অতি আবেগে লংঘিত জাতীয় পতাকা বিধি
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই রাজধানী ঢাকাসহ
সারা দেশে বেসরকারি গাড়িতে উড়তে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। অজ্ঞতার কারণেই হোক
আর আবেগেই হোক, এভাবে পতাকা উড়ানো এ সংক্রান্ত বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। এতে
জাতীয় পতাকার মর্যাদা কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা যুগান্তরকে বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া গাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন জাতীয় পতাকা বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু দেশপ্রেম ও আবেগ জড়িত সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ সংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোর রাস্তায় প্রাইভেটকার, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। শুধু জাতীয় দিবসেই নয়, ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপেও দেখা যায় এর ব্যাপকতা। কোনো কোনো বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকার উপরে নিজ নিজ সমর্থিত ভিনদেশী পতাকাও উড়তে দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে পতাকার সরকারি মাপও থাকে উপেক্ষিত। ফলে জাতীয় পতাকা বিধিমালার অবমাননা হয় নিজেদের অজান্তেই। আর জাতীয় পতাকার অবমাননা মানেই দেশের অবমাননা।
বাংলাদেশ পতাকা রুলস, ১৯৭২ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে সরকারি-বেসরকারি ভবনে এবং বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লোম্যাটিক মিশনে ও হাইকমিশনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিনে (ঈদে মিলাদুন্নবি), ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে।
ইচ্ছা করলেই যে কেউ গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারে না। কোন কোন ভবনে ও কারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন, এ ব্যাপারে পতাকা বিধির ৬ ধারায় বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও অফিসে সব কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ৬(৩) ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে, নৌযানে ও বিমানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবে। এ ছাড়া স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা, মন্ত্রী সমমর্যাদার ব্যক্তি, বিদেশে বাংলাদেশী মিশনের প্রধানের গাড়িতে ও তাদের নৌযানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, উপমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রাজধানীর বাইরে ভ্রমণকালে গাড়িতে ও নৌযানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা প্রসঙ্গে বিধির ৭ ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। যদি পাশাপাশি ২টি পতাকা উত্তোলন করা হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকা ভবনের ডান দিকে উত্তোলন করতে হবে। জাতীয় পতাকার ওপর অন্য কোনো পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
এ ছাড়া বিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার মাপ হবে ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত এবং বৃত্তটি দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হবে। ভবনে ব্যবহারের তিন ধরনের মাপ হচ্ছে ১র্০:র্৬, র্৫:র্৩ ও ২.র্৫:১.র্৫। তবে অনুমতি সাপেক্ষে ভবনের আয়তন অনুযায়ী এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রেখে বড় আয়তনের পতাকা প্রদর্শন করা যাবে।
পতাকা বিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় বলা হয়েছে, কোনো মোটরগাড়িতে পতাকা প্রদর্শিত হলে পতাকার দণ্ড অবশ্যই দৃঢ়ভাবে গাড়ির চেসিস কিংবা রেডিয়েটর ক্যাপের ক্ল্যাম্পের সঙ্গে দৃঢ়াবদ্ধ করতে হবে। বিদেশী পতাকা বা রঙিন পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকালে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য স্থান সংরক্ষিত থাকবে। আর যেখানে দুটি ভিন্ন পতাকা থাকবে, সেক্ষেত্রে ভবনের ডানপাশে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং দুইয়ের অধিক পতাকার সঙ্গে উত্তোলনকালে পতাকার সংখ্যা বিজোড় হলে বাংলাদেশের পতাকা ঠিক মাঝখানে থাকবে। তবে জোড়সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা কেন্দ্র থেকে ডান দিকের প্রথমে উত্তোলন করতে হবে। অন্য কোনো দেশের পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলিত হবে এবং সর্বশেষে নামানো হবে।
পতাকা বিধিতে আরও বলা আছে, বাংলাদেশের পতাকার উপর অন্য কোনো পতাকা বা রঙিন পতাকা ওড়ানো যাবে না। মিছিলে ব্যবহার করতে হলে মিছিলের কেন্দ্রে অথবা মিছিলের অগ্রগমন পথের ডান দিকে বহন করতে হবে। অনেকেই জাতীয় পতাকায় নকশা করে ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু জাতীয় পতাকার ওপর কোনো কিছু লেখা বা মুদ্রিত করা যাবে না অথবা কোনো অনুষ্ঠান বা উপলক্ষে কোনো চিহ্ন অংকন করা যাবে না; এমনকি জাতীয় পতাকাকে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এবং গায়ে জড়িয়ে রাখা যাবে না। তবে পূর্ণ সামরিক মর্যাদা বা পূর্ণ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করা হলে তার শবযাত্রায় জাতীয় পতাকা আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অনুমতি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকাকে ট্রেডমার্ক, ডিজাইন বা পেটেন্ট হিসেবে ব্যবহার করাও অপরাধ। কোনো অবস্থায়ই পতাকা নিচে অবস্থিত কোনো বস্তু যেমন মেঝে, পানি ও পণ্যদ্রব্য স্পর্শ করবে না এবং কবরের ওপরে স্থাপন করার সময় পতাকাটি কবরে নামানো যাবে না কিংবা মাটি স্পর্শ করবে না। পতাকা এমনভাবে উত্তোলন, প্রদর্শন বা মজুদ করা যাবে না, যাতে এটি সহজেই ছিঁড়ে যেতে পারে, মাটি লাগতে পারে বা নষ্ট হতে পারে। কোনো দেয়ালে দণ্ডবিহীন পতাকা প্রদর্শিত হলে তা দেয়ালের সমতলে এবং রাস্তায় প্রদর্শিত হলে উলম্বভাবে দেখাতে হবে। গণমিলনায়তন কিংবা সভায় পতাকা প্রদর্শন করা হলে বক্তার পেছনে ও ঊর্ধ্বে স্থাপন করতে হবে।