নির্বাচন ছাড়া পিছু হটবে না বিএনপি by মঈন উদ্দিন খান
নতুন
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকার থেকে আলোচনার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না পাওয়া
পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো
ইস্যুতে আলোচনায়ও বসবে না দলটি। দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে
অবরোধ আরো কঠোর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী রোববার দ্বিতীয় দফার
ইজতেমা শেষে অবরোধের পাশাপাশি নতুন কর্মসূচির ডাক দেয়া হতে পারে। ঢাকায়
আন্দোলন কার্যকর পরিণতির দিকে এগিয়ে নিতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া নয়া দিগন্তকে দলের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে
তুলে ধরে বলেন, দলের নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। যতণ নির্দলীয় সরকারের
অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নেয়া হবে, ততণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবরোধ
চলবে। দলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলন পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলছে।
সরকারের গ্রেফতার নীতির কারণে প্রকাশ্যে না এলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সব নেতা
কার্যকর ভূমিকা রেখে চলছেন। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে
যাওয়ার বিষয়ে অনড় রয়েছেন খালেদা জিয়া। সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল
পর্যন্ত নেতাদের আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় রাখতে নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ
রাখছেন তিনি। ২০ দলের শীর্ষ নেতাদেরকে সাথেও জোট প্রধান কথা বলে নানা
দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আন্দোলন প্রসঙ্গে দলের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত
করেছে দলের স্থায়ী কমিটিও। এক বিবৃতিতে দলের নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন,
যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আন্দোলন লাগাতারভাবে চলবে। অবৈধ
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে সাময়িক কষ্ট স্বীকারের জন্য
দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাই মনে করেন, গত বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্দোলন স্থগিত না করে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেলে আরো অনেক আগেই সফলতা আসত। তাই, এবার সরকার সরাসরি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেই। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাফল্য আসবে বলে মনে করছে দলের হাইকমান্ড।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমান সঙ্কট উত্তরণের জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, তাদের দাবি স্পষ্ট; নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সংলাপে বসতে চায় তবেই তারা আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন, অন্যথায় নয়।
জানা গেছে, দলের তৃণমূল পর্যায় থেকেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলাপর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে। ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ফলে তৃণমূলে সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে। আন্দোলনে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আর ঘরে ফেরার সুযোগ নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার ইজতেমা শেষে রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। দলের চেয়ারপারসন ঢাকায় আন্দোলন জোরদারে নতুন নির্দেশনাও দিয়েছেন। তার নির্দেশনা পেয়ে গতকাল মাঠে নেমেছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল নিয়ে মাঠে নামতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, ইজতেমার পরে আন্দোলনের গতি বাড়াতে অবরোধের পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হরতাল-অসহযোগের ডাক দিতে পারেন খালেদা জিয়া। রাজপথে আন্দোলন চাঙ্গা করার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতায় জোর দিয়েছেন তিনি। কূটনৈতিক তৎপরতার সাথে যুক্ত শমসের মোবিন চৌধুরীকে গ্রেফতার, রিয়াজ রহমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দলের শীর্ষ পর্যায়ে আরো কয়েকজনকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের বাসায় কয়েকটি দেশের ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কূটনীতিকেরা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাই মনে করেন, গত বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্দোলন স্থগিত না করে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেলে আরো অনেক আগেই সফলতা আসত। তাই, এবার সরকার সরাসরি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেই। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাফল্য আসবে বলে মনে করছে দলের হাইকমান্ড।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমান সঙ্কট উত্তরণের জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, তাদের দাবি স্পষ্ট; নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সংলাপে বসতে চায় তবেই তারা আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন, অন্যথায় নয়।
জানা গেছে, দলের তৃণমূল পর্যায় থেকেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলাপর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে। ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ফলে তৃণমূলে সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে। আন্দোলনে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আর ঘরে ফেরার সুযোগ নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার ইজতেমা শেষে রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। দলের চেয়ারপারসন ঢাকায় আন্দোলন জোরদারে নতুন নির্দেশনাও দিয়েছেন। তার নির্দেশনা পেয়ে গতকাল মাঠে নেমেছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল নিয়ে মাঠে নামতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, ইজতেমার পরে আন্দোলনের গতি বাড়াতে অবরোধের পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হরতাল-অসহযোগের ডাক দিতে পারেন খালেদা জিয়া। রাজপথে আন্দোলন চাঙ্গা করার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতায় জোর দিয়েছেন তিনি। কূটনৈতিক তৎপরতার সাথে যুক্ত শমসের মোবিন চৌধুরীকে গ্রেফতার, রিয়াজ রহমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দলের শীর্ষ পর্যায়ে আরো কয়েকজনকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের বাসায় কয়েকটি দেশের ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কূটনীতিকেরা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments