অনলাইনে মন্তব্যের দিন শেষ?
পাঠকেরা অনলাইনে খবর পড়ার পাশাপাশি সেই খবরে তাঁদের নিজস্ব মন্তব্য লিখতে চান। মন্তব্য লেখার এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়ও বটে । কিন্তু এখন বড় ওয়েবসাইটগুলো তাদের মন্তব্য বিভাগটি ছেঁটে ফেলছে। সম্প্রতি প্রভাবশালী রিকোড ব্লগ তাদের ওয়েবসাইটে পাঠকদের মন্তব্য প্রকাশ না করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রযুক্তি ব্লগ হিসেবে বেশ প্রভাবশালী রিকোড। গত বৃহস্পতিবার তাদের কমেন্ট ফোরাম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রিকোড কর্তৃপক্ষ। ওয়েবসাইটে মন্তব্যের পরিবর্তে পাঠকদের আলোচনার জন্য তাদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে যেতে বলেছে।
রিকোডের সহনির্বাহী সম্পাদক কারা সুইসহার বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। যেহেতু আমরা পাঠকদের মতামতকে গুরুত্ব দিই তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পথেই হাঁটতে হলো। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে, আমাদের লেখা প্রতিবেদনের বিষয় নিয়ে সেখানেই বেশি আলোচনা হচ্ছে। এতে আমাদের সাইটে যেসব মন্তব্য আসছে তা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা দরকারি মন্তব্য হচ্ছে না।’
রিকোড ছাড়াও সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট তাদের মন্তব্য বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা খুব কম মন্তব্য প্রকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে রয়টার্স, পপুলার সায়েন্স, শিকাগো-সান। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্তব্য বন্ধ করার কারণ হচ্ছে ট্রল। এখন কমেন্ট ফোরাম ইন্টারনেট ট্রল বা ইন্টারনেট দানবদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। যারা গণ্ডগোল পাকানোর বা বিতর্ক সৃষ্টির জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো খবরে কিংবা বার্তাবোর্ডে উসকানিমূলক বার্তা পোস্ট করেন তাদের ট্রল বলা হয়। বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে তাদের মন্তব্য বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে ইন্টারনেট ট্রলদের শিষ্টাচারের অভাবকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ খবরে বাজে মন্তব্য বেশি আসার কারণেই বড় ওয়েবসাইটগুলো মন্তব্য বিভাগ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পপুলার সায়েন্স গত সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল, ১৪১ বছর পুরোনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ম্যাগাজিনের সংবাদ শাখা হিসেবে তারা প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিদীপ্ত বিতর্ক তৈরির মাধ্যমে বিজ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রল এবং স্প্যামবটদের অত্যাচারে তাদের সেই উদ্যোগ বন্ধ করতে হয়েছে। রিকোডের মতোই রয়টার্সও তাদের মন্তব্য বিভাগ বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের জনপ্রিয়তাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে।
৭ নভেম্বর এক পোস্টে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রকাশিত খবর নিয়ে অধিক যুক্তি ও নানা মতের আলোচনা-সমালোচনা কিংবা প্রশংসার বিষয়গুলো তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অনলাইন ফোরামকেন্দ্রিক করে ফেলেছে। এ ছাড়া মন্তব্য পুরোপুরি মুছে দেওয়ার পরিবর্তে তা সম্পাদনার ক্ষেত্রে তারা আরও বেশি কঠোর হয়েছে।
এদিকে গাউকার মিডিয়ার জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট যেমন—গাউকার, জেজেবেল, লাইফহ্যাকার, ডেডস্পিন এবং গিজমোডোতে মন্তব্য সম্পাদনা শুরু করা হয়েছে। বিরক্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণেই এসব সাইটে মন্তব্য সম্পাদনার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে।
