ভিন্নমত থাকলে তা প্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করতে হবে
জাতীয়
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর বলেন, ভিন্নমত থাকলে তা প্রকাশের
স্বাধীনতা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা কাম্য
হতে পারে না। গতকাল সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
বার্ন ইউনিটে দেশজুড়ে দুর্বৃত্তদের ছোড়া আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে
তিনি এসব কথা বলেন। ড. মিজানুর রহমান বলেন, রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকলে তা
নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু রাজনীতি সহিংস হতে পারে না, তাকে হতে হবে
অহিংস। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, সহিংসতা, মানুষ পোড়ানো কেউ কোনদিন গ্রহণ
করে না। তিনি বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের
দায়িত্ব। তবে সমপ্রতি যেসব চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে- তা পুরোপুরি নির্মূল
করা অনেকাংশে কঠিন। আগামীতে কোন শিক্ষার্থীকে যেন শঙ্কা নিয়ে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে যেতে না হয়- সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাজনীতিবিদদের প্রতি
আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে
চিকিৎসাধীন দগ্ধদের দেখে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মানবাধিকার কমিশনের
চেয়ারম্যান বলেন, এ দৃশ্য দেখে স্বাভাবিক থাকা যায় না। সাধারণ মানুষের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে কেউ কোনোদিন সফল হয়নি। আপনাদের কাছে মিনতি করছি,
আপনারা আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। নাশকতাকারীদের উদ্দেশ্যে ‘হাত জোড়
করে’ এই মিনতি করেন তিনি। বার্ন ইউনিট থেকে বেরিয়ে মিজানুর রহমান
সাংবাদিকদের বলেন, যা দেখলাম, এরপর স্বাভাবিক থাকা মুশকিল। তিনি বলেন,
যাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে পোড়ানো হচ্ছে, আহ্বানকারীদের
অনুরোধ করব- আপনারা সেইসব মানুষদের সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করুন। বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর
হামলার ঘটনারও নিন্দা জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তিনি
প্রশ্ন করেন, তাকে (রিয়াজ রহমান) দেখতে হাসপাতালে অনেকে গিয়েছেন। বিভিন্ন
বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন
ইউনিটে থাকা রিকশাচালক, ভ্যানচালক, শিক্ষিকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীদের দেখতে কয়জন এসেছেন? গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে ড. মিজান
বলেন, প্রতিদিন গণমাধ্যমে বীভৎস খবর আসছে। ছবি দেখানো হচ্ছে। এতে আমাদের
শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বীভৎস ছবি দেখা থেকে আমাদের নিস্তার দিন।
No comments