স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। নিহত ব্যক্তির নাম রাসেল আহমেদ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে মাগো বলে চিৎকার করেন রাসেল। চিৎকার শুনে তাকে খুঁজতে গিয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্রমতে, ঘটনার আগে স্ত্রী রোমানা আক্তারের কাছে একটি ফোন নম্বর চেয়েছিলেন রাসেল। রোমানা ওই নম্বর দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তবে ওই নম্বরটি কোন ব্যক্তির তা জানা যায়নি। এই ঘটনার পরই ওই কক্ষে ঢুকেন রাসেল। তবে রাসেল যে আত্মহত্যা করবেন তা পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেননি। কিছু সময় পরে তিনি মা বলে চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা ছুটে গিয়ে ওই কক্ষের দরজা বন্ধ পান। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করেই রাসেল আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে ফোন নম্বরকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তবে এ বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। নিহত রাসেল আহমেদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী ও মা, ভাইদের সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরীর ৩৮ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জের মুহাম্মদ শামসুজ্জামানের পুত্র। প্রায় দেড় বছর আগে রোমানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির কোন সন্তান নেই।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করেই রাসেল আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে ফোন নম্বরকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তবে এ বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। নিহত রাসেল আহমেদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী ও মা, ভাইদের সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরীর ৩৮ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জের মুহাম্মদ শামসুজ্জামানের পুত্র। প্রায় দেড় বছর আগে রোমানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির কোন সন্তান নেই।
No comments