওষুধ কারখানা পরিবীক্ষণের দায়িত্ব বণ্টনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। এছাড়া ওয়েবসাইটে সব রকম রেজিস্ট্রেশনের তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা। ওষুধ প্রশাসনের কার্যক্রমে জন-অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা- এ লক্ষ্যে টোল ফ্রি নম্বর বা হটলাইন চালু করা। একই সঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতিরোধে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রণোদনার ব্যবস্থা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নৈতিক আচরণ বিধি তৈরি ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে টিআইবি। অন্যদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোতে বিশেষত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি, মূল্য নির্ধারণ কমিটি, ব্লক লিস্ট অনুমোদন কমিটি এবং প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি বন্ধ করা। আর যে সব ওষুধ কোম্পানি নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত করে তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে টিআইবি। বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ উৎপাদনে উৎপাদকদের আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রভাবকে ঔষধ প্রশাসনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেকগুলো বড় বড় ওষুধ কোম্পানি আছে, যারা বিদেশেও ওষুধ রপ্তানি করে। এটি আমাদের জন্য গবের্র বিষয়। কিন্তু রপ্তানির জন্য যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য সে মানের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় না। এর ফলে আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকতে বাধ্য হই। এমনকি ঝুঁকি নিরসনের কোন প্রকার মানদণ্ডও তারা অনুসরণ করেন না, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।’
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘সুশাসনের সবচেয়ে বড় শর্ত দায়িত্বশীলতা। কিন্তু ঔষধ প্রশাসনে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে। অতি মুনাফা লাভের আশায় ওষুধ কোম্পানিগুলো নীতি নৈতিকতার মানদণ্ডের তোয়াক্কা করছে না। নির্বাহী বিভাগগুলোও এর সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন খাবারের পাশাপাশি দৈনন্দিন ওষুধ নির্ভরশীলতা বেড়েছে। বিষাক্ত খাবার কিনতে আমরা যেমন বাধ্য হচ্ছি তেমনি ওষুধের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। ওষুধে যে পরিমাণ উপাদান থাকা উচিৎ তা থাকে না। এটিও সুশাসনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভেজাল ও নকল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সামপ্রতিককালে মাঠ পর্যায়ে জনবল বৃদ্ধি, ওষুধ পরীক্ষাগার পুনঃস্থাপন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান জোরদারকরণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণসহ বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তা সত্ত্ব্বেও এ খাতটিতে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদান, প্রকল্প হস্তান্তর/স্থানান্তর, রেসিপি অনুমোদন, ওষুধ নিবন্ধন, নমুনা পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ১৩ খাতে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি, অর্গানো গ্রাম অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন না করা, কর্মবণ্টনে স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং কর্মকর্তাদের পরিবীক্ষণ ও জবাবদিহিতায় ঘাটতি ও ওষুধ প্রশাসনের সেবা কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে এ অধিদপ্তরে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আওতাধীন পাঁচ শ্রেণীর ওষুধ কোম্পানির মধ্যে (অ্যালোপ্যাথি, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি ও হারবাল) অ্যালোপ্যাথি ওষুধের বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সমস্যা, অনিয়ম ও দুর্নীতি গবেষণায় আওতাভুক্ত করা হয় এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সুশাসন আলোচনার ক্ষেত্রে সুশাসনের বিভিন্ন নির্দেশকের (আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণ, সংবেদনশীলতা, সেবার ঘাটতি ও দুর্নীতি) ওপর ভিত্তি করে তথ্য সংগৃহীত হয়।
প্রতিবেদনে উপস্থাপিত জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত এ অধিদপ্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় টিআইবি’র উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো- মেডিক্যাল ডিভাইস, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও কসমেটিকস সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করে ওষুধ সংক্রান্ত কমিটিগুলোর গঠন ও কর্মপ্রক্রিয়া আইনে অন্তর্ভুক্ত ও সুনির্দিষ্ট করে ওষুধের মূল্য নির্ধারণে গেজেট প্রকাশের সময়কাল সুনির্দিষ্ট করা। ওষুধ আইনে অপরাধের জরিমানা ও শাস্তির অসামঞ্জস্যতা দূর করে একটি সমন্বিত একক আইন প্রণয়ন এবং এর কার্যকর প্রয়োগে পদক্ষেপ নেয়া। এছাড়া কাজের পরিধি ও ভৌগোলিক আওতা বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি ওষুধ পরিদর্শকের পদ সৃষ্টি ও অতিসত্বর অর্গানো গ্রাম অনুযায়ী সব পর্যায়ে জনবল নিয়োগ করা। অর্গানো গ্রাম ও কর্ম-বিবরণ অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন করা এবং ওষুধ কারখানা পরিবীক্ষণের দায়িত্ব বণ্টনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। এছাড়া ওয়েবসাইটে সব রকম রেজিস্ট্রেশনের তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা। ওষুধ প্রশাসনের কার্যক্রমে জন-অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা- এ লক্ষ্যে টোল ফ্রি নম্বর বা হটলাইন চালু করা। একই সঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতিরোধে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রণোদনার ব্যবস্থা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নৈতিক আচরণ বিধি তৈরি ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে টিআইবি। অন্যদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোতে বিশেষত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি, মূল্য নির্ধারণ কমিটি, ব্লক লিস্ট অনুমোদন কমিটি এবং প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি বন্ধ করা। আর যে সব ওষুধ কোম্পানি নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত করে তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে টিআইবি। বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ উৎপাদনে উৎপাদকদের আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রভাবকে ঔষধ প্রশাসনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।
No comments