ড. তুহিন মালিকের বক্তব্য
আমি
গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে
আমাকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এসব সংবাদে
বলা হচ্ছে যে, আমি ড. তুহিন মালিক গত ৫ই জানুয়ারি ২০১৫ রাতের বেলায় একুশে
টেলিভিশনের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তাবলীগ জামাত ও ইজতেমা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য
করেছি। এই মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে দায়েরকৃত মামলায় ময়মনসিংহের একটি আদালত
এমনকি আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের
খবরে জেনেছি। অথচ বাস্তবতা হলো, গত ৯ই ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে অদ্যাবধি আমি
দেশের বাইরে অবস্থান করছি, যে কারণে ৫ই জানুয়ারি একুশে টেলিভিশনের টকশোতে
অংশ নেয়ার তথ্য কেবল বানোয়াট বা ভিত্তিহীনই নয়, রীতিমতো উদ্ভটও বটে।
প্রকৃতপক্ষে বিগত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আমি একুশে টেলিভিশনের কোন টকশোতে
অংশগ্রহণ করিনি এবং বিদেশে থাকার কারণে মাসাধিককাল আমি অন্য কোন টেলিভিশন
টকশোতেও অংশগ্রহণ কিংবা সংবাদপত্রে কলাম লেখা থেকে বিরত রয়েছি। এছাড়া
ব্যক্তিগতভাবে আমি ছাত্রজীবন থেকেই তাবলীগ জামাতের মেহনতের সঙ্গে যুক্ত এবং
অসংখ্যবার তাবলীগের দাওয়াতি কার্যক্রমে সময় দিয়েছি। সুতরাং তাবলীগ বা
ইজতেমা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।
আমি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি যে, মহল বিশেষ তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে আমার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে তাতে আমার প্রকৃত ফেসবুক আইডির ছবি ব্যবহার করে নানা রকম মিথ্যা প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে। বাস্তবে আমার ফেসবুক আইডি একটি, যাতে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৮ হাজার প্লাস এবং আমার ফ্যান পেজের সংখ্যাও একটি, যাতে লাইকের সংখ্যা ৬৯ হাজার প্লাস। এই দুটি ছাড়া আমার নামের বাকি সব আইডিই ভুয়া।
অপরদিকে গত নভেম্বর মাসে লন্ডনে এক সেমিনারে একাডেমিক আলোচনায় আমি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করি, যা বিগত দুই বছরে বহুবার পত্রিকার কলামে ও টেলিভিশনের টকশোতে আমি করেছি। কিন্তু সেই সমালোচনার ক্ষেত্রে আমি সংবিধান, বঙ্গবন্ধু বা ধর্মকে কটাক্ষ করিনি। তা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে আমার বিরূদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ধর্মদ্রোহিতা ও মানহানির মামলা করে তাতে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে এবং আদালত সেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে। আমি আবারও জোর দিয়ে বলছি যে, আমার বিরূদ্ধে আনীত সব অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণীত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সত্য সমাগত এবং মিথ্যা পরাভূত হবেই। আমি আল্লাহ ও আমার দেশের প্রতি অবিচল আছি এবং চিরকাল থাকবো।
তুহিন মালিক
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
আমি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি যে, মহল বিশেষ তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে আমার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে তাতে আমার প্রকৃত ফেসবুক আইডির ছবি ব্যবহার করে নানা রকম মিথ্যা প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে। বাস্তবে আমার ফেসবুক আইডি একটি, যাতে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৮ হাজার প্লাস এবং আমার ফ্যান পেজের সংখ্যাও একটি, যাতে লাইকের সংখ্যা ৬৯ হাজার প্লাস। এই দুটি ছাড়া আমার নামের বাকি সব আইডিই ভুয়া।
অপরদিকে গত নভেম্বর মাসে লন্ডনে এক সেমিনারে একাডেমিক আলোচনায় আমি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করি, যা বিগত দুই বছরে বহুবার পত্রিকার কলামে ও টেলিভিশনের টকশোতে আমি করেছি। কিন্তু সেই সমালোচনার ক্ষেত্রে আমি সংবিধান, বঙ্গবন্ধু বা ধর্মকে কটাক্ষ করিনি। তা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে আমার বিরূদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ধর্মদ্রোহিতা ও মানহানির মামলা করে তাতে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে এবং আদালত সেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে। আমি আবারও জোর দিয়ে বলছি যে, আমার বিরূদ্ধে আনীত সব অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণীত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সত্য সমাগত এবং মিথ্যা পরাভূত হবেই। আমি আল্লাহ ও আমার দেশের প্রতি অবিচল আছি এবং চিরকাল থাকবো।
তুহিন মালিক
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
No comments