ইসলামী দলের মিছিলে পুলিশ-ওলামা লীগের হামলা
সম্মিলিত
ইসলামী দলের পূর্বঘোষিত মিছিলে হামলা চালিয়েছে ওলামা লীগের নেতাকর্মী ও
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় পুলিশ তিন কর্মীকে আটক করে। গতকাল
বাদ জোহর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এ ঘটনা ঘটে। সম্মিলিত
ইসলামী দলের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, লতিফ
সিদ্দিকীসহ নাস্তিক মুরতাদদের সর্বেচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবিতে
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বাদ জোহর মিছিল বের করেন তারা। এ সময় পুলিশ
মসজিদের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বাধার সৃষ্টি করে। এ পর্যায়ে মিছিলটি বায়তুল
মোকাররম মসজিদের সিঁড়িতে গিয়ে সমবেত হয়। এ সময় মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা
আবুল কাসেম কাসেমীসহ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সমাবেশের শেষভাগে
পুলিশ ও ওলামা লীগের নেতাকর্মীরা যৌথ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মুফতি
ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করলে পুলিশ ও
ওলামা লীগের নেতাকর্মীরা এসে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ
সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন বলেও
তিনি অভিযোগ করেন। পদচ্যুত মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ নাস্তিক মুরতাদদের
সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবি ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ
সমাবেশের ডাক দিয়েছিল তারা। পরে সম্মিলিত ইসলামী দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের
হলে ওলামা লীগ, হকার্স লীগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কতিপয় কর্মচারী মিছিলে
অতর্কিত হামলা চালায়। তৌহিদী জনতার ধাওয়া খেয়ে তারা পিছু হটলে পরক্ষণেই
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালায়। তারা বায়তুল মোকাররম উত্তর পাশের
সব গেট বন্ধ করে দেয়। সমাবেশে নেতারা বলেন, আগামী সংসদ অধিবেশনে স্বঘোষিত
ধর্মদ্রোহী মুরতাদ লতিফকে হাজির করা হলে ওই দিন থেকে জাতীয় সংসদ ঘেরাও করা
হবে। এদিকে এ ঘটনার পরপরই বিকালে পল্টনে মুসলিম লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি
বৈঠকে বসেন সম্মিলিত ইসলামী দলের নেতারা। কাজী আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে
বৈঠকে মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী,
অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে
আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই মুরতাদ লতিফের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন
প্রণয়ন করার দাবি জানান।
No comments