বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার চিন্তা by জাকির হোসেন লিটন
চলমান
রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে আপাতত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে ‘সেফ
এক্সিট’ (আন্দোলন থেকে সম্মানে সরে আসা) দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। তারই অংশ
হিসেবে জোটকে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
হরতাল-অবরোধে দেশব্যাপী নাশকতা ঠেকাতেই এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে
বিএনপিকে কোনোভাবেই ইজতেমার মধ্যে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত
করেছে। সূত্রগুলো জানায়, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিজ রাজনৈতিক
কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থান এ মুহূর্তে সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে
দাঁড়িয়েছে। সেখান থেকে দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক
যোগাযোগ রাখছেন খালেদা জিয়া। হরতাল অবরোধসহ সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন
সরাসরি মনিটর করছেন তিনি। সে জন্যই এবারের আন্দোলনে গতি পেয়েছে বলে ধারণা
করা হচ্ছে। বিশেষ করে সারা দেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে
সরকারবিরোধীরা। জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর ও হতাহতসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক ঘটনা
ঘটছে প্রতিদিনই। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান
সত্ত্বেও এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। টানা অবরোধ ও হরতালে চরম
ঝুঁকির মুখে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। এ অবস্থায় সরকারের ওপর দেশ-বিদেশ থেকে
চাপও বাড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষ থেকে প্রধান
শরিক আওয়ামী লীগের ওপর চাপ রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি
বিএনপি জোটকে ‘সেফ এক্সিট’ দেয়ার কথাও ভাবছে আওয়ামী লীগ ও সরকারের
নীতিনির্ধারক মহল।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সরকারের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপি জোটের টানা আন্দোলন মোকাবেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির সমাবেশ ঠেকাতে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলে তিনি যে সেখানেই অনড় অবস্থান নেবেন এমন কোনো তথ্য ছিল না সরকারের কাছে। গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থান এখন সরকারের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে জন্য চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত করতে খালেদা জিয়াকে ঘরে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার বলেছেন, খালেদা জিয়া ইচ্ছা করলে ‘বাসায়’ যেতে পারেন, তাকে কোনো বাধা দেয়া হবে না।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে তার বাসভবনে ফেরানোর কৌশল হিসেবে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিয়ে আপাতত ‘সেফ এক্সিট’ দিতে চায় সরকার। তিনি রাজধানীর কোথাও সমাবেশে যোগ দিলে সেখান থেকে খালেদা জিয়াকে আর গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বাসায় পৌঁছে দিতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তাকে সেখানেই অবরুদ্ধ করে রাখা হতে পারে। সেখানে কোনো নেতাকর্মীকেই আর খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হবে না। এতে সারা দেশে নেতাকর্মীদের সাথে খালেদা জিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। আর তাতে চলমান আন্দোলনও স্তিমিত করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই মুখে যত কঠোর অবস্থানের কথাই বলা হোক না কেন বিএনপি চাইলে এখন তাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে সমাবেশ করতে দেয়া হলে সরকারবিরোধীরা সারা দেশ থেকে এসে রাজধানীতে টানা অবস্থান এবং বিশৃঙ্খলা শুরু করে কি না সেই ব্যাপারটি নিয়েও ব্যাপক বিশ্লেষণ চলছে। এ রকম কোনো আশঙ্কা থাকলে অনুমতি না-ও দেয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি যদি সমাবেশের আবেদন করে তবে তা ভেবে দেখা হবে।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয় থেকে বের করাকে সরকার অনেকটাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। সমাবেশের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে কৌশলে সেটি করা সম্ভব না হলে রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় জোর করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