বার্তা সংস্থা সিএনএনও মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে ভিন্ন পথে হেঁটেছে। এ বছরের আগস্ট মাস থেকে অধিকাংশ খবরে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট কিছু খবরে মন্তব্য করার জন্য সুযোগ দেয় সিএনএন, যাতে বুদ্ধিদীপ্ত বিতর্ক তৈরি করা যায়। এই বিতর্কে লেখক, সম্পাদকও অংশ নেন। এ ক্ষেত্রেও মন্তব্য সম্পাদনা করা হয়। সিএনএন জানিয়েছে, ইন্টারনেট ট্রলদের আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হলেও তারা ঠিকই কোনো ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েন।
রিকোডের সহনির্বাহী সম্পাদক কারা সুইসহার বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। যেহেতু আমরা পাঠকদের মতামতকে গুরুত্ব দিই তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পথেই হাঁটতে হলো। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে, আমাদের লেখা প্রতিবেদনের বিষয় নিয়ে সেখানেই বেশি আলোচনা হচ্ছে। এতে আমাদের সাইটে যেসব মন্তব্য আসছে তা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা দরকারি মন্তব্য হচ্ছে না।’
রিকোড ছাড়াও সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট তাদের মন্তব্য বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা খুব কম মন্তব্য প্রকাশ করছে। এর মধ্যে রয়েছে রয়টার্স, পপুলার সায়েন্স, শিকাগো-সান। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্তব্য বন্ধ করার কারণ হচ্ছে ট্রল। এখন কমেন্ট ফোরাম ইন্টারনেট ট্রল বা ইন্টারনেট দানবদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। যারা গণ্ডগোল পাকানোর বা বিতর্ক সৃষ্টির জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো খবরে কিংবা বার্তাবোর্ডে উসকানিমূলক বার্তা পোস্ট করেন তাদের ট্রল বলা হয়। বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে তাদের মন্তব্য বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে ইন্টারনেট ট্রলদের শিষ্টাচারের অভাবকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ খবরে বাজে মন্তব্য বেশি আসার কারণেই বড় ওয়েবসাইটগুলো মন্তব্য বিভাগ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পপুলার সায়েন্স গত সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল, ১৪১ বছর পুরোনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ম্যাগাজিনের সংবাদ শাখা হিসেবে তারা প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিদীপ্ত বিতর্ক তৈরির মাধ্যমে বিজ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রল এবং স্প্যামবটদের অত্যাচারে তাদের সেই উদ্যোগ বন্ধ করতে হয়েছে। রিকোডের মতোই রয়টার্সও তাদের মন্তব্য বিভাগ বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের জনপ্রিয়তাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে।
৭ নভেম্বর এক পোস্টে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রকাশিত খবর নিয়ে অধিক যুক্তি ও নানা মতের আলোচনা-সমালোচনা কিংবা প্রশংসার বিষয়গুলো তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অনলাইন ফোরামকেন্দ্রিক করে ফেলেছে। এ ছাড়া মন্তব্য পুরোপুরি মুছে দেওয়ার পরিবর্তে তা সম্পাদনার ক্ষেত্রে তারা আরও বেশি কঠোর হয়েছে।
এদিকে গাউকার মিডিয়ার জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট যেমন—গাউকার, জেজেবেল, লাইফহ্যাকার, ডেডস্পিন এবং গিজমোডোতে মন্তব্য সম্পাদনা শুরু করা হয়েছে। বিরক্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণেই এসব সাইটে মন্তব্য সম্পাদনার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে।
বার্তা সংস্থা সিএনএনও মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে ভিন্ন পথে হেঁটেছে। এ বছরের আগস্ট মাস থেকে অধিকাংশ খবরে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট কিছু খবরে মন্তব্য করার জন্য সুযোগ দেয় সিএনএন, যাতে বুদ্ধিদীপ্ত বিতর্ক তৈরি করা যায়। এই বিতর্কে লেখক, সম্পাদকও অংশ নেন। এ ক্ষেত্রেও মন্তব্য সম্পাদনা করা হয়। সিএনএন জানিয়েছে, ইন্টারনেট ট্রলদের আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হলেও তারা ঠিকই কোনো ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েন।
No comments