অবশেষে মামলা নিলেন দোহারের ওসি
অবশেষে
মামলা নিলেন দোহার থানার ওসি। তবে ঘটনার ১০ দিন পর। তা আবার ঊর্ধ্বতন
ব্যক্তির ধমক খেয়ে। দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আন্তা গ্রামের নাজমা
ওরফে মোনালিসা সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন ২ ডিসেম্বর। সন্ত্রাসীরা তার
হাত-পা পিটিয়ে ভেঙে দেয়। ঘটনার পর মোনালিসার পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ
করার ১০ দিন পার হলেও মামলা নিতে গড়িমসি করেন ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
অবশেষে কেরানীগঞ্জ সার্কের এএসপির শরণাপন্ন হলে তিনি ওসিকে মামলা নিতে
বলেন। এএসপির নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার ওসি মাহমুদুল হক মামলা নেন। ২ ডিসেম্বর
জমিসংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে স্থানীয় যুবক ইমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়
মোনালিসার। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ইমন ও তার সহযোগীরা মোনালিসাকে গাছের
ডাল দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ও পা গুরুতর জখম করে। এতে তার হাত ও পা ভেঙে যায়।
আহত মোনালিসা জানান, হামলার শিকার হয়ে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
হই। ৭ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও হাত-পায়ের ক্ষত নিয়ে কষ্টে দিন যাপন
করছি। নয়াবাড়ী ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধির মদদে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে
পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।
ভুক্তভোগী মোনালিসা দোহার থানায় মামলা করতে না পেরে শুক্রবার বেলা ১১টায় কেরানীগঞ্জ সার্কেল এএসপি শহীদুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তার নির্দেশে অবশেষে মামলা নেন ওসি। এএসপি শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওসিকে দ্রুত মামলা নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে দোহার থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে। এতদিন পরে কেন মামলা নেয়া হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে ওসি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভুক্তভোগী মোনালিসা দোহার থানায় মামলা করতে না পেরে শুক্রবার বেলা ১১টায় কেরানীগঞ্জ সার্কেল এএসপি শহীদুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তার নির্দেশে অবশেষে মামলা নেন ওসি। এএসপি শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওসিকে দ্রুত মামলা নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে দোহার থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে। এতদিন পরে কেন মামলা নেয়া হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে ওসি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
No comments