যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রসহ নিহত ৪ আহত ১১
ট্রাক-ভটভটি
সংঘর্ষের পর বাসচাপায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(যবিপ্রবি) ছাত্রসহ চারজন নিহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় এবং পরে
শিক্ষার্থীদের ওপর পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১১ জন আহত
হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে যশোর-চৌগাছা সড়কের পোলতাডাঙ্গা নামক
স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও
ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার
কুবারহাট গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু হানিফ (২৩), চৌগাছা আফরা গ্রামের
রুহুল আমিনের ছেলে আনিছুর রহমান (২৫), একই গ্রামের হাবিবুরের স্ত্রী
খাদিজা বেগম (৪৫) ও চৌগাছার ফুলসারা এলাকায় খাইরুল ইসলাম (৪৮)। প্রতিবাদে
শিক্ষার্থীরা যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
একপর্যায়ে ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করলে মোটর শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিকদের হামলায় তিন ছাত্র আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মোজাহার আলী জানান, বেলা ১১টার দিকে চৌগাছার দিক থেকে একটি
যাত্রীবাহী আলমসাধু (ইঞ্জিনচালিত ভটভিিট) যশোরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময়
চৌগাছাগামী একটি ট্রাক আলমসাধুকে ধাক্কা দেয়। এতে বিকট শব্দ হয়। এগিয়ে গিয়ে
দেখি ৮-১০ জন পড়ে আছে। আলমসাধু দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় যশোরগামী একটি বাস
রাস্তায় ছিটকে পড়া যাত্রীদের ৩-৪ জনকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই
তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় খাইরুলের। হাসপাতাল সূত্রে
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী
শারমিন সুলতানা বীথির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় যশোর সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত পরিবেশবিজ্ঞানের ছাত্রী বাসবী
ভট্টাচার্য, চৌগাছা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের জাহাতাপের স্ত্রী খাদিজা
বেগম, তার মেয়ে বৃষ্টি খাতুন, একই এলাকার তাহাজ্জেলের স্ত্রী স্বপ্না, তার
মেয়ে রত্না, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের আবু সাইদের ছেলে জাহিদ হাসান,
শিবনাথপুরের বিজয় বিশ্বাসের ছেলে বিকাশ বিশ্বাসকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আবু হানিফ নিহতের খবর শুনে আমরা (সহপাঠীরা) হাসপালের উদ্দেশে রওনা হই। ঘটনাস্থলে চুড়ামনকাটি এলাকার মোটর শ্রমিকরা আমাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকে আগুন দেন। এ সময় শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় শ্রমিকদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মনিরুজ্জামান, নাসির উদ্দিন ও পাভেল আহমেদ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আবু হানিফ নিহতের খবর শুনে আমরা (সহপাঠীরা) হাসপালের উদ্দেশে রওনা হই। ঘটনাস্থলে চুড়ামনকাটি এলাকার মোটর শ্রমিকরা আমাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকে আগুন দেন। এ সময় শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় শ্রমিকদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মনিরুজ্জামান, নাসির উদ্দিন ও পাভেল আহমেদ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।
No comments