ঢাকায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকী
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আচমকা দেশে ফিরেছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা পৌঁছান। নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত দেয়ায় মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। দেশে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হওয়ায় তখন ফেরার উদ্যোগ নেননি আওয়ামী লীগের সাবেক এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন হয়ে ভারতে যান। সেখান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের দেয়া বক্তব্যের পক্ষে কথা বলেন লতিফ সিদ্দিকী। বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন না বলেও বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন তিনি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সারা দেশে মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় সমন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরোয়ানা মাথায় নিয়েই গতকাল তিনি দেশে ফিরলেন। রাত ৮টা ২১ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছেন। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। সেখানে ইমিগ্রেশন ও গোয়েন্দা পুলিশ তার প্রতি নজর রাখলেও সেখান থেকে তিনি কোথায় গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কিনা এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে তাকে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। রাতে এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে তাকে গ্রেপ্তার না করলে ঢাকা ঘেরাও করা হবে।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির অনুষ্ঠানে নিজেকে ‘অহংকারী’ উল্লেখ করেই লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাত দু’টোর ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী। ওই অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করেও কথা বলেন তিনি। হজের কারণে শ্রমশক্তি ব্যয় হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। বিভিন্ন ইসলামী দল তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। জেলায় জেলায় কয়েক ডজন মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যান। ওই সফরে শেষে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার পরই মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়। দলে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রথমে তাকে প্রেসিডিয়ামের পদ থেকে অব্যাহতি ও প্রাথমিক সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিলেও আওয়ামী লীগের পরবর্তী বৈঠকে তাকে দল থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হয়। তবে সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ বছর তা পালন করেন। এবার সরকার গঠনের পর তিনি দায়িত্ব পান ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির অনুষ্ঠানে নিজেকে ‘অহংকারী’ উল্লেখ করেই লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাত দু’টোর ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী। ওই অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করেও কথা বলেন তিনি। হজের কারণে শ্রমশক্তি ব্যয় হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। বিভিন্ন ইসলামী দল তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। জেলায় জেলায় কয়েক ডজন মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যান। ওই সফরে শেষে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার পরই মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়। দলে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রথমে তাকে প্রেসিডিয়ামের পদ থেকে অব্যাহতি ও প্রাথমিক সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিলেও আওয়ামী লীগের পরবর্তী বৈঠকে তাকে দল থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হয়। তবে সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ বছর তা পালন করেন। এবার সরকার গঠনের পর তিনি দায়িত্ব পান ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের।
No comments