তবে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা হলেও ইজতেমার মধ্যে সে রকম কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। বিশেষ করে রোববার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মুনাজাতের দিন হওয়ায় সেদিন কোনোভাবেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। কারণ ওই দিন সমাবেশের অনুমতি দেয়া হলে আখেরি মুনাজাতের নাম করে সারা দেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে চলে আসতে পারে এবং ইজতেমার পর রাজধানীতে টানা অবস্থান ছাড়াও বড় ধরনের ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি করতে পারে বলে সরকারের কাছে তথ্য দিয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, তারা নাকি সমাবেশ করতে চায়। তবে তাদেরকে ১৮ তারিখ রোববার কোনোভাবেই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। কারণ, তারা আখেরি মুনাজাতের নাম করে ঢাকায় অবস্থান নিতে পারে। এ সুযোগ সরকার দেবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি এ ব্যাপারে নয়া দিগন্তকে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেবে প্রশাসন। কারণ বিএনপির কারণে আমরা ৫ জানুয়ারি পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে পারিনি। আমরা সরকারি দল হওয়া সত্ত্বেও ১২ জানুয়ারি ১১টি শর্তে আমাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তাই বিএনপির সমাবেশে নাশকতা হবে কি না তা বিবেচনা করে প্রশাসনই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সরকারের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপি জোটের টানা আন্দোলন মোকাবেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির সমাবেশ ঠেকাতে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলে তিনি যে সেখানেই অনড় অবস্থান নেবেন এমন কোনো তথ্য ছিল না সরকারের কাছে। গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থান এখন সরকারের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে জন্য চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত করতে খালেদা জিয়াকে ঘরে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার বলেছেন, খালেদা জিয়া ইচ্ছা করলে ‘বাসায়’ যেতে পারেন, তাকে কোনো বাধা দেয়া হবে না।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে তার বাসভবনে ফেরানোর কৌশল হিসেবে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিয়ে আপাতত ‘সেফ এক্সিট’ দিতে চায় সরকার। তিনি রাজধানীর কোথাও সমাবেশে যোগ দিলে সেখান থেকে খালেদা জিয়াকে আর গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বাসায় পৌঁছে দিতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তাকে সেখানেই অবরুদ্ধ করে রাখা হতে পারে। সেখানে কোনো নেতাকর্মীকেই আর খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হবে না। এতে সারা দেশে নেতাকর্মীদের সাথে খালেদা জিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। আর তাতে চলমান আন্দোলনও স্তিমিত করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই মুখে যত কঠোর অবস্থানের কথাই বলা হোক না কেন বিএনপি চাইলে এখন তাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে সমাবেশ করতে দেয়া হলে সরকারবিরোধীরা সারা দেশ থেকে এসে রাজধানীতে টানা অবস্থান এবং বিশৃঙ্খলা শুরু করে কি না সেই ব্যাপারটি নিয়েও ব্যাপক বিশ্লেষণ চলছে। এ রকম কোনো আশঙ্কা থাকলে অনুমতি না-ও দেয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি যদি সমাবেশের আবেদন করে তবে তা ভেবে দেখা হবে।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয় থেকে বের করাকে সরকার অনেকটাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। সমাবেশের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে কৌশলে সেটি করা সম্ভব না হলে রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় জোর করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
তবে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা হলেও ইজতেমার মধ্যে সে রকম কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। বিশেষ করে রোববার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মুনাজাতের দিন হওয়ায় সেদিন কোনোভাবেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। কারণ ওই দিন সমাবেশের অনুমতি দেয়া হলে আখেরি মুনাজাতের নাম করে সারা দেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে চলে আসতে পারে এবং ইজতেমার পর রাজধানীতে টানা অবস্থান ছাড়াও বড় ধরনের ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি করতে পারে বলে সরকারের কাছে তথ্য দিয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, তারা নাকি সমাবেশ করতে চায়। তবে তাদেরকে ১৮ তারিখ রোববার কোনোভাবেই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। কারণ, তারা আখেরি মুনাজাতের নাম করে ঢাকায় অবস্থান নিতে পারে। এ সুযোগ সরকার দেবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি এ ব্যাপারে নয়া দিগন্তকে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেবে প্রশাসন। কারণ বিএনপির কারণে আমরা ৫ জানুয়ারি পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে পারিনি। আমরা সরকারি দল হওয়া সত্ত্বেও ১২ জানুয়ারি ১১টি শর্তে আমাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তাই বিএনপির সমাবেশে নাশকতা হবে কি না তা বিবেচনা করে প্রশাসনই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
No comments