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা যুগান্তরকে বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া গাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন জাতীয় পতাকা বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু দেশপ্রেম ও আবেগ জড়িত সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ সংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোর রাস্তায় প্রাইভেটকার, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। শুধু জাতীয় দিবসেই নয়, ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপেও দেখা যায় এর ব্যাপকতা। কোনো কোনো বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকার উপরে নিজ নিজ সমর্থিত ভিনদেশী পতাকাও উড়তে দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে পতাকার সরকারি মাপও থাকে উপেক্ষিত। ফলে জাতীয় পতাকা বিধিমালার অবমাননা হয় নিজেদের অজান্তেই। আর জাতীয় পতাকার অবমাননা মানেই দেশের অবমাননা।
বাংলাদেশ পতাকা রুলস, ১৯৭২ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে সরকারি-বেসরকারি ভবনে এবং বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লোম্যাটিক মিশনে ও হাইকমিশনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিনে (ঈদে মিলাদুন্নবি), ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে।
ইচ্ছা করলেই যে কেউ গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারে না। কোন কোন ভবনে ও কারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন, এ ব্যাপারে পতাকা বিধির ৬ ধারায় বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও অফিসে সব কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ৬(৩) ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে, নৌযানে ও বিমানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবে। এ ছাড়া স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা, মন্ত্রী সমমর্যাদার ব্যক্তি, বিদেশে বাংলাদেশী মিশনের প্রধানের গাড়িতে ও তাদের নৌযানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, উপমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রাজধানীর বাইরে ভ্রমণকালে গাড়িতে ও নৌযানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা প্রসঙ্গে বিধির ৭ ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। যদি পাশাপাশি ২টি পতাকা উত্তোলন করা হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকা ভবনের ডান দিকে উত্তোলন করতে হবে। জাতীয় পতাকার ওপর অন্য কোনো পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
এ ছাড়া বিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার মাপ হবে ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত এবং বৃত্তটি দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হবে। ভবনে ব্যবহারের তিন ধরনের মাপ হচ্ছে ১র্০:র্৬, র্৫:র্৩ ও ২.র্৫:১.র্৫। তবে অনুমতি সাপেক্ষে ভবনের আয়তন অনুযায়ী এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রেখে বড় আয়তনের পতাকা প্রদর্শন করা যাবে।
পতাকা বিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় বলা হয়েছে, কোনো মোটরগাড়িতে পতাকা প্রদর্শিত হলে পতাকার দণ্ড অবশ্যই দৃঢ়ভাবে গাড়ির চেসিস কিংবা রেডিয়েটর ক্যাপের ক্ল্যাম্পের সঙ্গে দৃঢ়াবদ্ধ করতে হবে। বিদেশী পতাকা বা রঙিন পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকালে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য স্থান সংরক্ষিত থাকবে। আর যেখানে দুটি ভিন্ন পতাকা থাকবে, সেক্ষেত্রে ভবনের ডানপাশে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং দুইয়ের অধিক পতাকার সঙ্গে উত্তোলনকালে পতাকার সংখ্যা বিজোড় হলে বাংলাদেশের পতাকা ঠিক মাঝখানে থাকবে। তবে জোড়সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা কেন্দ্র থেকে ডান দিকের প্রথমে উত্তোলন করতে হবে। অন্য কোনো দেশের পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলিত হবে এবং সর্বশেষে নামানো হবে।
পতাকা বিধিতে আরও বলা আছে, বাংলাদেশের পতাকার উপর অন্য কোনো পতাকা বা রঙিন পতাকা ওড়ানো যাবে না। মিছিলে ব্যবহার করতে হলে মিছিলের কেন্দ্রে অথবা মিছিলের অগ্রগমন পথের ডান দিকে বহন করতে হবে। অনেকেই জাতীয় পতাকায় নকশা করে ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু জাতীয় পতাকার ওপর কোনো কিছু লেখা বা মুদ্রিত করা যাবে না অথবা কোনো অনুষ্ঠান বা উপলক্ষে কোনো চিহ্ন অংকন করা যাবে না; এমনকি জাতীয় পতাকাকে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এবং গায়ে জড়িয়ে রাখা যাবে না। তবে পূর্ণ সামরিক মর্যাদা বা পূর্ণ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করা হলে তার শবযাত্রায় জাতীয় পতাকা আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অনুমতি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকাকে ট্রেডমার্ক, ডিজাইন বা পেটেন্ট হিসেবে ব্যবহার করাও অপরাধ। কোনো অবস্থায়ই পতাকা নিচে অবস্থিত কোনো বস্তু যেমন মেঝে, পানি ও পণ্যদ্রব্য স্পর্শ করবে না এবং কবরের ওপরে স্থাপন করার সময় পতাকাটি কবরে নামানো যাবে না কিংবা মাটি স্পর্শ করবে না। পতাকা এমনভাবে উত্তোলন, প্রদর্শন বা মজুদ করা যাবে না, যাতে এটি সহজেই ছিঁড়ে যেতে পারে, মাটি লাগতে পারে বা নষ্ট হতে পারে। কোনো দেয়ালে দণ্ডবিহীন পতাকা প্রদর্শিত হলে তা দেয়ালের সমতলে এবং রাস্তায় প্রদর্শিত হলে উলম্বভাবে দেখাতে হবে। গণমিলনায়তন কিংবা সভায় পতাকা প্রদর্শন করা হলে বক্তার পেছনে ও ঊর্ধ্বে স্থাপন করতে হবে।
No comments