রক্তমাখা স্কুল পোশাক দেখে মালালা কাঁদল
পাকিস্তানের
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই বৃহস্পতিবার একটি
প্রদর্শনীতে তালেবান হামলার শিকার হওয়ার দিনের তার রক্তমাখা পোশাক দেখে
অঝোরে কেঁদে ফেলে। ২০১৪ সালে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মাত্র
১৭ বছর বয়সী পাকিস্তানের নারী শিক্ষা কর্মী মালালা এবং ভারতের শিশু অধিকার
কর্মী কৈলাস সত্যার্থির উদ্দেশে প্রদর্শনীটি উৎসর্গ করা হয়। তারা যৌথভাবে
অসলোতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। মালালা ২০১২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের
সোয়াত ভ্যালিতে তালেবান হামলার শিকার হওয়ার সময় যেসব পোশাক পরে ছিল
প্রদর্শনীতে রাখা সেগুলোর সামনে এসে দাঁড়ায়। সে উদ্বোধনটি ঘুরে ঘুরে
দেখছিল। শান্ত ও ধীরস্থির কিশোরী তার রক্তমাখা স্কার্ফ, জ্যাকেট ও টাউজার
দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। উল্লেখ্য, তালেবানের ওই বর্বর হামলায় সে প্রায়
মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছলেও ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচারের পর বিস্ময়করভাবে সেরে
ওঠে। তার এই পোশাকগুলো কাচে ঘেরা একটি স্থানে প্রদর্শন করা হয়। এ সময়
সত্যার্থি (৬০) মালালাকে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুমু খেয়ে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা
করে বলেন, ‘সে আমার মেয়ের মতো।’ সত্যার্থির বরাত দিয়ে নরওয়ের বার্তা
সংস্থা এনটিভি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ‘তুমি অনেক সাহসী, তুমি অনেক সাহসী।’
বুধবার মালালা নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে। এখন পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি নোবেল
পুরস্কার পেয়েছেন তাদের মধ্যে মালালা হচ্ছে সর্বকনিষ্ঠ। উল্লেখ্য, মালালা
তালেবান হামলার শিকার হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবারের মতো তার ওই রক্তমাখা
পোশাক জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হল।
No comments