ভারতে বছরে ২ লাখ মুসলিম খ্রিস্টানকে ধর্মান্তরিত করা হবে
বছরে ২ লাখ মুসলিম-খ্রিস্টানকে
ধর্মান্তকরণ করবে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি অঙ্গসংগঠন
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সংগঠন ধর্মজাগরণ সমিতি। এর মধ্যে
আসন্ন বড়দিনেই আলিগড়ের আরও ৬ হাজার মুসলিম-খ্রিস্টানকে ধর্মান্তকরণের
মাধ্যমে হিন্দু বানানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ধর্ম জাগরণ সমিতি। শুক্রবার
চাঞ্চল্যকর এ খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ধর্মান্তকরণের জন্য চাঁদা তুলতে শুরু করেছে ধর্ম জাগরণ সমিতি। আসন্ন বড়দিনে (২৫ ডিসেম্বর) ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানের খরচ তুলতে প্রচারপত্রও বিলি করা হচ্ছে। ওই দিন ৬ হাজার মুসলিম ও খ্রিস্টানকে ধর্মান্তরিত করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আগ্রায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিরুদ্ধে ২০০ মুসলমানকে জোরপূর্বক হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের ক্ষোভ বিরাজ করছে। লোকসভাসহ গোটা ভারতেই বর্বরোচিত এ ঘটনার সমালোচনা চলছে।
কিন্তু তাতে আরএসএস কর্ণপাত করছে না। আলিগড়ে প্রস্তাবিত ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণাই তার প্রমাণ।
আরএসএসর শাখা সংগঠন ধর্ম জাগরণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রচারপত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে শহরের মাহেশ্বরী কলেজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ হাজার মুসলিম ও ১ হাজার খ্রিস্টানকে হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করা হবে। গোরখপুরের বিজেপি সংসদ সদস্য যোগী আদিত্যনাথ এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
অনুষ্ঠানের খরচ তুলতে চাঁদা চেয়ে ধর্ম জাগরণ সমিতির পশ্চিম ক্ষেত্র (পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশ, ব্রজপ্রান্ত, মীরাট ও উত্তরাখণ্ড) শাখার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক মুসলিমকে ধর্মান্তকরণের খরচ পড়ে ৫ লাখ রুপি এবং প্রত্যেক খ্রিস্টানকে হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করার খরচ পড়ে ২ লাখ রুপি। এই কারণে ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধুবরদের মুক্তহস্তে দান করার আর্জি জানানো হয়েছে প্রচারপত্রে। শুধু তাই নয়, প্রচারপত্রের ভাষা অনুসারে মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সমস্যা বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রভাবশালী সদস্য কাশীনাথ বনসাল জানিয়েছেন, যেহেতু মুসলিম ও খ্রিস্টানরা মূর্তিমান সমস্যা, তাই তার সমাধানে বিপুল খরচ করার প্রয়োজন হয়।
তবে প্রস্তাবিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা যার, সেই যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। মানুষ স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হচ্ছে। যখন হিন্দুদের ভিন্ন ধর্মে দীক্ষিত করা হয়, তা নিয়ে কোনো মহল থেকেই আপত্তি ওঠে না। তবে আদিত্যনাথ যা-ই বলুন বিষয়টি নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় জেলা প্রশাসন। আলিগড়ের এসএসপিজে রবীন্দ্র গৌড় জানিয়েছেন, মাহেশ্বরী কলেজে প্রস্তাবিত ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষেধ সত্ত্বেও অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে বছরের শেষে ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানের খবরে স্থানীয় মুসলিম এবং খ্রিস্টান সমাজ ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছেন।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ধর্মান্তকরণের জন্য চাঁদা তুলতে শুরু করেছে ধর্ম জাগরণ সমিতি। আসন্ন বড়দিনে (২৫ ডিসেম্বর) ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানের খরচ তুলতে প্রচারপত্রও বিলি করা হচ্ছে। ওই দিন ৬ হাজার মুসলিম ও খ্রিস্টানকে ধর্মান্তরিত করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আগ্রায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিরুদ্ধে ২০০ মুসলমানকে জোরপূর্বক হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের ক্ষোভ বিরাজ করছে। লোকসভাসহ গোটা ভারতেই বর্বরোচিত এ ঘটনার সমালোচনা চলছে।
কিন্তু তাতে আরএসএস কর্ণপাত করছে না। আলিগড়ে প্রস্তাবিত ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণাই তার প্রমাণ।
আরএসএসর শাখা সংগঠন ধর্ম জাগরণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রচারপত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে শহরের মাহেশ্বরী কলেজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ হাজার মুসলিম ও ১ হাজার খ্রিস্টানকে হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করা হবে। গোরখপুরের বিজেপি সংসদ সদস্য যোগী আদিত্যনাথ এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
অনুষ্ঠানের খরচ তুলতে চাঁদা চেয়ে ধর্ম জাগরণ সমিতির পশ্চিম ক্ষেত্র (পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশ, ব্রজপ্রান্ত, মীরাট ও উত্তরাখণ্ড) শাখার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক মুসলিমকে ধর্মান্তকরণের খরচ পড়ে ৫ লাখ রুপি এবং প্রত্যেক খ্রিস্টানকে হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করার খরচ পড়ে ২ লাখ রুপি। এই কারণে ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধুবরদের মুক্তহস্তে দান করার আর্জি জানানো হয়েছে প্রচারপত্রে। শুধু তাই নয়, প্রচারপত্রের ভাষা অনুসারে মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সমস্যা বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রভাবশালী সদস্য কাশীনাথ বনসাল জানিয়েছেন, যেহেতু মুসলিম ও খ্রিস্টানরা মূর্তিমান সমস্যা, তাই তার সমাধানে বিপুল খরচ করার প্রয়োজন হয়।
তবে প্রস্তাবিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা যার, সেই যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। মানুষ স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হচ্ছে। যখন হিন্দুদের ভিন্ন ধর্মে দীক্ষিত করা হয়, তা নিয়ে কোনো মহল থেকেই আপত্তি ওঠে না। তবে আদিত্যনাথ যা-ই বলুন বিষয়টি নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় জেলা প্রশাসন। আলিগড়ের এসএসপিজে রবীন্দ্র গৌড় জানিয়েছেন, মাহেশ্বরী কলেজে প্রস্তাবিত ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিষেধ সত্ত্বেও অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে বছরের শেষে ধর্মান্তকরণ অনুষ্ঠানের খবরে স্থানীয় মুসলিম এবং খ্রিস্টান সমাজ ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছেন।
No comments