বিদেশ যেতে প্রাণঘাতী উপায় নয়
বিশ্ব কর্মসংস্থান বাজারের সুবিধা পেতে
বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ জোরদার করতে প্রবাসী কল্যাণ ও
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। রোববার ইস্কাটনে ওই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণকালে
তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী তার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন
কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ে আসেন।
নৌকা, ট্রলার ও ছোট জাহাজে করে সমুদ্রপথে বিদেশে লোক পাঠাতে কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ও অসাধু চক্রের কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশ যেতে যেন প্রাণঘাতী উপায় অবলম্বন না করা হয় এজন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অবশ্যই ব্যবসা করবে, কিন্তু মানুষকে শোষণ নয়। তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বন্ধ করার জন্য নয়- বরং তাদের আইন ও নীতি মেনে বিদেশে লোক পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) জনশক্তি রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশে চাকরি প্রার্থীরা বেসরকারি এজেন্সির দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে জনগণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমে বেসরকারি এজেন্সিগুলো আমাদের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পেরেছে, জনশক্তি রফতানি স্থিতিশীল রাখা, দুর্নীতি রোধ ও অবৈধ চর্চা বন্ধে এ উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনশক্তি রফতানি খাতে শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বের ১৫৯টি দেশে বাংলাদেশের চাকরির বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারে আমাদের জনশক্তির অধিকতর সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমাদের অধিকতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে চৌকস কূটনৈতিক তৎপরতায় মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ৬৫ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক বৈধতা পেয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে বিএনপি শাসন আমলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় আরও ১ লাখ বাংলাদেশী অবৈধ হয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের তাদের কাক্সিক্ষত দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তথ্য দেয়া হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিদেশে চাকরি প্রার্থী তার বিমান ভাড়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যয়ের জন্য ঋণ নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যা দেখাশোনা করতে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নতুন মিশন খোলা হয়েছে। ১৫টি লেবার উইং খোলা হয়েছে, যা ৫ থেকে ৬ লাখ শ্রমিককে বিদেশে কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনশক্তি রফতানি কর্মকাণ্ড তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে- এতে ২০ লাখ শ্রমিক ডাটাবেজের আওতায় এসেছে। প্রত্যেক প্রবাসী শ্রমিকের জন্য বায়োমেট্রিক স্মার্ট কার্ড চালু হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
নৌকা, ট্রলার ও ছোট জাহাজে করে সমুদ্রপথে বিদেশে লোক পাঠাতে কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ও অসাধু চক্রের কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশ যেতে যেন প্রাণঘাতী উপায় অবলম্বন না করা হয় এজন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অবশ্যই ব্যবসা করবে, কিন্তু মানুষকে শোষণ নয়। তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বন্ধ করার জন্য নয়- বরং তাদের আইন ও নীতি মেনে বিদেশে লোক পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) জনশক্তি রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশে চাকরি প্রার্থীরা বেসরকারি এজেন্সির দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে জনগণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমে বেসরকারি এজেন্সিগুলো আমাদের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পেরেছে, জনশক্তি রফতানি স্থিতিশীল রাখা, দুর্নীতি রোধ ও অবৈধ চর্চা বন্ধে এ উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনশক্তি রফতানি খাতে শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বের ১৫৯টি দেশে বাংলাদেশের চাকরির বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারে আমাদের জনশক্তির অধিকতর সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমাদের অধিকতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে চৌকস কূটনৈতিক তৎপরতায় মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ৬৫ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক বৈধতা পেয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে বিএনপি শাসন আমলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় আরও ১ লাখ বাংলাদেশী অবৈধ হয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের তাদের কাক্সিক্ষত দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তথ্য দেয়া হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিদেশে চাকরি প্রার্থী তার বিমান ভাড়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যয়ের জন্য ঋণ নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যা দেখাশোনা করতে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নতুন মিশন খোলা হয়েছে। ১৫টি লেবার উইং খোলা হয়েছে, যা ৫ থেকে ৬ লাখ শ্রমিককে বিদেশে কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনশক্তি রফতানি কর্মকাণ্ড তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে- এতে ২০ লাখ শ্রমিক ডাটাবেজের আওতায় এসেছে। প্রত্যেক প্রবাসী শ্রমিকের জন্য বায়োমেট্রিক স্মার্ট কার্ড চালু হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
No comments