অবরোধে এটিএম বুথে টাকার সঙ্কট by হামিদ বিশ্বাস
টানা
অবরোধে টাকার সঙ্কটে পড়েছে এটিএম বুথগুলো। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এটিএম
বুথে ‘টাকা নেই’ নোটিশ ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। এদিকে প্রয়োজনের সময় টাকা না
পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, টানা অবরোধের কারণে
সময়মতো বুথে টাকা পাঠাতে না পারায় কোন কোন এলাকায় বুথগুলোতে টাকা সংকট
সৃষ্টি হয়েছে। তবে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারে টাকার সঙ্কট প্রকট থাকলেও
বর্তমানে তা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন ব্যাংক
কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাস্তব চিত্র এখনও তা বলছে না। গতকাল এবি ব্যাংকের
যাত্রাবাড়ী এটিএম বুথে গিয়ে দেখা গেছে বুথটি খোলা থাকলেও কোন টাকা ছিল না।
ওই বুথের গ্রাহক আশ্রাফুন নেসা মুক্তা জানান, চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। ছোট
তিন ভাই আবদুল্লাহ, আবদুর রহিম ও আবদুর রহমানকে আজই স্কুলে ভর্তি করানোর
নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু বুথে এসে দেখি টাকা তোলা যাচ্ছে না। বুথের
নিরাপত্তাকর্মী মুজিবর জানান, অবরোধের পর থেকে কোন টাকা আসেনি। প্রায় ২০০
গজ দূরে অবস্থিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সব
মেশিন একই সঙ্গে টাকা দিতে পারছে না। ৪টি মেশিনের মধ্যে দু’টি সচল। অপর
দু’টি টাকাশূন্য। একইভাবে ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী ও
প্রহরী দুলাল জানান, বর্তমানে স্বাভাবিক হলেও চলমান অবরোধে দু’দিন পুরোপুরি
বন্ধ ছিল। এছাড়া মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। টাকা আসে না।
জানা গেছে- রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, টিকাটুলী, মতিঝিল, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ শুরুর পর থেকে এটিএম সেবাদানকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের স্থানীয় বুথগুলোতে নগদ টাকার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বুথগুলোতে ‘টাকা নেই’ নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়। গ্রাহকরা টাকা তোলার জন্য এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটোছুটি করছেন। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখা-সংলগ্ন বুথে দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আবরোধের কারণে বুথে টাকা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে কল সেন্টার থেকে গ্রাহকদের জানানো হয়। ঝিগাতলা বাজার ডাচ্ বাংলার এটিএম মেশিনগুলোর সামনে ঝোলানো টাকা না থাকার নোটিশ প্রসঙ্গে সিকিউরিটি গার্ড আবদুর রহিম জানান, অবরোধের কারণে গত দুই-তিন দিন যাবৎ বুথে কোন টাকা আসছে না। তাই তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশে নোটিশ ঝুলিয়ে রেখেছেন। একাধিক গ্রাহক তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, প্রয়োজনের সময় টাকা উঠাতে না পেয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছি। এ ব্যাপারে গুলশান বুথে টাকা তুলতে যাওয়া ওবায়দুর রহমান বলেন, গুলশানে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বেশ কয়েকটি বুথে গিয়েছি, কোথাও টাকা তুলতে পারিনি। বুথের সিকিউরিটি জানিয়েছেন, টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গুলশানের আরেক গ্রাহক হাসান শাহরিয়ার বলেন, বেতনের টাকা তুলতে গুলশানের কয়েকটি এটিএম বুথ ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও থেকে টাকা তুলতে পারিনি। তিনি বলেন, বাড়িভাড়া দিতে হবে; অথচ টাকা তুলতে পারিনি। আগামী দুই দিন টাকা তুলতে পারবেন কি না, সে নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
একাধিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবরোধের কারণে দু-একটি এটিএম বুথে সমস্যা হতে পারে। তবে দ্রুতই তা ঠিক হয়ে যাবে বলে তারা জানান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের ৫ হাজারের বেশি এটিএম বুথ রয়েছে। আর টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ৮০ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৭২ লাখ রয়েছে ডেবিট কার্ড। সবচেয়ে বেশি আড়াই হাজারের মতো এটিএম বুথ রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের। এর পরেই রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৩৩টি।
জানা গেছে- রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, টিকাটুলী, মতিঝিল, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ শুরুর পর থেকে এটিএম সেবাদানকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের স্থানীয় বুথগুলোতে নগদ টাকার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বুথগুলোতে ‘টাকা নেই’ নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়। গ্রাহকরা টাকা তোলার জন্য এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটোছুটি করছেন। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখা-সংলগ্ন বুথে দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আবরোধের কারণে বুথে টাকা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে কল সেন্টার থেকে গ্রাহকদের জানানো হয়। ঝিগাতলা বাজার ডাচ্ বাংলার এটিএম মেশিনগুলোর সামনে ঝোলানো টাকা না থাকার নোটিশ প্রসঙ্গে সিকিউরিটি গার্ড আবদুর রহিম জানান, অবরোধের কারণে গত দুই-তিন দিন যাবৎ বুথে কোন টাকা আসছে না। তাই তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশে নোটিশ ঝুলিয়ে রেখেছেন। একাধিক গ্রাহক তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, প্রয়োজনের সময় টাকা উঠাতে না পেয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছি। এ ব্যাপারে গুলশান বুথে টাকা তুলতে যাওয়া ওবায়দুর রহমান বলেন, গুলশানে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বেশ কয়েকটি বুথে গিয়েছি, কোথাও টাকা তুলতে পারিনি। বুথের সিকিউরিটি জানিয়েছেন, টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গুলশানের আরেক গ্রাহক হাসান শাহরিয়ার বলেন, বেতনের টাকা তুলতে গুলশানের কয়েকটি এটিএম বুথ ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও থেকে টাকা তুলতে পারিনি। তিনি বলেন, বাড়িভাড়া দিতে হবে; অথচ টাকা তুলতে পারিনি। আগামী দুই দিন টাকা তুলতে পারবেন কি না, সে নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
একাধিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবরোধের কারণে দু-একটি এটিএম বুথে সমস্যা হতে পারে। তবে দ্রুতই তা ঠিক হয়ে যাবে বলে তারা জানান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের ৫ হাজারের বেশি এটিএম বুথ রয়েছে। আর টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ৮০ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৭২ লাখ রয়েছে ডেবিট কার্ড। সবচেয়ে বেশি আড়াই হাজারের মতো এটিএম বুথ রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের। এর পরেই রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৩৩টি।
No comments