অভিবাসী শ্রমিকদের রক্ষায় উদ্যোগ নিন
অভিবাসী শ্রমিকদের অন্যায়-অবিচার থেকে সুরক্ষা দিতে উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৯০টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সংগঠন। চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় পারস্য উপসাগর ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রীদের বৈঠক উপলক্ষে সংগঠনগুলো গতকাল রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায়। খবর এএফপির। বিবৃতিতে বলা হয়, উপসাগরীয় দেশগুলোতে কর্মরত এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের লাখ লাখ শ্রমিক বেতন না পাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম অবিচারের শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে আছে শারীরিক নির্যাতন, জোর করে কাজ করানো বা পাসপোর্ট আটকে রাখা। উপসাগরীয় এলাকার তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর সংগঠন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রীদের তৃতীয় দফার বৈঠক আবুধাবিতে ২৬-২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) মধ্যপ্রাচ্য নারী অধিকার গবেষক রত্না বেগম বলেন, ‘লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বা নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যে আঁতকে ওঠার মতো মৃত্যুর হার—ঘটনা যা-ই হোক না কেন,
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগের বিষয়ে জরুরি ও ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।’ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর অন্যতম হলো এইচআরডব্লিউ। এই তালিকায় আরও আছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন ও ইন্টারন্যাশনাল ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নাম। জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে দুই লাখ ৪০ হাজার গৃহকর্মীসহ দুই কোটি ৩০ লাখ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। জিসিসির দেশগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান ও কাতার। বিদেশি শ্রমিকদের জন্য ‘কাফালা’ নামের পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থার কারণে এই দেশগুলো ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে। জিসিসি এলাকাজুড়ে এ পদ্ধতি বিভিন্ন মাত্রায় কাজে লাগানো হয়। ৯০ সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর কারণে বেশির ভাগ শ্রমিকই চুক্তি শেষ হওয়ার আগে নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়া নতুন কোনো চাকরিতে ঢুকতে পারেন না। এ কারণে তাঁরা অনেক সময় নির্যাতনমূলক পরিস্থিতিতে আটকা পড়ে থাকেন।
No comments