জনগণ চাইলে হরতাল বিরোধী আইন
দেশের
চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে
দিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। বলেছেন, ‘পাকিস্তানে স্কুল
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তালেবানরা। সেখানে কি হামলকারীদের সঙ্গে
সংলাপ সম্ভব? সেখানে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করা না গেলে এখানকার কোন
সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে না।’ গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটির মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা
বলেন। তিনি বলেন, আলোচনার জন্য এজেন্ডা কি হবে? বিশৃঙ্খলা করে আলোচনার জন্য
বলা হলে বসব না। কেউ যদি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় তাহলে তাদের
সঙ্গে একশ বার আলোচনায় বসব। আইনমন্ত্রী বলেন, হরতালের নামে এখন যা হচ্ছে তা
সন্ত্রাস। সন্ত্রাস দমনে আইন আছে। এখন এ আইন প্রয়োগ করা হবে। আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেছেন, ‘জনগণ চাইলে’ হরতাল বন্ধে আইন করা হবে। এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, যে আইনে জনগণের সম্পৃক্ততা রয়েছে, সে আইন করা হয়। হরতাল
বন্ধের জন্য দাবি উঠলে এ বিষয়েও আইন করা হবে। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আমলে
হরতাল বললে গাড়ির চাকা বন্ধ হয়ে যেত। জনগণ বের হতো না। এখন হরতাল ডেকে
ফার্মগেটে দুইটা ককটেল মারে। জনগণকে ভয়ভীতি দেখায়। সারা জীবন কষ্ট করে
কেনা গাড়ি নিয়ে কে বেরুবে? ৫ই জানুয়ারি সমাবেশের আগেই গুলশান কার্যালয়ে
অবরুদ্ধ হয়ে সারা দেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া। এর মধ্যে প্রতিদিনই কোন না কোন জেলায় বিএনপি ও শরিকদের হরতাল
চলছে, নাশকতায় প্রাণহানি ঘটছে। অপর এক প্রশ্নে আনিসুল হক দাবি করেন, তদন্তে
সময় লাগলেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা ‘ধামাচাপা’ পড়েনি।
“তদন্ত অব্যাহত আছে। আশা করি তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনি ধরা পড়বে। এমন কিছু
বলা ঠিক হবে না, যাতে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটে। ডিআরইউ’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন
বাদশার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক
ইলিয়াস হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার
প্রতিবাদে সারা দেশে বিএনপির ডাকা হরতালের মধ্যেই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির
এই ‘মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে আসেন আইনমন্ত্রী।
No comments