জেরা পদ্ধতি জঘন্য ছিল
জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দিদের ওপর নিষ্ঠুর
নির্যাতন চালানোর বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান জন ব্রেনান। তবে ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বরে
টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর সন্দেহভাজন বন্দিদের জেরা পদ্ধতি কঠোর ও
জঘন্য ছিল বলেও স্বীকার করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সিআইএর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রেনান বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তা তাদের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু সংস্থার অধিকাংশ কর্মকর্তা তাদের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করেছেন।’
মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের এক প্রতিবেদনে সিআইএর ওই জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক ছিল বলে অভিহিত করা হয়। তবে ব্রেনান বলেন, ‘সিআইএ এক সময় অনেক ভালো কাজ করেছে, তখন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। আমার মতে, সিআইএর আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য কার্যকরী, যা যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও হাজারো জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।’ তবে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুমোদিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। বন্দিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের প্রভাব ও ফলাফল অজ্ঞাত বলেও মন্তব্য করেন সিআইএ প্রধান।
২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বন্দিদের ওপর নিষ্ঠুর ওই ধরনের নির্যাতন চালাত সিআইএ। সে সময় জর্জ বুশ দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ব্রেনান সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। জঘন্য ওই কাজের জন্য দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্রেনান বলেন, ‘তিনি সিআইএর মানবিক দিকটা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, সিআইএ এজেন্টদের কিছু কর্ম জঘন্য, নিষ্ঠুর ও কঠোর ছিল।
কিন্তু এটা সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত নির্যাতন ছিল না।’
এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইএর জঘন্য নির্যাতন পদ্ধতি সম্পর্কে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ জানতেন। সিআইএ সদস্যদের এ কাজে উৎসাহ দিতেন তিনি। সিআইএর এ নিষ্ঠুর জেরার পদ্ধতি প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। বিবিসি।
বৃহস্পতিবার সিআইএর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রেনান বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তা তাদের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু সংস্থার অধিকাংশ কর্মকর্তা তাদের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করেছেন।’
মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের এক প্রতিবেদনে সিআইএর ওই জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক ছিল বলে অভিহিত করা হয়। তবে ব্রেনান বলেন, ‘সিআইএ এক সময় অনেক ভালো কাজ করেছে, তখন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। আমার মতে, সিআইএর আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য কার্যকরী, যা যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও হাজারো জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।’ তবে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুমোদিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। বন্দিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের প্রভাব ও ফলাফল অজ্ঞাত বলেও মন্তব্য করেন সিআইএ প্রধান।
২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বন্দিদের ওপর নিষ্ঠুর ওই ধরনের নির্যাতন চালাত সিআইএ। সে সময় জর্জ বুশ দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ব্রেনান সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। জঘন্য ওই কাজের জন্য দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্রেনান বলেন, ‘তিনি সিআইএর মানবিক দিকটা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, সিআইএ এজেন্টদের কিছু কর্ম জঘন্য, নিষ্ঠুর ও কঠোর ছিল।
কিন্তু এটা সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত নির্যাতন ছিল না।’
এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইএর জঘন্য নির্যাতন পদ্ধতি সম্পর্কে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ জানতেন। সিআইএ সদস্যদের এ কাজে উৎসাহ দিতেন তিনি। সিআইএর এ নিষ্ঠুর জেরার পদ্ধতি প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। বিবিসি।
No comments