প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন লতিফ সিদ্দিকী!
আবারো
আলোচনায় আসছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। কারাগার থেকে জনসমক্ষে
আসতে চাচ্ছেন তিনি। তাও আবার জাতীয় সংসদে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: ও
পবিত্র হজ সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে সম্প্রতি ঝড় তোলেন আবদুল লতিফ
সিদ্দিকী। ‘বেফাঁস মন্তব্যকারী’ হিসেবে পরিচিত এ সাবেক মন্ত্রী নিজের
ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বেফাঁস মন্তব্যের কারণে বর্তমানে কারাগারে অন্তরীণ। একই
কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব হারালেও এখনো বহাল রয়েছে তার সংসদ সদস্য পদ। এ
প্রেক্ষাপটে দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের তারিখ ঘোষণার পরপরই তিনি সংসদ
অধিবেশনে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি
দিয়েছিলেন। এ অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে।
সাবেক এ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চিঠি কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পর মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ মুহূর্তে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ারই চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। পঞ্চম অধিবেশন চলাকালে পুরো সময়জুড়েই তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে এ মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তাকে মুক্তি দেয়া হলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন কেউ কেউ। এ পরিস্থিতিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ গ্রহণের প্রস্তাব এসেছে। এ প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা জানান, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। ওপরের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেলেই এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক অনুষ্ঠানে ইসলামের অন্যতম বিধান হজ, মহানবী সা: সম্পর্কে চরম আপত্তিকর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বসেন লতিফ সিদ্দিকী। আর এতে চরম বেকায়দায় পড়েন নিজে। সরকার ও দলকেও ফেলেন বিব্রতকর অবস্থায়। পরিণতিতে মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পাশাপাশি নিজ দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ হারান। প্রায় দুই মাস বিদেশ বিভূঁইয়ে ফেরারি জীবন শেষে প্রায় দুই ডজন মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে ২৩ নভেম্বর রাতে গোপনে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর এখন কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের এক রেস্টুরেন্টে নিউ ইয়র্কের টাঙ্গাইলবাসীর সাথে এক অনুষ্ঠানে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হজ, মহানবী ও তাবলিগ জামাতের কড়া সমালোচনা করে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। টেলিভিশনের টক শোর সমালোচনা করেও অশালীন মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়।
মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার আগে টাঙ্গাইল-৪ আসন (কালিহাতী) থেকে নির্বাচিত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। নবম সংসদে তিনি পাটমন্ত্রী ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই।
সাবেক এ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চিঠি কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পর মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ মুহূর্তে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ারই চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। পঞ্চম অধিবেশন চলাকালে পুরো সময়জুড়েই তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে এ মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তাকে মুক্তি দেয়া হলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন কেউ কেউ। এ পরিস্থিতিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ গ্রহণের প্রস্তাব এসেছে। এ প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা জানান, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। ওপরের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেলেই এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক অনুষ্ঠানে ইসলামের অন্যতম বিধান হজ, মহানবী সা: সম্পর্কে চরম আপত্তিকর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বসেন লতিফ সিদ্দিকী। আর এতে চরম বেকায়দায় পড়েন নিজে। সরকার ও দলকেও ফেলেন বিব্রতকর অবস্থায়। পরিণতিতে মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পাশাপাশি নিজ দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ হারান। প্রায় দুই মাস বিদেশ বিভূঁইয়ে ফেরারি জীবন শেষে প্রায় দুই ডজন মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে ২৩ নভেম্বর রাতে গোপনে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর এখন কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের এক রেস্টুরেন্টে নিউ ইয়র্কের টাঙ্গাইলবাসীর সাথে এক অনুষ্ঠানে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হজ, মহানবী ও তাবলিগ জামাতের কড়া সমালোচনা করে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। টেলিভিশনের টক শোর সমালোচনা করেও অশালীন মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়।
মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার আগে টাঙ্গাইল-৪ আসন (কালিহাতী) থেকে নির্বাচিত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। নবম সংসদে তিনি পাটমন্ত্রী ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই।
No comments