‘রাষ্ট্র খণ্ড হলো কেন?’, প্রধানমন্ত্রীকে এমাজউদ্দীন
রাষ্ট্রের
অখণ্ডতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে বিশিষ্ট
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘জাতির অখণ্ডতা রক্ষা করতে হবে,
ঠিক আছে। কিন্তু অখণ্ড রাষ্ট্র খণ্ড হলো কেন?’ আজ শুক্রবার সকালে জাতীয়
প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
কাছে এ প্রশ্ন রাখেন এমাজউদ্দীন আহমদ। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর
সোনাকান্দায় সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যেকোনো ধরনের
অশুভ শক্তির মোকাবিলা এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায়
আমাদের সেনাবাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত।’
গোলটেবিল আলোচনায় আরেকজন আলোচকও প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী অখণ্ডতা রক্ষা করবে। তাহলে, এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে?’
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘পুরো জাতি আজ বিভক্ত। ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, বিচারক, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-এমন কোনো খাত নেই যেখানে বিভক্তি নেই। এভাবে চলতে থাকলে এ দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে আর দেরি হবে না। রুয়ান্ডা এভাবেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়েছিল। ’
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে খুব ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। এত খারাপ সময় যে আমার মনে হয় ১৯৭১ সালের ছায়া লক্ষ করছি। ’ তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিকেরা এর জন্য দায়ী। বিষাক্ত রাজনীতির ফলে রাজনীতি, অর্থনীতি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান বিকৃত হয়ে গেছে। ’ এ অবস্থার অবসানে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে অবিলম্বে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার পরামর্শ দেন এমাজউদ্দীন আহমদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষা করতে প্রস্তুত। তাহলে কী সে রকম অবস্থা চলছে? তার মানে দেশ দুই ভাগে বিভক্ত। কিন্তু দেশের এই করুণ পরিণতিটা কেন? ’
দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এর থেকে বের হতে হলে সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ভীষণ জরুরি। কিন্তু এ কথা আমি যখনই বলব, তখনই বলা হবে আমি বিএনপির লোক। ’
সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ (সিএনএস) নামের একটি সংগঠন ‘জাতি গঠনের পথে বাধা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সাদেক খান বলেন, ‘জাতি গঠন আর রাষ্ট্র গঠন এক নয়। বাংলাদেশের এখনকার সমস্যা রাষ্ট্র গঠন নিয়ে। কারণ বর্তমান সংবিধান অকেজো। এটি এখন গণতন্ত্রও না, প্রজাতন্ত্রও না। অনির্বাচিত একতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘এখন মুক্তিযুদ্ধে চেতনার নামে এক্সক্লুসিভ ভাবনার সৃষ্টি করা হচ্ছে। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া এমন একপেশে ভাবনা দিয়ে কখনো রাষ্ট্র গঠন হয় না। ’
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, ‘স্টালিন বলেছিলেন, “নো ম্যান, নো প্রবলেম”। বর্তমান সরকার জাতি গঠনে স্টালিনের এই কু-উক্তিকে গ্রহণ করেছে। যখন-তখন মানুষকে গুম, খুন ও গুলি করে মারছে। ’
গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সিএনএসের চেয়ারম্যান ফাতেমা আনোয়ার।
গোলটেবিল আলোচনায় আরেকজন আলোচকও প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী অখণ্ডতা রক্ষা করবে। তাহলে, এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে?’
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘পুরো জাতি আজ বিভক্ত। ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, বিচারক, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-এমন কোনো খাত নেই যেখানে বিভক্তি নেই। এভাবে চলতে থাকলে এ দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে আর দেরি হবে না। রুয়ান্ডা এভাবেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়েছিল। ’
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে খুব ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। এত খারাপ সময় যে আমার মনে হয় ১৯৭১ সালের ছায়া লক্ষ করছি। ’ তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিকেরা এর জন্য দায়ী। বিষাক্ত রাজনীতির ফলে রাজনীতি, অর্থনীতি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান বিকৃত হয়ে গেছে। ’ এ অবস্থার অবসানে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে অবিলম্বে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার পরামর্শ দেন এমাজউদ্দীন আহমদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষা করতে প্রস্তুত। তাহলে কী সে রকম অবস্থা চলছে? তার মানে দেশ দুই ভাগে বিভক্ত। কিন্তু দেশের এই করুণ পরিণতিটা কেন? ’
দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এর থেকে বের হতে হলে সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ভীষণ জরুরি। কিন্তু এ কথা আমি যখনই বলব, তখনই বলা হবে আমি বিএনপির লোক। ’
সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ (সিএনএস) নামের একটি সংগঠন ‘জাতি গঠনের পথে বাধা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সাদেক খান বলেন, ‘জাতি গঠন আর রাষ্ট্র গঠন এক নয়। বাংলাদেশের এখনকার সমস্যা রাষ্ট্র গঠন নিয়ে। কারণ বর্তমান সংবিধান অকেজো। এটি এখন গণতন্ত্রও না, প্রজাতন্ত্রও না। অনির্বাচিত একতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘এখন মুক্তিযুদ্ধে চেতনার নামে এক্সক্লুসিভ ভাবনার সৃষ্টি করা হচ্ছে। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া এমন একপেশে ভাবনা দিয়ে কখনো রাষ্ট্র গঠন হয় না। ’
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, ‘স্টালিন বলেছিলেন, “নো ম্যান, নো প্রবলেম”। বর্তমান সরকার জাতি গঠনে স্টালিনের এই কু-উক্তিকে গ্রহণ করেছে। যখন-তখন মানুষকে গুম, খুন ও গুলি করে মারছে। ’
গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সিএনএসের চেয়ারম্যান ফাতেমা আনোয়ার।
No comments