ত্রিমুখী সংঘর্ষে দিনাজপুরে বিএনপির যৌথ কর্মিসভা পণ্ড
কেন্দ্রীয়
নেতাদের উপস্থিতিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে দিনাজপুরে পণ্ড হয়ে গেছে বিএনপি’র
যৌথ কর্মিসভা। এ ঘটনায় মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি প্রহরায়
সভাস্থল ত্যাগ করেছেন স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জে.
(অব.) মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপি’র
কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বিএনপি’র জেলা কার্যালয় দখল নিয়ে পরিস্থিতি এখনও থম
থমে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন
করেছে। স্থানীয় বিএনপি’র কোন্দল নিরসনে দিনাজপুর লোকভবনে গতকাল যৌথ কর্মী
সভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে.
জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক সংসদ
সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য এজেডএম রেজওয়ানুল হকসহ
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া
সভায় বেলা ১২টার সময় প্রয়াত মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক চকলেট আপার ছেলে ডন
মামার সমর্থিত ও বঞ্চিত বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে
প্রবেশ করে। এ সময় তাদের নেতারা মঞ্চে উঠতে চাইলে জেলা বিএনপি’র সাধারণ
সম্পাদক মুকুল চৌধুরী গ্রুপ বাধা দেয়। এ সময় সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সুযোগে
জেলা বিএনপি’র সভাপতি লুৎফর রহমান মিন্টু গ্রুপও সংষর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর
করা হয় মঞ্চ ও চেয়ার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশি প্রহরায় সভাস্থল ত্যাগ
করেছেন স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর
রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা। এ
ঘটনায় কমপক্ষে ৩ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ
ঘটনার পর স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর
রহমান বলেন, দিনাজপুরের ইতিহাসে আজকের ঘটনাটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যারা এ
ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা ন্যাক্কারজনক ঘটনার সূচনা করেছে। এরা কখনও দলীয় মানুষ
হতে পারে না।
No comments